বাল্যবিবাহের চেষ্টায় ঠাকুরগাঁওয়ে কাজী ও বরের কারাদণ্ড

ঠাকুরগাঁওয়ের সদর উপজেলায় বাল্যবিবাহ দেওয়ার চেষ্টাকালে কাজীকে তিন মাসের ও বরকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

বুধবার (১৩ নভেম্বর) রাতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার আবদুল্লাহ আল মামুন এ দণ্ড প্রদান করেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন- জেলার সদর উপজেলার সালন্দর ইউনিয়নের মাদ্রাসাপাড়া গ্রামের কাজী আবদুল আজিজ ও একই ইউনিয়নের সরকারপাড়া গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে বর আল আমিন (২১)।

জানা গেছে, গতকাল বুধবার রাতে সদর উপজেলার এসএসসি পরীক্ষার্থীর বিয়ে দেওয়ার প্রস্তুতি চলছিল। মোবাইলে খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবদুল্লাহ আল মামুন কয়েকজন পুলিশ নিয়ে মেয়েটির বাড়িতে যান ও বিয়ে বন্ধ করে দেন। ইউএনওর উপস্থিতি টের পেয়ে ওই সময় কনে ও তার মা-বাবা পালিয়ে যায়। তবে বিয়ের কাজী আবদুল আজিজ ও বর আল আমিনকে আটক করে পুলিশ।

ইউএনও আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, আল আমিনের সঙ্গে মেয়েটির বিয়ের প্রস্তুতি চলছিল। বরপক্ষ সন্ধ্যায় কনের বাড়িতে উপস্থিত হয়। এলাকাবাসীর কাছে বাল্যবিবাহের খবর পেয়ে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের সহায়তায় কনের বাড়িতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। দুই পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে ঘটনার সত্যতা মেলে।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাছে কাজী ও বর তাদের অপরাধ স্বীকার করেন। পরে রাত ১১টার দিকে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনে বিবাহ নিবন্ধন বাতিল করাসহ কাজীকে তিন ও বরকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুব আলম বলেন, এই বাল্যবিবাহ বন্ধ হওয়ার পাশাপাশি কাজী ও বরের সাজা হওয়ায় অন্য অভিভাবকেরা সচেতন হবেন।

ঠাকুরগাঁও সদর থানার পরিদর্শক তানভিরুল ইসলাম বলেন, সাজাপ্রাপ্ত কাজী ও বরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

ওডি/এসজেএ