অধিকার ডেস্ক
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পুরাতন ভবনের একটি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেন দুর্ঘটনায় শিকার সৈকত। সৈকতের বেডের পাশে দাঁড়িয়ে ছিল তার চাচা জাহিদ ও বাবা শহীদুল্লাহ।
সৈকতের চাচা জাহিদ জানান, সৈকত এর আগে প্রায় চার ঘণ্টার মতো ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালের মর্গে লাশের সারিতে ছিলেন। সেখানে জ্ঞান ফেরার পর সৈকত বলছিলেন, ‘আমি জীবিত আছি, আমাকে হেল্প করুন।’
তিনি আরও জানান, সেদিনের কথা মনে করে সৈকত জানিয়েছে, ‘মাথা-নাক-মুখ দিয়ে অনবরত রক্ত ঝরছিল। ওরা বারবার বলছিল, এখানে একটা ডেডবডি আছে। আমি শুনতে পাচ্ছি, আমাকে তারা ডেডবডি বলছে। কিন্তু কিছু বলতে পারছিলাম না। তখন আমার তো জ্ঞান ফেরে আবার জ্ঞান হারাই এমন অবস্থা। কিন্তু কিছু বলার মতো শক্তি বা অবস্থা কোনোটাই ছিল না আমার। পরে কোনও রকমে সাহস করে নিজের শার্টের হাতা ছিঁড়ে মাথায় বেঁধে নিজেই গেছি একজনের কাছে। গিয়ে বললাম আমাকে বাঁচান, আমার পরিবারকে জানান অ্যাক্সিডেন্টের কথা।’
সৈকতের আঘাত প্রসঙ্গে তিনি জানান, ‘ওর মুখের ভেতরের দুই পাশের চোয়াল ভেঙেছে। একটা দাঁতও ঠিক নেই, কথা বলতে গেলে ভেতরের মাড়ি উঠে আসে। মুখের ভেতরের পুরোটাই ভাঙা, আছে মাথায় আঘাত, কোমরে ব্যথা আছে। রক্ত দেওয়া হয়েছে তিনব্যাগ, আরও রেডি করে রাখতে বলেছেন চিকিৎসক।’
সৈকতের বাবা ৬৫ বছর বয়সী শহীদুল্লাহ জানান, সেদিন ভোররাতে সৈকতের ফোন থেকেই একটা কল আসে। ফোন রিসিভ করা মাত্রই ওপাশ থেকে বলা হয়, ‘আপনার ছেলে সৈকত ট্রেন অ্যাক্সিডেন্টে মারাত্মক আহত হয়েছে।’ সঙ্গে সঙ্গেই আরেক ছেলে সাকিবকে এ কথা জানাই। সাকিব তখন সৈকতের নম্বরে কল-ব্যাক করলে জানানো হয়, সৈকত ব্রাহ্মণবাড়িয়া হাসপাতালে আছে, তারা যেন দ্রুত হাসপাতালে চলে আসেন।
ওডি/এসএএফ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড