কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
সন্তানের নিস্তেজ দেহ নিয়ে দৌড়াদৌড়ির দৃশ্য দেখানো হয় বলে টেলিভিশনের সামনে যান না নিহত বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের মা রোকেয়া খাতুন। তবে বুধবার (১৩ নভেম্বর) তিনি টেলিভিশনের সামনে বসেন। টিভিতে দেখেছেন ছেলে আবরার হত্যা মামলার চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিলের খবর। এ সময় তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন।
বুধবার দুপুরে কুষ্টিয়া শহরে বাড়িতে আবরার হত্যার মামলার চার্জশিটের খবর দেখেন তিনি। তার সঙ্গে ছোট ছেলে আবরার ফায়াজ ও স্বজনরা ছিলেন। এ সময় নিজেকে ঠিক রাখতে পারছিলেন না এ মা।
টিভির সংবাদ দেখে রোকেয়া খাতুনের দুই চোখ দিয়ে পানি গড়িয়ে পড়ছিল। তিনি কিছুক্ষণ পরপরই বিলাপ করছিলেন আর দুই হাতে বুকে চাপড়ে কান্না করছিলেন। কিন্তু কেউ তাকে সান্ত্বনা দেওয়ার মতো ভাষা পাচ্ছিলেন না।
পুলিশ আবরার হত্যা মামলায় ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দিয়েছে। হত্যাকাণ্ডে ১১ আসামির সরাসরি জড়িত থাকার কথা বলা হয়েছে। এ বিষয় জানার পর কাঁদতে কাঁদতে রোকেয়া খাতুন বলেন, ‘আহারে ওরা ১১ জন আমার বুকের মানিকটাকে পিটিয়ে মেরেছে। আমার ভালো ছেলেকে বুয়েটে ভর্তি করিয়েছিলাম। ওরা যদি আমাকে বলত, আমি আমার ছেলেটাকে বুয়েটে পড়াতাম না, বাড়িতে ফিরিয়ে আনতাম। ছেলেকে দিয়ে জমিতে চাষ করাতাম, ব্যবসা করাতাম, তাও ছেলেকে কাছে রাখতাম। কেন আমার ছেলেটাকে এভাবে মারল।’
আবরারের মা বলেন, ‘আজ পুলিশ অভিযোগপত্র দিয়েছে। এতে ২৫ জনের নাম এসেছে। আমি এদের সবার ফাঁসি চাই। যারা আমার ছেলেকে মেরেছে তাদের সবার মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করতে হবে।’
ওডি/এমআর
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড