সারাদেশ ডেস্ক
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় যাত্রীবাহী দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে থেমে গেছে ছোট্ট শিশু আদিবা আক্তার সোহা মণির (৩) হাসি। লাশ ঘরে শিশুটির নিথর দেহ কাঁদিয়েছে লাখো মানুষের মন। এমন দৃশ্য যেন আর কখনো দেখতে না হয় এই প্রার্থনা করেছেন উপস্থিত জনসাধারণ।
সোমবার (১১ নভেম্বর) রাত ৩টার দিকে কসবা উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের মধ্যভাগ রেলওয়ে স্টেশনের ক্রসিংয়ে আন্তঃনগর উদয়ন এক্সপ্রেস ও তূর্ণা নীশিতা ট্রেনের মধ্যে সংঘর্ষে ১৬ জন নিহত হয়। নিহত ১৬ জনের মধ্যে রয়েছে নিষ্পাপ শিশু সোহা মণি। তার বাবা সোহেল মিয়া চট্টগ্রামের একটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে কাজ করেন ও মা নাজমা বেগমসহ তিন সদস্যের এই পরিবারটি সিলেট থেকে চট্টগ্রাম যাচ্ছিল। এ সময় ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনাটি কেড়ে নেয় শিশুটির প্রাণ।
নিহত শিশুটির বাড়ি হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং বড়ো বাজার এলাকায়। এ দিকে সোহার মা-বাবাকে প্রথমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পরে হাবিগঞ্জ এবং সেখান থেকে ঢাকায় পাঠানো হয়।
শিশুটিকে দেখতে আসা এক নারী জানায়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবিটি দেখে নিজেকে মানিয়ে রাখতে পারিনি। কয়েক ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে শিশুটিকে দেখি।
হাসপাতালের ডোম বাদশা মিয়া বলেন, ‘জীবনে অনেক লাশ কাটা-ছেঁড়া করেছি। কিন্তু এমন একটি শিশুকে এভাবে মৃত্যুবরণ করতে দেখে মনের মধ্যে খুবই কষ্ট হচ্ছে। শিশুটির পিঠে ও মাথায় আঘাতে মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেন হাসপাতালের এই ডোম।’
সোহার মামা জামাল মিয়া ভাগনির লাশ বুঝে নিয়েছেন। ভাগনির লাশ নিতে সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদনপত্র জমা দেন তিনি।
ওডি/এসজেএ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড