অধিকার ডেস্ক
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় ঢাকা-চট্টগ্রাম ও চট্টগ্রাম-সিলেট রেলপথের মন্দভাগে সোমবার (১১ নভেম্বর) দিনগত রাত ৩টার ট্রেন দুর্ঘটনায় তছনছ হয়ে গেছে রাজধানীর একটি হোটেলে কাজ করা মাইনুদ্দিনের জীবন। তিনি মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) দুর্ঘটনার সংবাদ পেয়ে কসবায় যান। স্ত্রী কাকলি আক্তারকে (২৮) খুঁজে পান কসবার বায়েক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে খোলা অস্থায়ী তথ্যকেন্দ্রের ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সাদা মোড়কে মোড়ানো মরদেহের সারিতে। আর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে খুঁজে পান সাড়ে ৩ বছরের মেয়ে মাহিমাকে।
হোটেল কর্মচারী (হোটেল বয়) মাইনুদ্দিন বলেন, রবিবার (১০ নভেম্বর) সিলেটের হযরত শাহজালাল (রা.) ও হযরত শাহপরানের (রা.) মাজার জিয়ারত করতে যান তার স্ত্রী কাকলি আক্তার, মেয়ে মাহিমা আক্তার, মামা জাহাঙ্গীর আলম, মামী আমাতন বেগম ও মামাতো বোন মরিয়ম।
উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনে করে সোমবার সিলেট থেকে চাঁদপুরের উদ্দেশে রওনা হন তারা। চাঁদপুর থেকে ট্রলারে করে তাদের শরীয়তপুরের বাড়ি ফেরার কথা ছিল। কিন্তু দুর্ঘটনায় তার স্ত্রী, মামি ও মামাতো বোনের মৃত্যু হয় বলে জানান তিনি।।
ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার পর মঙ্গলবার সকালে যখন মাহিমাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, তখন তার সঙ্গে কেউ ছিল না। দুর্ঘটনায় আহত রাহিমা আক্তার নামের এক বৃদ্ধা মাহিমাকে নিয়ে হাসপাতালে আসেন। শিশু মাহিমার কপালের বাঁ পাশ থেকে মাথার পেছন অংশ পর্যন্ত ব্যান্ডেজ করা হয়েছে। কপালে সেলাই দেওয়া হয়েছে। শিশুটি হাসপাতালে ডাক্তার ও নার্সদের তত্ত্বাবধানে আছে। বিকাল ৫টার দিকে মাইনুদ্দিন তার স্ত্রী, মামি ও মামাতো বোনের লাশ শনাক্ত করেন। বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি আছে মাহিমা।
ওডি/এএস
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড