চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম নগরী লালদিঘীর মাঠে নওফেল-নাছির সমর্থকদের মধ্যে মারামারির কারণে যুবলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সভা পণ্ড হয়ে গেছে। মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) বিকালে নগরীর লালদিঘীর মাঠে চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় এই ঘটনা ঘটে।
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। নেতাকর্মীদের মধ্যে মারামারি শুরুর পর তিনি বক্তব্য না দিয়ে সভাস্থল ছেড়ে চলে যান।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার বিকালে নগরীর লালদিঘীর মাঠে চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগ আলোচনা সভা ও র্যালির আয়োজন করেছিল। বিকাল ৪টায় শুরু হওয়া সভায় সভাপতিত্ব করছিলেন নগর যুবলীগের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন বাচ্চু। যুগ্ম আহ্বায়ক দিদারুল আলমের সঞ্চালনায় সভা শুরুর পর পাঁচজন নেতা বক্তব্য রাখেন। এরা হলেন- যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আলতাফ হোসেন বাচ্চু ও সৈয়দ মাহমুদুল হক, নগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ফরিদ মাহমুদ, দেলোয়ার হোসেন খোকা ও আলতাফ হোসেন বাচ্চু। মারামারিতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
নগর যুবলীগের একাংশের নেতারা বলছেন, পূর্ব পরিকল্পিতভাবে একটি মহল ইন্ধন দিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘাত তৈরি করে সভা পণ্ড করেছে। চট্টগ্রাম নগর যুবলীগের বড় অংশ নগর আওয়ামী লীগের প্রয়াত সভাপতি সাবেক মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারী। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সভায়ও প্রধান অতিথি করা হয়েছিল মহিউদ্দিনের ছেলে নওফেলকে। এ কারণে মহিউদ্দিন চৌধুরীর বিরোধী অংশ হিসেবে পরিচিতরা সভা পণ্ড করতে ইন্ধন দিয়েছে বলে তাদের অভিযোগ।
সভায় উপস্থিত প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পাঁচজনের মধ্যে সবার শেষে বক্তব্য রাখছিলেন আলতাফ হোসেন বাচ্চু। বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে তার বক্তব্য চলাকালে মাঠে দুপক্ষের মধ্যে চেয়ার ছোঁড়াছুঁড়ি শুরু হয়। এরপর উভয় পক্ষের তরুণ-যুবকেরা একে অপরকে লক্ষ করে পাথর ও ইটের টুকরা ছুঁড়তে শুরু করেন। ১০ মিনিট উভয়পক্ষে সংঘাতের পর পুলিশ উভয়পক্ষকে ধাওয়া দিয়ে মাঠ থেকে বের করে দেয়। এর আগেই মঞ্চ ছেড়ে যান শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। সভায় চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনকে অতিথি করা হলেও তিনি যাননি।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শখানেক যুবক পকেট থেকে পাথর বের করে ছুঁড়ে মারছিল। দুপুরের দিকে এই যুবকরা মঞ্চের সামনে মাঠে অবস্থান নেয়। এরপর সভা চলাকালে মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে।
যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু বলেন, ‘বগিরাগত কিছু দুষ্কৃতিকারী সভায় মারামারি করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে।’
কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বলেন, ‘সভায় দুপক্ষে চেয়ার ছোঁড়াছুঁড়ি হয়েছে। আমরা দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি।
ওডি/ এফইউ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড