• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৭ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ঠাকুরগাঁওয়ের সবজি যাচ্ছে বিদেশেও

  ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

১২ নভেম্বর ২০১৯, ১৭:০৭
ঠাকুরগাঁও
দেশের বিভিন্নস্থানে যাচ্ছে ঠাকুরগাঁওয়ের শীতকালীন সবজি (ছবি : দৈনিক অধিকার)

গত বারের তুলনায় ঠাকুরগাঁওয়ে এবার বেশিই শীতকালীন সবজি উৎপাদন হয়েছে। ধান ও গমে ন্যায্য মূল্য না পেলেও সবজিতে ইতোমধ্যেই সাফল্যের মুখ দেখছেন কৃষক। শীতের শুরুতেই বাজারে সবজি সরবরাহ এবং ভালো দাম পাওয়ায় খুশি এবার ঠাকুরগাঁওয়ের আগাম শীতকালীন সবজি চাষিরা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরিসংখ্যান বলছে, চলতি মৌসুমে ঠাকুরগাঁওয়ে ৭ হাজার ২৪৮ হেক্টর জমিতে শীতের সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। যা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রার ১ লাখ ৫৬ হাজার ৭৫৭ মেট্রিক টন। ২০১৮ সালের জেলার শীতকালীন সবজি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭ হাজার হেক্টর এবং ২০১৭ সালে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬ হাজার ৭৬০ হেক্টর।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বড়দেশ্বরী, পাটিয়াডাঙ্গী, গড়েয়া, ঢলোরহাট, মোলানখুড়ী, চামেশ্বরী, নারগুন বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার গোয়ালকারী, সাবাজপুর, মধুপুর, ফটিয়াপাড়া, কাশুয়া খাদেমগঞ্জ রাণীশংকৈল উপজেলার রাউতনগর, নেকমরদসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় চাষ হয়েছে নানা জাতের সবজি। মাঠজুড়ে এখন করলা, বেগুন, টমেটো, লাউ, লাল শাক, পালং শাক, শিম, শসা, মিষ্টি কুমড়া, ডাটা, চিচিঙ্গা, মুলা, ফুলকপি, বাঁধাকপিসহ নানা শীতকালীন সবজির সমাহার। কৃষক ও শ্রমিকরা মাঠ থেকে সবজি তুলে সড়কের একপাশে স্তূপ করে রাখছেন। আর বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা খুচরা পাইকাররা নগদ টাকা দিয়ে সেই সবজি কিনছেন। ট্রাক ও ছোট পিকআপ দিয়ে পাঠাচ্ছেন দেশের বিভিন্ন জেলায়।

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, খুচরা বিক্রেতারা বেগুন ২৫ টাকা, মুলা ২০ টাকা, ফুলকপি ৫০ টাকা, বাঁধাকপি ৪০ টাকা, করলা ৪০ টাকা দরে বিক্রি করছেন। এছাড়াও শাকেরও রয়েছে পর্যাপ্ত দাম। বিভিন্ন প্রজাতির শাক সবজির প্রতিটি আটি বিক্রি হচ্ছে ৫ থেকে ৮ টাকা দরে।

সদর উপজেলার ইয়াকুবপুর গ্রামের রজনীকান্ত রায় এক একর জমিতে লাপাশাক ও লাল শাক রোপণ করেছেন। তিনি বলেন, এ পর্যন্ত লক্ষাধিক টাকার বেশি শাক বিক্রি করেছেন। জমিতে যে পরিমাণ শাক আছে তা বিক্রি করে দেড় লাখ টাকা পাওয়া যাবে।

বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বড়বাড়ী ইউনিয়নের গোয়ালকারী গ্রামের সবজি চাষি করিমুল ইসলাম জানান, এ বছর উঁচু দেড় একর জমিতে করলা এবং এক একর জমিতে বেগুন চাষ করেছেন তিনি। শুরুতে ভাল দাম পাওয়ায় পরিবারের লোকজন ও শ্রমিকদের নিয়ে সবজি খেত পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি। এমন দাম থাকলে খুব শীঘ্রই উৎপাদন খরচসহ লাভের আশা করছেন তিনি।

বাবার সঙ্গে মাঠে কাজ করছেন করিমুল ইসলামের ছেলে আইয়ুব আলী। তিনি দৈনিক অধিকারকে জানান, ধান ও গমের ঘাটতি পূরণ করতে পরিবারের সবাই সবজি ক্ষেতেই সময় পার করছি। বাজারে চাহিদা থাকায় অনেক সবজি ব্যবসায়ী মাঠেই আসছেন সবজি নিতে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আফতাব হোসেন জানান, বীজ সার অন্যান্য কীটনাশক দ্রব্যাদি সরকারের কৃষিবান্ধব নীতির কারণে কৃষকরা সকল ধরনের কৃষি উপকরণ পাচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকার ফলে আশা করা যায় গত বছরের ন্যায় এবারো জেলায় প্রচুর পরিমাণে সবজি আবাদ হবে।

তিনি আরও বলেন, এই জেলার উৎপাদিত সবজি স্থানীয় প্রয়োজন মিটিয়ে শুধু দেশের বিভিন্ন জায়গায় নয় বরং বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে।

ওডি/এএসএল

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড