• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৮ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

বেনাপোল কাস্টমসে চুরির ঘটনায় ৫ কর্মকতা বরখাস্ত

  বেনাপোল প্রতিনিধি, যশোর

১২ নভেম্বর ২০১৯, ১৩:৩০
বেনাপোল
কাস্টম হাউজ, বেনাপোল

বেনাপোল কাস্টমস হাউজের নিরাপদ গোপনীয় লকার ভেঙে ১৯ কেজি স্বর্ণ চুরি হয়েছে। সুপরিকল্পিত এ চুরির ঘটনায় চোর চক্রের সদস্যদের ধরতে বেনাপোল পোর্ট থানা সহ, ডিবি, সিআইডি (ক্রাইম সিন) ও পিবিআই ঘটনাস্থলে তদন্ত শুরু করেছেন।

এই ঘটনার উৎস খুঁজতে কাস্টমসে কর্মরত ভোল্ট ইনচার্জ এআরও সাইফুল ইসলাম, সিপাহি পারভেজ, মোর্তজা নজরুল, সাধন কুমার কুন্ডসহ ৫ জনকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। প্রাথমিকভাবে তাদের জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে। তবে চুরির ঘটনার এখন পর্যন্ত কোনো তথ্য খুঁজে পায়নি তদন্ত কর্মকর্তরা।

জানা যায়, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ডিএসবির এএসপি তৌহিদুল ইসলাম, সিআইডি ইন্সপেক্টর হারুনর রশিদ, র‌্যাব কর্মকর্তা কামরুজ্জামান, বেনাপোল কাস্টম হাউজের যুগ্ম কমিশনার শহিদুল ইসলাম। এ ঘটনায় বেনাপোল কাস্টমসের যুগ্ম কমিশনার শহীদুল ইসলামকে প্রধান করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

উল্লেখ্য শুক্রবার, শনিবার রবিবার তিন দিন সরকারি ছুটি থাকায় কোন কর্মকর্তা অফিসে ছিলেন না। সোমবার (১১ নভেম্বর) সকালে অফিস খুললে চুরির বিষয়টি ধরা পড়ে। এ ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয় কাস্টমস হাউজে। তখন কী পরিমাণ মালামাল চুরি হয়ে গেছে তা কাস্টমসের পক্ষ থেকে জানানো সম্ভব হয়নি। কাস্টমস কর্তৃপক্ষ হিসাব করে সোমবার রাতে জানায় ভোল্ট থেকে ১৯ কেজি স্বর্ণ খোয়া গেছে। এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় এবং ৫ জনকে বরখাস্ত করা হয়।

সোমবার রাত ১০টা পর্যন্ত ডিবি, সিআইডি, পিবিআই, র‌্যাব ও বেনাপোল পোর্ট থানার অফিস ইনচার্জসহ কর্মকর্তারা ওই লকার রুম থেকে আলামতসহ হাত পায়ের ছাপ সংগ্রহ করেছেন।

ডিএসবির অ্যাডিশনাল এএসপি তৌহিদুর ইসলাম জানান, বেনাপোল কাস্টমের গুদামে বিকল্প চাবি ব্যবহার করে চুরির ঘটনা ঘটেছে কি না তা তদন্ত করা হচ্ছে। এখানকার সিসি ক্যামেরা ৮, ৯, ১০ নভেম্বর পর্যন্ত বন্ধ ছিল ও সিসি ক্যামেরা সংযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল। এখানে পরিমাণে স্বর্ণ ছিল আর স্বর্ণ কী পরিমাণ খোয়া গেছে সেটাও এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে ভোল্টে ৩০ কেজি স্বর্ণ ছিল। যার মধ্যে ১৯.৩৮০ কেজি চুরি হয়েছে।

তদন্তে স্বার্থে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচজনকে আটক করা হয়। আটককৃতদের মধ্যে কাস্টমস ভোল্ট ইনচার্জ এআরও সাইফুল ইসলাম, সিপাহি পারভেজসহ ৩ জন । এ ঘটনায় কাস্টমসে টেন্ডল হিসেবে কাজ করা সুরোত, মহাব্বত, আজিবার নামে আরও তিনজনকে আটক করা হয়েছে ।

বেনাপোল কাস্টমস হাউসের কমিশনার মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন চৌধুরী জানান, কী পরিমাণ অর্থ সম্পদ খোয়া গেছে এটা এ মুহূর্তে নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। ভোল্ট ইনচার্জ এআরও সাইফুল ইসলামসহ ৫ জনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় যুগ্ম কমিশনার মো. শহীদুল ইসলামকে প্রধান করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

ওডি/আরবি

আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড