খুলনা প্রতিনিধি
ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের তাণ্ডব শেষ হলেও খুলনার উপকূলজুড়ে রেখে গেছে তার ধ্বংসাত্মক রেশ। এসব এলাকায় উপড়ে গেছে অসংখ্য গাছপালা। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে আমন ধানসহ শীতকালীন সবজির। তবে, বাংলাদেশের ঢাল খ্যাত সুন্দরবনের কারণে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল ‘সিডর’ কিংবা ‘আইলার’ মতো ব্যাপক ক্ষতিসাধন করতে না পারলেও তছনছ করে দিয়েছে হাজার হাজার কাঁচা-পাকা ঘরবাড়ি। জেলার কয়রা ও দাকোপ উপজেলায় ভেঙে পড়েছে হাজার হাজার গাছপালা। উপকূল এলাকাতে এখনো নেই বিদ্যুৎ সংযোগ। পাশাপাশি এখন পর্যন্ত জেলাজুড়ে ঝড়ের তাণ্ডবে গাছচাপা পড়ে নারীসহ দুইজনের মৃত্যুর জখমও রয়েছে তাজা।
বুলবুলের গ্রাসে খুলনার এই দুই উপজেলায় প্রায় দুই হাজার ২৬৫টি ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। ফলে ঘরবাড়ি হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে রাত্রিযাপন করছে উপকূলের হতদরিদ্র এসব মানুষ। নির্বাক চোখে তাদের অপেক্ষা এখন কেবলমাত্র ত্রাণের জন্য।
ঝড়ো আবহাওয়ায় পানিতে তলিয়ে গেছে জেলার পাঁচ শতাধিক পুকুর ও মাছের ঘের। জেলা কৃষি অধিদপ্তরের তথ্য মতে, জেলার ৯১ হাজার ৮শ হেক্টর আমন ধানের মধ্যে ১০ হাজার ৮শ হেক্টর জমির ধান ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাশাপাশি দুই হাজার ৬শ হেক্টর জমির ধান সম্পূর্ণ বিনষ্ট হয়েছে। এছাড়া তিন হাজার ৬শ হেক্টর অগ্রিম শীতকালীন সবজির মধ্যে ৫শ হেক্টর সবজি সম্পূর্ণ বিনষ্ট হয়েছে। তাইতো বসতঘর আর আবাদি ফসল ঝড়ের কবলে নষ্ট হয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন উপকূলের এসব ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ। সব হারিয়ে এখন নির্বাক চোখে ত্রাণের অপেক্ষায় দিন কাটাচ্ছেন ক্ষতিগ্রস্ত সাধারণ মানুষ।
তবে, খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন দৈনিক অধিকারকে জানিয়েছেন, দ্রুততম সময়ের মধ্যে এসব সমস্যা সমাধানসহ ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠে স্বাভাবিক অবস্থায় জেলাকে ফিরিয়ে আনতে ইতোমধ্যেই তাদের কাজ শুরু করেছে প্রশাসন।
ওডি/আইএইচএন
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড