সারাদেশ ডেস্ক
কয়েক দশকের আইনি লড়াইয়ের পর অবশেষে বহুল আলোচিত অযোধ্যার ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদ মামলার রায় ঘোষণা করেছে ভারতের সর্বোচ্চ আদালত। ভারতের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈর নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ শনিবার (৯ নভেম্বর) এই রায় ঘোষণা করেন। যেখানে অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতে মসজিদ ভেঙে রাম-মন্দির নির্মাণের পক্ষে রায় দিয়েছেন আদালত।
বাবরি মসজিদ মামলা নিয়ে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট যে রায় দিয়েছে তা চরম পক্ষপাতমূলক। দেশটির বর্তমান ক্ষমতাসীন হিন্দুত্ববাদী সরকারকে খুশি করতে এ রায় দিয়েছে ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট। এ রায় ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে মুসলিম বিশ্ব এমনটাই জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির শাহ আহমদ শফী।
রবিবার (১০ নভেম্বর) রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বাবরি মসজিদের রায় প্রসঙ্গে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘১৫২৮ সালে মোঘল সম্রাট বাবরের সেনাপতি মীর বাকি কর্তৃক তৈরি করা হয় বাবরি মসজিদ। ওই স্থানে কথিত ও কল্পিত রাম মন্দির থাকার অজুহাতে ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর উগ্রবাদী হিন্দু কর্তৃক বাবরি মসজিদ শহীদ করে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি করে শত শত মুসলমানকে শহীদ করা হয়। মুসলিম বিশ্ব সে ক্ষত এখনো ভুলেনি।’
দারুল উলূম হাটহাজারীর মহাপরিচালক আল্লামা শাহ আহমদ শফী বলেন, ‘বাবরি মসজিদের বিতর্কিত মামলার পক্ষপাতমূলক রায় এমন সময় দেওয়া হলো, যখন ভারতের মুসলিম জনগোষ্ঠী হিন্দুদের হাতে চরমভাবে নির্যাতিত হচ্ছে। গোমাংস ভক্ষণ ও জয়শ্রীরাম না বলায় পিটিয়ে হত্যা করা হচ্ছে। বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ করা হচ্ছে। আমি মনে করি, এ রায়ে হিন্দুদের খুশি করা হয়েছে। এর মাধ্যমে কট্টর হিন্দুদের উগ্রতা আরও বেড়ে যাবে।’
হেফাজত আমির আরও বলেন, ‘প্রত্নতত্ত্ববিদগণের বহু বার অনুসন্ধানের পরও সেখানে কোনো মন্দিরের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি। এরপরও বাবরি মসজিদের স্থানে রাম মন্দির স্থাপনের অযৌক্তিক রায় দেওয়া হয়েছে। আমাদের আশঙ্কা এতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির চরম অবনতি হবে। এহেন মুহূর্তে মুসলিম বিশ্বের বাবরি মসজিদ ইস্যুতে শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করা এবং ভারতীয় মুসলিমদের পাশে দাঁড়ানো উচিত।’
আরও পড়ুন :- বাবরি মসজিদ মামলার রায় প্রদানকারী ৫ বিচারপতির আদ্যোপান্ত
উল্লেখ্য, বাবরি মসজিদের বিরোধপূর্ণ জমি রামজন্মভূমি ট্রাস্টকে হস্তান্তরের নির্দেশ দিয়েছেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি নতুন মসজিদ নির্মাণের জন্য মুসলিমদের পাঁচ একর জমি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। তবে সেই জমি গ্রহণ করা হবে কি না, সে ব্যাপারে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানায়নি সুন্নি ওয়াক্ফ বোর্ড। এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে ২৬ নভেম্বর আলোচনায় বসবেন তারা।
ওডি/কেএইচআর
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড