দিনাজপুর প্রতিনিধি
দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে হাইব্রিড ও আগাম জাতের রোপা আমন ধান ইতোমধ্যে পাকতে শুরু করেছে। আর কয়েকদিন পরেই ধান কাটতে শুরু করবে কৃষকরা। অভাবের সময় ঘরে তোলা যায় এমন আগাম ও স্বল্পমেয়াদি ধানের জাতের চাষাবাদ চিরিরবন্দরে ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
উপজেলার কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এবার উপজেলায় ২৪ হাজার ৬ শত ৩২ হেক্টর জমিতে ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এবার বাম্পার ফলন হয়েছে। আর এই ফলনের যাতে অনাকাঙ্ক্ষিত পোকা ও কোনো ধরনের রোগবালাই ক্ষতি করতে না পারে এজন্য কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে নানা ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে এবারে পার্চিং পদ্ধতি ব্যাপক হারে ব্যবহারের ফলে রোপা আমন ধানের ভালো ফলন আশা করছে কৃষি বিভাগ।
সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয় কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বাংলা সনের কার্তিকের শুরুতেই চারিদিকে আগাম জাতের আমন ধান কাটা শুরু হয়েছে। তবে যে সকল মাঠ উঁচু এবং আগাম জাতের আলু রোপণ করার মতো জমি। সেই সকল জমিতে আগাম জাতের আমন ধান কাটতে ব্যস্ত সময় পার করছেন এলাকার কৃষকেরা। সেই সঙ্গে গৃহিণীরাও বাড়ির আঙ্গিনা ও উঠান তৈরির কাজে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।
সাতনালা গ্রামের আর্দশ কৃষক রফিকুল ইসলাম জানান, স্বল্প মেয়াদি ও আগাম জাতের ধান চাষে প্রবণতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে যেমন তীব্র অভাবের সময় ঘরে ফসল উঠে, তেমনি কৃষি শ্রমিকদেরও কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়। ধান কাটার পর ওই জমিতে আলুসহ পরবর্তীতে রবি শস্য আগাম চাষ করা যায়।
চিরিরবন্দর উপজেলার কৃষি অফিসার মো. মাহমুদুল হাসান জানান, আগাম জাতের রোপা আমন ধানের চাষ খুবই ভালো হয়েছে। এ ধানের চাষাবাদ করে মঙ্গার সময়টিতে ধান ঘরে তুলে একই জমিতে রবি ফসলেরও চাষ করতে পারবে। এতে কৃষকরা লাভবান হবে এবং কার্তিকের মঙ্গা দূর হবে।
ওডি/টিএএফ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড