বেনাপোল প্রতিনিধি, যশোর
যশোরের শার্শা উপজেলার প্রায় সমস্ত মাঠজুড়েই রয়েছে পাকা আমন ধান। আর কয়েকদিন গেলেই সোনালি আমন ধানে গোলা ভরবেন কৃষকরা। ফুটবে মুখে হাসি। কিন্তু তার আগেই ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাব এক নিমিষেই সেই স্বপ্ন ভেঙে দিয়েছে। জমির ধান শুয়ে পানির নিচে যাওয়ায় কৃষকের মুখে এখন হতাশার ছাপ। ধান নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় সোনালি স্বপ্ন এখন ফিকে হতে চলেছে কৃষকের।
ঝড় বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতির শিকার হয়েছেন এখানকার প্রান্তিক কৃষকরা। বুলবুলের প্রভাবে সৃষ্ট ঝড়ো হাওয়া ও টানা বৃষ্টিতে উপজেলার প্রায় সব মাঠেই আমন ধান শুয়ে পানিতে তলিয়ে গেছে। ক্ষতির শিকার হয়েছেন তরকারি চাষিরাও।
রবিবার (১০ নভেম্বর) সকাল থেকে উপজেলার শার্শা, বেনাপোল, নাভারন ও বাগআঁচড়ার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এসব চিত্র চোখে পড়েছে।
ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে শুক্রবার দুপুর থেকে রবিবার সকাল পর্যন্ত শার্শা উপজেলায় থেমে থেমে বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি থামলেও এখনো শার্শার আকাশ জুড়ে রয়েছে ঘন মেঘ।
শার্শা উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এবার মণিরামপুরে ১৮ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে আমনের চাষ হয়েছে। বাম্পার ফলনও হয়েছে সব মাঠে। কিন্তু দুই দিনের বৃষ্টিতে উপজেলার সব এলাকায় চাষকৃত ধানের শতকরা ১৫ ভাগ মাটিতে শুয়ে পড়েছে। এছাড়া অন্যান্য ফসলেরও ক্ষতি হয়েছে ব্যাপক।
শার্শার শ্যামলাগাছি গ্রামের প্রান্তিক কৃষক মিনারুল বলেন, ‘দুই বিঘা জমি বর্গা নিয়ে ধান চাষ করেছিলাম। এখন ঝড় ও বৃষ্টিতে সব ধান পানিতে শুয়ে গেছে। এই ক্ষতি কিভাবে পূরণ করব ভেবে পাচ্ছি না।
শার্শা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৌতম কুমার শীল দৈনিক অধিকারকে বলেন, বুলবুলের প্রভাবে দুই দিনের বৃষ্টিতে আমন ধানসহ অন্যান্য মৌসুমি ফসলের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। প্রায় ১৫ ভাগ ধান মাটিতে শুয়ে গেছে। যদি আর বৃষ্টি না হয় তাহলে পড়ে যাওয়া ধানের কোনো ক্ষতি হবে না। এছাড়া সব ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদের খোঁজখবর নিচ্ছেন বলেও জানান তিনি।
ওডি/এসএএফ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড