হাবিবুর রহমান, গাজীপুর
গাজীপুর সদর উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের পুর্ব ডগরী গ্রামের একটি অংশই হলো সবজিপাড়া। বছরের প্রায় ৯ মাস এখানকার খেটে খাওয়া নিম্নবিত্তের মানুষ সবজি চাষাবাদ করে এবং তা বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। তাই কেউ কেউ ডগরী গ্রামের এই পাড়াকে সবজি গ্রামও বলে থাকেন।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, সবজিপাড়ার কৃষকরা এখন শীতকালীন সবজি চাষে ব্যস্ত। কৃষকদের পাশাপাশি কৃষাণীরাও সবজি ক্ষেতে কাজ করছেন। শীতকালীন সবজি যেমন- শসা, বেগুন, মুলা, কপি, শিম, লাউ, লালশাক চাষে তারা বেশ লাভবান হয়েছেন। এছাড়া বিষমুক্ত সবজি উৎপাদনে সচেতন এ এলাকার কৃষক কৃষাণীরা।
কৃষাণী হোসনা বেগম জানান, তারা জমিতে জৈবসার প্রয়োগ করেন। খরচ কমাতে নিজেদের জমিতে নিজেরাই শ্রম দেন।
হোসনা বেগমের স্বামী ষাটোর্ধ মনিরুল ইসলাম বলেন, কোনো দিন সবজি কিনিনি, ক্ষেতের সবজির টাকায় চলে সংসার। এবার এক বিঘা জমিতে ফুলকপি ও আধা বিঘা জমিতে বেগুনের চাষ করেছেন বলে তিনি জানান। এ থেকে তিনি ২২ হাজার টাকা খরচ করে সাড়ে তিন মাসে ৭৫ হাজার টাকায় সবজি বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করছেন।
মনিরুলের মতো নতুবালি মিয়া, আলম হোসেন, বেলায়েত হোসেন জমিতে নানান সবজির আবাদ করেছেন। কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, স্থানীয় মনিপুর, ডগরী, তালতৈল ,পিরুজালী বাজারসহ গাজীপুর সদরের বিভিন্ন বাজারে ওই সবজির চাহিদা থাকায় কৃষকরা দামও পান ভালো। কৃষি সম্প্রারণ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, জেলায় এবার ৫৭০ হেক্টর জমিতে সবজি চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে। গাজীপুর সদরের মাঠ পর্যায়ের উপ-কৃষি কর্মকর্তা আকর্ব আলী জানান, সবজি ও ফসল চাষে কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন।
সবজি পাড়ার কৃষকরা স্থানীয় বাজারে মুলা শাক বিক্রি করছেন প্রতিকেজি ২০ থেকে ২৫ টাকায়। উৎপাদিত আগাম চাষকৃত লাউ বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩৫ টাকায়। সবজির এ দাম পেয়ে খুশি বলে জানান সবজিপাড়ার কৃষক আলাল উদ্দিন।
ওডি/ এফইউ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড