অধিকার ডেস্ক
ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে বাগেরহাটের জেলেদের মনে। বঙ্গোপসাগরে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়লেও ভয়ে ফিরে এসেছেন অধিকাংশ জেলেরা।
বাগেরহাটের পাথরঘাটা উপজেলার জেলে মো. মোহাসিন মিয়া বলেন, ‘তিন চার দিন আগে সাগরে গিয়েছিলাম। আরও দিন দুই-তিনেক থাকার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু সাগরে বড় বড় ঢেউ আর বাতাসে টিকে থাকা সম্ভব হলো না। তাই তাড়াতাড়ি ফিরে আসছি। যারা যেদিক পারছে উঠে আসছে।’
কচুয়া উপজেলার ভাসা গ্রামের জেলে ইমারত আলী বলেন, ‘পুরো ২২ দিনের অবরোধ (নিষেধাজ্ঞা) শেষে পূর্ণিমার গোন শুরু হচ্ছিল। সাগরে ঝাঁকে ঝাঁক ইলিশ মিলছিল। কিন্তু সাগর উত্তাল হওয়ায় টিকতে না পেরে দ্রুত ফিরে আসতে হলো।’
ইলিশ শিকারের মৌসুম হওয়ায় সকালে ১০ নম্বর বিপদ সঙ্কেত উপেক্ষা করেও কিছু জেলেকে শনিবার (৯ নভেম্বর) সকালে বলেশ্বর নদে মাছ ধরতে দেখা গেছে। তবে বেলা ৩টার মধ্যে ফিরে গেছেন অধিকাংশ।
এ দিকে ঝড়ের কারণে ১০ নম্বর মহাবিপদ সঙ্কেত ঘোষণায় সিডর বিধ্বস্ত বাগেরহাটের উপকূলীয় উপজেলা শরণখোলার মানুষের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়নে বগী এলাকায় বেড়িবাঁধের প্রায় এক কিলোমিটার এলাকা ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছেন আট সহস্রাধিক মানুষ। তবে ঝুঁকি থাকলেও আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে অনীহা একটি বড় অংশের মানুষের।
স্থানীয়দের ভাষ্য মতে, ঘর ফেলে কেউ যেতে চায় না। প্রয়োজন হলে তারা আশ্রয়কেন্দ্রে যাবে। তবে সন্ধ্যা থেকে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষদের সরিয়ে নিতে চাপ প্রয়োগ করছে প্রশাসন।
ওডি/জেআই
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড