ঝালকাঠি প্রতিনিধি
ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে ঝালকাঠিতে ৭৪টি আশ্রয়কেন্দ্রে সাত হাজার ৪০ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন।
শনিবার (৯ নভেম্বর) দুপুরের পর থেকে নদী তীরের বাসিন্দারা আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়া শুরু করেন। রাতে এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জেলা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
দুপুরে ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী স্পিড বোট নিয়ে নদী তীরের সাইক্লোন শেল্টারগুলো পরিদর্শন করেছেন। জেলা প্রশাসক দুর্যোগ মোকাবিলায় সব ধরণের প্রস্তুতি রয়েছে বলেও আশ্রয় নেওয়া মানুষদের আশ্বস্ত করেছেন। বিকালে পুলিশ সুপার ফাতিহা ইয়াসমিন সদর উপজেলার বিষখালী নদী তীরের ভাটারাকান্দা ও সাচিলাপুর সাইক্লোন শেল্টার পরিদর্শন করেন। এখানে অসংখ্য মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। অনেকে গবাদিপশুও নিয়ে এসেছেন আশ্রয় কেন্দ্রে। জেলায় ৫টি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। অতি ঝুঁকিপূর্ণ জেলার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার খবরে জেলার বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। সুগন্ধা ও বিষখালীসহ অন্যান্য নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। অভ্যন্তরীণ এবং দূরপাল্লার সকল রুটে নৌযান চলালচ বন্ধ রাখা হয়েছে। দুপুর থেকে দমকা হাওয়া ও মুশলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। জেলায় ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দকৃত ঘূর্ণিঝড় পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য ১০ লাখ টাকা ও ৩৫০ প্যাকেট শুকনো খাবার প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
ঝালকাঠির পুলিশ সুপার ফাতিহা ইয়াসমিন বলেন, পুলিশের পক্ষ থেকে সব ধরণের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। আমরা সব সাইক্লোন শেল্টারে পুলিশ পাহারা রেখেছি। মাইকিং করে ঘূর্ণিঝড়ের বিষয়টি জানানো হয়েছে। এখন আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় সাত হাজার মানুষ নিরাপদে রয়েছে। যারা আসতে চাচ্ছে না, তাদেরকেও বুঝিয়ে আনা হয়েছে।
ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী আরও বলেন, দুর্যোগের মধ্যে নদী তীরের মানুষের খবর নিতে আমরা বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছি। মানুষকে সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নেওয়ার জন্য মাইকিংসহ নানা প্রচার প্রচারণা চালানো হচ্ছে। আশ্রয় নেওয়া মানুষের জন্য শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ইতোমধ্যে সবগুলো সাইক্লোন শেল্টারে শুকনো খাবার পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। আশাকরি আমরা দুর্যোগ মোকাবিলা করতে পারব।
ওডি/এএসএল
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড