খুলনা প্রতিনিধি
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় বুলবুল বাংলাদেশের উপকূলের দিকে ক্রমশ ধেয়ে আসছে। এতে খুলনার উপকূলে ১০ নম্বর মহা বিপদ সঙ্কেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
খুলনার উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দারা রাতে আশ্রয়কেন্দ্রে না গেলেও শনিবার (৯ নভেম্বর) সকাল থেকে আশ্রয়কেন্দ্রে যাচ্ছে।
খুলনার উপকূলীয় এলাকা দাকোপ, কয়রা, পাইকগাছা, বটিয়াঘাটা সংলগ্ন বেড়িবাঁধ ঘুরে দেখা গেছে এখানকার বাসিন্দারা তাদের মালামাল নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটে চলেছেন। শিশু ও বৃদ্ধদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে স্বেচ্ছাসেবকরা আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাচ্ছেন।
এ দিকে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলকে কেন্দ্র করে উপকূলবর্তী এলাকায় ১০ নম্বর বিপদ সঙ্কেত জারির পরে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি), রেডক্রিসেন্টসহ বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের স্বেচ্ছাসেবকরা মাইকিং শুরু করেছে। পাশাপাশি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, ফায়ার সার্ভিস, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও রোভার স্কাউটের সদস্যরাও উপকূলের বাসিন্দাদের নিরাপদে আশ্রয় যাওয়ার জন্য কাজ করছেন।
খুলনার আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫-৭ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে। সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন জানান, আমাদের সব প্রস্তুতি রয়েছে। শুক্রবার (৮ নভেম্বর) রাত থেকেই বেড়িবাঁধ এলাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় নিরাপদে যাওয়ার জন্য মাইকিং করা হয়েছে। এখনো মাইকিং চলছে। ইতোমধ্যে উপকূলের ১ লাখ ১০ হাজার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছে।
ওডি/এসজেএ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড