সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’-এর প্রভাবে সাতক্ষীরায় দিনভর গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টিসহ ঝড়ো হাওয়া বইছে। আবহাওয়া অফিসের পক্ষ থেকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সতর্ক সঙ্কেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ইতোমধ্যে পুলিশ, বিজিবি, নৌবাহিনী ও কোস্ট গার্ডের সমন্বয়ে গঠিত টিম উপকূলবর্তী মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে আনার কাজ শুরু করেছে। হাসপাতাল ও কমিউনিটি ক্লিনিক সার্বক্ষণিক খোলা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক এসএস মোস্তফা কামাল ইতোমধ্যে জেলার ২৭০টি আশ্রয় কেন্দ্রে ৬০ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন বলে দাবি করেছেন। এছাড়া দুর্যোগ কবলিতদের সহায়তায় ৩১০ মেট্রিক টন চাল, নগদ ৫ লাখ ৪২ হাজার টাকা, ২ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার, ২৭ হাজার পিস পানি বিশুদ্ধিকরণ ট্যাবলেট ও পর্যাপ্ত ওষুধপত্র মজুদ রাখা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক জানিয়েছেন, দুর্যোগ পূর্ববর্তী, দুর্যোগ কালীন এবং দুর্যোগ পরবর্তী তিন স্তরের প্রশিক্ষিত ২২ হাজার স্বেচ্ছাসেবকসহ ৮৫ টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রয়েছে। এছাড়া শিশুদের জন্য ১ লাখ টাকা ও গবাদি পশুর জন্য আরও ১ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। উপকূলীয় উপজেলা শ্যামনগর, আশাশুনি ও কালিগঞ্জ উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকায় সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এছাড়া সুন্দরবন সংলগ্ন নদী ও খালে থাকা নৌযানগুলোকে উপকূলবর্তী নিরাপদ স্থলে আনা হয়েছে।
এ দিকে, পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, সাতক্ষীরার দুটি বিভাগের আওতায় ২৫০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’-এর প্রভাবে ৭ ফুট উচ্চতার যে জলোচ্ছ্বাসে আশঙ্কা করা হচ্ছে, তা হলে এসব বেড়িবাঁধ রক্ষা করা সম্ভব হবে না।
সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিসের উপপরিচালক জুলফিকার আলি জানান, বেলা ১২ পর্যন্ত সাতক্ষীরায় ২৯ মিলি লিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, এখনও পর্যন্ত সাতক্ষীরায় ১০ নম্বর বিপদ সঙ্কেত চলছে।
ওডি/আরবি
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড