বিশেষ প্রতিনিধি
ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুলে’র প্রভাবে সকাল থেকেই ভোলার নদীগুলো উত্তাল। সকাল থেকে মাঝে মধ্যে থেমে থেমে হালকা ও ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। আশ্রয় কেন্দ্র আসতে শুরু করেছে মানুষ।
শনিবার (৯ নভেম্বর) দুপুর ১২টার মধ্যে দুর্গম চরাঞ্চল হতে মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্র আনতে কাজ করে যাচ্ছে পুলিশ, কোস্ট গার্ড, নৌ-পুলিশ, সিপিপি, রেড ক্রিসেন্ট, রোভার স্কাউটসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রায় ১৩ হাজার সেচ্ছাসেবকরা।
জেলা প্রশাসন থেকে সাত উপজেলায় সাতটি ও জেলায় একটি মিলিয়ে খোলা হয়েছে আটটি কন্ট্রোল রুম।
গতকাল জেলা প্রশাসনের প্রস্তুতি সভার পর পরই খুলে দেওয়া হয়েছে জেলার মোট ৬৬৮টি আশ্রয়কেন্দ্রসহ কয়েক শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এছাড়া দুর্গম চরাঞ্চলে গাবাদি পশুকে নিরাপদ আশ্রয়ে ৩৯টি মুজিব কেল্লায় স্থান দেওয়া হয়েছে। ৯২টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রয়েছে যে কোনো পরিস্থিতিতে মানুষকে সেবা দিতে।
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিলের কারণে অনেকে বৃহস্পতিবার ভোলার বাহিরে গেলেও গতকাল দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্য দিয়ে ফিরেছেন কর্মস্থলে।
জেলার অভ্যন্তরীণ এবং বর্হিঃরুটে সকল নৌ-যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
ভোলা জেলা প্রশাসক মাসুদ আলম ছিদ্দিক জানায়, ইতোমধ্যে মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্র নিয়ে আসা হচ্ছে। ১৩ হাজার সেচ্ছাসেবক কাজ করছে মাঠে। দুপুর ১২টার মধ্যে উপকূলীয় সকল মানুষকে নিরাপদে নিয়ে আসা হবে। বিশেষ করে নারী, শিশু, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা ও প্রতিবন্ধীদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনার জন্য বিশেষ টিম গঠন করা হয়েছে। এছাড়া গতকাল থেকেই রেড ক্রিসেন্ট, সিপিপি সতর্কতা সঙ্কেত প্রদান করছে। আমরা মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত আছি।
ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে ইতোমধ্যে নগদ বরাদ্দের ১০ লাখ টাকার মধ্যে ৫ লাখ ৬৯ হাজার টাকা উপজেলা পর্যায়ে বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া, ২০০ মেট্রিকটন চাল এবং ২০০০ প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসক আরও জানান, ৬৬৮টি আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া লোকজনকে তিন বেলা খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি শুকনো খাবারের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।
ওডি/এমবি
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড