মহাবিপদ সঙ্কেত জারির পরও আশ্রয় কেন্দ্রে যাচ্ছে না এলাকাবাসী

বাগেরহাটের মোংলায় ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুলের’ প্রভাবে ১০ নম্বর মহাবিপদ সঙ্কেত জারি করা হয়েছে। মহাবিপদ সঙ্কেত জারির পরও আশ্রয় কেন্দ্রে যায়নি এলাকাবাসীরা। শনিবার (৯ নভেম্বর) সন্ধ্যা নাগাদ ঘূর্ণিঝড় বুলবুল উপকূল অতিক্রম করতে পারে। ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৮০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে।

মহাবিপদ সঙ্কেত জারির পরও আশ্রয় কেন্দ্রে যায়নি লোকজন। তাদের জোর করে আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়ার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে তৎপরতা চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাহাত মান্নান।

এ দিকে, মহাবিপদ সঙ্কেত জারির পর তিনটি পতাকা উড়ানোর কথা থাকলেও মাত্র একটি পতাকা উড়তে দেখা গেছে। এতে জনসাধারণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হচ্ছে।

একটি পতাকা টানানোর বিষয়ে ইউএনওর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘আমরা এখন বের হচ্ছি।’ মোংলা পৌর কর্তৃপক্ষ, পুলিশ, বন্দর কর্তৃপক্ষ ও ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে দুর্গতদের আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার ব্যাপারে দফায় দফায় সতর্কতামূলক মাইকিং করলেও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তেমন তৎপরতা চোখে পড়েনি।

উল্লেখ্য, ভয়াবহ রূপ নিয়েছে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’। ধেয়ে আসছে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলের দিকে। ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৮০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। অন্যান্য উপকূলীয় অঞ্চলের মধ্যে মোংলার সবচেয়ে নিকটতম অবস্থানে রয়েছে ‘বুলবুল’।

ওডি/এসজেএ