বাগেরহাট প্রতিনিধি
বাগেরহাটে ঝড়ো বাতাসের সঙ্গে টানা বৃষ্টিপাত ও মোংলা বন্দরে ৭ নম্বর বিপদ সঙ্কেত জারির পর আতঙ্কে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে শুরু করেছে সুন্দরবন সংলগ্ন উপকূলবাসী। জেলার সুন্দরবন সংলগ্ন শরণখোলা, মোড়েলগঞ্জ ও মোংলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে লোকজন আশ্রয়কেন্দ্রের দিকে যাচ্ছেন।
এ দিকে, ঘূর্ণিঝড় বুলবুল মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২৩৪টি আশ্রয়কেন্দ্রে প্রস্তুত রাখার পাশাপাশি শুকনো খাবার ও নিরাপদ পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। জেলায় ২৩৪টি আশ্রয়কেন্দ্রের মধ্যে সদর উপজেলায় সাতটি, কচুয়ায় আটটি, ফকিরহাটে পাঁচটি, মোল্লাহাটে ১০টি, চিতলমারী ২০টি, রামপালে ২৬টি, মোংলায় ৩৪টি, মোরেলগঞ্জে ৪২টি ও শরণখোলায় ৮২টি রয়েছে। বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কামরুল ইসলাম জানান, ঘূর্ণিঝড় বুলবুল মোকাবিলায় জেলায় ২৩৪টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখার পাশাপাশি শুকনো খাবার ও পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও স্বেচ্ছাসেবীদের সহয়তায় সুন্দরবন সংলগ্ন এলাকাগুলো থেকে জনসাধারণের নিরাপদ আশ্রয়ে নিতে মাইকিং করা হচ্ছে।
অপর দিকে, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় মোংলা সমুদ্র বন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সঙ্কেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। সন্ধ্যায় ৭ নম্বর বিপদ সঙ্কেত জারির পর জরুরি বৈঠক শেষে বন্দর কর্তৃপক্ষ নিজস্ব এলার্ট-০৪ জারি করেছে। এর ফলে বন্দরে অবস্থানরত সকল দেশি-বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজের পণ্য ওঠা-নামার কাজ সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। এছাড়া বন্ধ রয়েছে- বন্দরে জাহাজ আগমন-নিগর্মনও।
ঘূর্ণিঝড় মনিটরিংয়ের জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষ, মোংলা পোর্ট পৌরসভা ও উপজেলা প্রশাসন পৃথক কন্ট্রোলরুম খুলেছে। মোংলায় ৮৪টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পৌর কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ প্রশাসন শহর জুড়ে বিপদ সঙ্কেতের বার্তা প্রচারের পাশাপাশি জনসাধারণকে নিকটতম আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য পরামর্শ দিচ্ছেন।
ওডি/ এফইউ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড