কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে সালমা খাতুন (১৯) নামের এক তরুণীকে ধর্ষণ শেষে হত্যার অভিযোগে আদালতের নির্দেশে দুই মাস পর কবর থেকে লাশ উত্তোলন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে কুমারখালীর পান্টির ওয়াশী গ্রামের কবরস্থান থেকে তার লাশ উত্তোলন করা হয়।
আদালত সূত্রে জানা যায়, কুমারকালীর পান্টি ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি শিক্ষার্থী ও বাগবাড়িয়া গ্রামের সবদার জোয়াদ্দারের মেয়ে সালমা খাতুনের সঙ্গে সহপাঠী পান্টি গ্রামের শাকিলের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এ দিকে গত ৬ মাস আগে সালমাকে পরিবারের লোকজন কুষ্টিয়া সদর উপজেলার আব্দালপুরে খয়বারের ছেলে রিপনের সঙ্গে বিয়ে দেয়। এতে শাকিল ক্ষিপ্ত হয়ে গত ৮ সেপ্টেম্বর রাতে সালমাকে কৌশলে তার বাড়িতে ডেকে ধর্ষণ শেষে হত্যা করে।
পরদিন ভোরে সালমার পরিবার জানতে পেরে শাকিলের বাড়ি গিয়ে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় তার লাশ দেখতে পায়। পরে কুমারখালী থানাকে জানালে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্ত শেষে ওয়াশি কবরস্থানে দাফন করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে কুমারখালী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।
এ দিকে পরিবারের লোকজন জানতে পারে সালমাকে ৭ থেকে ৮ জন মিলে ধর্ষণ করে হত্যা করে। এ ঘটনায় আদালতে মামলা দায়ের করলে আদালত পুনরায় ময়না তদন্ত করতে কবর থেকে সালমার লাশ উত্তোলনের নির্দেশ দেন। ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে লাশ উত্তোলন করে ময়না তদন্ত করতে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।
ওডি/এসজেএ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড