ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে ভাইয়ের শ্বশুর ধর্ষণ করায় এক তরুণী ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার (৬ নভেম্বর) দিবাগত রাতে ফোন পেয়ে পুলিশ ধর্ষণের শিকার তরুণীকে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত আতাউর রহমানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত আতাউরের বাড়ি লালমনিরহাটের সদর উপজেলার কিসামতহারিটি গ্রামে। বর্তমানে তিনি পাগলা থানার পাইথল ইউনিয়নের গোয়ালবর গ্রামে অস্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। তিনি পোল্ট্রি ফার্মে চাকরি করতেন।
পাগলা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ফাইজুর রহমান বলেন, ‘তরুণীকে থানায় নিয়ে আসলে জানায় তার ভাবির বাবা তাকে ধর্ষণ করেছে। এ ঘটনায় বুধবার রাত দেড়টার দিকে তরুণীর বাবা থানায় বেয়াই আতাউর রহমানকে আসামি করে মামলা করেন। এরপরই ভোর রাতে পাইথল ইউনিয়নের গোয়ালবর থেকে আতাউর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়।’
তিনি বলেন, ধর্ষণের শিকার তরুণী স্থানীয় এক মাদ্রাসায় নবম শ্রেণিতে পড়ে। অভিযুক্ত আতাউর রহমানের মেয়েও একই শ্রেণিতে পড়ালেখা করত। তারা বান্ধবী ছিল। আতাউরের মেয়ের সঙ্গে ভিকটিমের ভাইয়ের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। আতাউর রহমান প্রায় সময়ই মেয়ের জামাই বাড়িতে যাতায়াত করত। দুই থেকে তিন মাস আগে ভিকটিম অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা করায় তার পরিবার। এতে ওই তরুণী এক মাসের মতো জ্বরে ভোগেন।
কয়েকদিন আগে ভিকটিমের শারীরিক পরিবর্তন ঘটে। এ বিষয়ে তার ভাই ও ভাবি জেরা করার পর সে জানায়, তার ভাইয়ের শ্বশুর আতাউর রহমান গত ২৮ মে রাতে তাদের বাড়ির পরিত্যক্ত ঘরে জোর করে ধর্ষণ করে। এ সময় ধর্ষণের পর হুমকি দেয় এ কথা কাউকে জানালে তার ভাই ও পরিবারের লোকজনের ক্ষতি করবে। এই ভয়ে ভিকটিম এতদিন কাউকে কিছু জানায়নি।
তিনি আরও বলেন, ধর্ষণের শিকার তরুণী ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা। আসামিকে গ্রেফতারের পাশাপাশি তরুণীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পাগলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুজ্জামান খান জানান, বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর হওয়ায় অভিযোগ পাওয়া মাত্র মামলা রেকর্ড করে আসামিকে গ্রেফতার করা হয়।
ওডি/এসজেএ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড