মাহাতাব উদ্দিন লালন, কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার এক মাস পূর্ণ হয়েছে আজ (৬ নভেম্বর)। মেধাবী সন্তানকে হারিয়ে মা রোকেয়া খাতুন ও বাবা বরকত উল্লাহ পাগলপ্রায়। ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজ ঢাকা কলেজের ভর্তি বাতিল করে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে ভর্তি হয়েছেন। তার পড়াশোনায়ও ছন্দপতন ঘটেছে।
বুয়েট হলে আবরারের ব্যবহার করা জিনিসপত্র নিয়ে সময় কাটে আবরারের বাবা-মায়ের। ফাইয়াজ এখনো স্বাভাবিকভাবে পড়াশোনায় ফিরতে পারেনি। সব মিলিয়ে পরিবারটির অবস্থা এলামেলো।
আবরারের পরিবারের সদস্যরা বলেন, এ হত্যার সঙ্গে জড়িত অনেকেই গ্রেফতার হয়েছেন। এজাহারভুক্ত ১৯ আসামির মধ্যে ১৬ জনকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গ্রেফতার করেছে। এছাড়াও আরও ৫ জন গ্রেফতার হয়েছেন, যারা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। গ্রেফতারদের বাইরেও আরও কয়েকজন আছেন; যারা এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিলেন। তাদের চিহ্নিত করে দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন তারা।
তারা বলেন, আবরার হত্যাকাণ্ডের পর প্রধানমন্ত্রী যেভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন ও পাশে দাঁড়িয়েছেন; তাতে আমরা কৃতজ্ঞ। পাশাপাশি দাবি জানাচ্ছি, এ মামলায় গ্রেফতারদের প্রতি কোনো প্রকার শিথীলতা যেন না দেখানো হয়। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যেন কম সময়ে চার্জশিট দাখিল করা হয়। ন্যায় বিচার পেতে যেন আমাদের সহযোগিতা করা হয়।
পরিবারের সদস্যরা এ সময় ফেনীর নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলার বিচার প্রক্রিয়ার উদহারণ টেনে বলেন, যেভাবে নুসরাত হত্যা মামলার আসামিদের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে নিয়ে অল্প সময়ের মধ্যে বিচার সম্পন্ন করা হলো, আমরা দাবি আবরার হত্যা মামলাটিও অতিদ্রুত সময়ে শেষ হোক।
গত ৬ অক্টোবর বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শেরে বাংলা হলে আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। নিহত ফাহাদ বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের (১৭তম ব্যাচ) শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি শের-ই বাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন।
ওডি/এমআর
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড