সারাদেশ ডেস্ক
৩২ ইঞ্চি উচ্চতায় শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী মো. আব্দুল হামিদ। দাঁড়ানোর শক্তি নেই তার। এরপরও অফুরান প্রাণশক্তি নিয়ে মায়ের কোলে চড়ে জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে খাগড়াছড়ির পানছড়ি ইসলামিয়া সিনিয়র মাদরাসার এ শিক্ষার্থী।
শনিবার (২ নভেম্বর) মা হামিদা বেগম ছেলেকে কোলে নিয়ে আসেন পানছড়ি ইসলামিয়া সিনিয়র মাদরাসা পরীক্ষা কেন্দ্রে।
পরীক্ষার হলে নির্ধারিত আসনে আব্দুল হামিদকে বসিয়ে বাইরে অপেক্ষা করছেন মা। পরীক্ষা শেষে আবারও মায়ের কোলে বাড়ি ফিরল মো. আব্দুল হামিদ।
খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার কলাবাগান এলাকার মো. আব্দুল আলী (পিঠা মেম্বার) ও হামিদা বেগম দম্পতির ৭ সন্তানের মধ্যে আব্দুল হামিদ সপ্তম। সে শারীরিক প্রতিবন্ধী হলেও শিক্ষায় পিছিয়ে নেই। মায়ের কোলে চড়েই পিএসসি শেষ করে এখন জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে।
পানছড়ি ইসলামিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাও. আবুল কাশেম জানান, শারীরিক প্রতিবন্ধী আব্দুল হামিদ নিজের পায়ে ভর করে হাঁটতে পারছে না। তাই মায়ের কোলে চড়েই নিয়মিত ক্লাসে আসত। প্রতিবন্ধী হওয়ায় আমরাও সবসময় তার প্রতি একটু যত্নশীল ছিলাম।
তিনি বলেন, মায়ের এ অসাধারণ ত্যাগ, পরিশ্রম ও ভালোবাসার সঙ্গে কারও ভালোবাসার কখনোই তুলনা হয়। মা শুধুই মা।
আব্দুল হামিদের বাবা মো. আব্দুল আলী (পিঠা মেম্বার) ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। দুবার বসতবাড়িসহ দোকান আগুনে পুড়ে নিঃস্ব হওয়া মো. আব্দুল আলী (পিঠা মেম্বার) পানছড়ি ইসলামিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার সামনে একটি টঙ দোকানে চা বিক্রি করেন। শীতের মৌসুমে ভাপা পিঠা বিক্রি আর ছোট্ট চা দোকানই তার ভরসা।
তিনি জানান, আব্দুল হামিদসহ তার দুই ছেলে প্রতিবন্ধী এবং দুজনেই শিক্ষা ভাতা পায়।
ওডি/এসএএফ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড