নওগাঁ প্রতিনিধি
নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার নান্দাইবাড়ি-মালঞ্চি নামক স্থানে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় ছোট যমুনা নদীর বেড়িবাঁধের। সংস্কার না করায় চলতি মৌসুমের যে কোনো সময় বাঁধটি ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
রাণীনগর-আত্রাই সড়কের ঘোষগ্রাম থেকে আত্রাই পর্যন্ত সড়কের প্রায় ২০টি জায়গায় সড়কটির মাটি দেবে যাওয়ায় স্থানীয়রা বাঁশের পাইলিং দিয়ে সড়কটি রক্ষার চেষ্টা করে। তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সংস্কার কিংবা মেরামতের দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি চোখে পরার মতো নয়।
জানা গেছে, কয়েকদিনের টানা বর্ষণে নওগাঁর ছোট যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নদীর তীর ঘেঁষা নান্দাইবাড়ি-মালঞ্চি এলাকায় প্রায় পৌনে এক কিলোমিটার বেড়িবাঁধে ইতোমধ্যেই ভাঙন দেখা দিয়েছে। সেই ভাঙন কবলিত স্থানগুলো দায়সারা মেরামত করা হলেও বেরি বাঁধগুলো ক্ষতিগ্রস্ত থাকায় দিনদিন ভাঙনের গতি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখনই জরুরি ভিত্তিতে সংস্কার কাজ শুরু করতে না পারলে যে কোনো সময় বাঁধটি ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ভাঙন কবলিত জায়গাগুলো শুষ্ক মৌসুমে সংস্কার করা হলেও শতভাগ ঝুঁকিপূর্ণ জায়গাগুলো সংস্কারের তেমন কোনো উদ্যোগ এখনো নেওয়া হয়নি।
বর্তমানে রাণীনগরের কৃষ্ণপুর, মালঞ্চি, নান্দাইবাড়ি নামক নদী তীরবর্তী স্থানগুলো সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ। দীর্ঘ প্রায় ১৬ মাস অতিবাহিত হলেও বাঁধ সংস্কারের কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ফলে যে কোনো মুহূর্তে বেড়িবাঁধ ভেঙে গেলে রাণীনগর-আত্রাই উপজেলার প্রায় ১৬ হাজার হেক্টর রোপা-আমন ধানসহ মৌসুমি শাক-সবজি তলিয়ে যাবে বন্যার পানিতে।
রাণীনগর উপজেলার ৩ নম্বর গোনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল হাসনাত খান হাসান বলেন, নদীর তীরবর্তী বেড়িবাঁধ ভাঙন এলাকায় পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ভাঙন শুরু হয়েছে। বেড়িবাঁধের নান্দাইবাড়ি নামক স্থানে ভেঙে গেলে রাণীনগর-আত্রাই উপজেলার ফসলি জমি ও ঘর-বাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হবে। তাই জনস্বার্থে আমিসহ আমার পরিষদের কয়েকজন ইউপি সদস্য মিলে কিছু বাঁশ কিনে ভাঙন রোধে কাজ শুরু করেছি।
নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী শুধাংশু কুমার জানান, রাণীনগর উপজেলার গোনা ইউনিয়নের নান্দাইবাড়ি-মালঞ্চি গ্রামের পার্শ্বে নদী তীরবর্তী বেড়িবাঁধটি পানির তোরে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও এই অংশটি আমাদের না। তারপরও আগামীতে ওই বাঁধ পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে সংস্কার বা পুনর্নির্মাণের চিন্তা ভাবনা রয়েছে।
নওগাঁ-৬ (আত্রাই-রাণীনগর) আসনের সংসদ সদস্য ইসরাফিল আলম বলেন, বাঁধের এই অংশটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। আমি একাধিকবার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এই বিষয়টি অবহিত করেছি। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কারও সুদৃষ্টি পড়েনি এখানে। অতিদ্রুত আমি আমার সাধ্যমতো চেষ্টা করবো সকলের সহযোগিতা নিয়ে এই বাঁধের সংস্কার কাজ শুরু করার পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য।
ওডি/এএসএল
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড