ভৈরব প্রতিনিধি, কিশোরগঞ্জ
‘গাছ লাগান পরিবেশ বাঁচান’ এমন স্লোগানে সরকার যখন সারা দেশে বৃক্ষরোপণ অভিযান শুরু করেছে, তখন কিশোরগঞ্জের ভৈরবে আইন অমান্য করে একটি ফলদ (জাম) গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে পৌরসভার কাউন্সিলর মোমেন মিয়ার বিরুদ্ধে।
এলাকাবাসীদের দাবি, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভেতরে থাকা ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা মূল্যের ওই ফলদ গাছটি কেটে ফেলায় হাসপাতালের পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাশাপাশি হাসপাতালের ভেতরে সৌন্দর্য বর্ধন, ছায়া ও অক্সিজেন থেকে বঞ্চিত হতে হবে এলাকাবাসীসহ চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীদের।
এলাকাবাসীর এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) সরেজমিনে গিয়ে গাছ কাটার সত্যতা পাওয়া যায়। হাসপাতালের ভেতরে দেখা যায়, গত দুই থেকে তিন দিন আগে কেটে ফেলা ওই ফলদ (জাম) গাছটির অংশ মাটিতে পড়ে আছে। এছাড়া ডালপালাসহ অন্যান্য অংশ অন্যত্র সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত কাউন্সিলর মো. মোমেন মিয়া জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নতুন ভবনের নির্মাণ কাজ চলছে পাশাপাশি ভাঙা হচ্ছে পুরাতন একটি ভবন। গাছটি নতুন ভবন তৈরিতে বাধা হতে পারে। তাই ভবন নির্মাণের সুবিধার্থে একজন মুঠোফোনে তাকে একথা জানানোর পর তিনি গাছটি কেটে ফেলার জন্য বলেন। এ সময় গাছ কাটতে বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের অনুমতি কিংবা হাসপাতালের কমিটির অনুমতি নেওয়া হয়েছে কিনা, এ ব্যাপারে জানাতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ভুল হয়ে গেছে, ভবিষ্যতে এমন ভুল হবে না।’
এ দিকে, ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. বুলবুল আহমদ জানান, গাছটি কাটার বিষয়টি তিনি জানেন না। তবে, বিষয়টিতে খোঁজ-খবর নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।
একইভাবে ভৈরব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লুবনা ফারজানা বলেন, যদি কোনো কারণে গাছ কাটতে হয়, সেক্ষেত্রে বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের অনুমতি লাগবে। তাছাড়া উপজেলায়ও এ বিষয়ে একটি কমিটি রয়েছে, এ কমিটি এসব বিষয়গুলো তত্ত্বাবধান করে। তবে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভেতরের সরকারি গাছ কাটার বিষয়ে তিনি অবগত নন বলেও উল্লেখ করেন।
ওডি/আইএইচএন
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড