• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩২ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

দক্ষ ব্যবস্থাপক হয়ে গড়ে ওঠার জন্য গুরুত্বপূর্ণ টিপস

  আফসানা রিয়া

২১ মার্চ ২০১৯, ১২:৫২
দক্ষ ব্যবস্থাপক

একজন ব্যবস্থাপকই একটি দলকে লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে পারে। কিছু দিন আগে একটি জরিপে জানা যায়, একটি দলের উপযুক্ত লক্ষ্যে পৌঁছানোর প্রক্রিয়ার ৭০% নির্ভর করে একজন ব্যবস্থাপকের উপর।

ব্যবস্থাপকের দায়িত্ব অনেক বড় একটি দায়িত্ব। এক্ষেত্রে একজন দক্ষ ব্যবস্থাপক হওয়ার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গুণ হচ্ছে সুষ্ঠ বিচার দক্ষতা ও সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া। যেখানে বেশিরভাগ ব্যবস্থাপকেরা তাদের সিদ্ধান্তের ফলাফল নিয়ে চিন্তিত, সেখানে সিদ্ধান্তের ফলাফলের চেয়ে আপনার জনবল ও উপাদান ব্যবহার করে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানো যাবে কিনা সেদিকে দৃষ্টিপাত করা বেশি প্রয়োজন।

একজন ব্যবস্থাপককে কর্ম জীবনে বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করতে গিয়ে নানা রকম কৌশল অবলম্বন করতে হয়। এই কৌশলগুলো অনুসরণ করলে আপনিও একজন দক্ষ ব্যবস্থাপক হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে পারবেন। চলুন কৌশলগুলো সম্পর্কে জানা যাক...

আত্মবিশ্বাস

নিজের অবস্থানকে দৃঢ়ভাবে প্রকাশ করার জন্য আত্মবিশ্বাসী হওয়াটা অত্যন্ত জরুরি। নিজের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পরবর্তী ধাপে ঝুঁকির মুখোমুখি হওয়ার আত্মবিশ্বাস থাকলে কোন কিছুই আপনাকে দমিয়ে রাখতে পারবে না।

আচরণে ভারসাম্য রক্ষা

দলকে সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ভারসাম্যমূলক আচরণ হতে হবে। আপনার স্বভাব যদি একদিন কোমল এবং পরদিন কঠিন ও নিয়ন্ত্রণমূলক হয়, তবে এমন ব্যক্তির সাথে কাজ করা কর্মীদের জন্য অনেকটাই সংকটের।

দূরদর্শিতা

দলের সকল সদস্যদের দিয়ে কাজ করিয়ে নিতে হয় একজন ব্যবস্থাপকের। তাই দলের প্রত্যেকে কর্মক্ষমতা বিবেচনা করে নির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণে দূরদর্শি হতে হবে।

লক্ষ্য নির্ধারণ করা

গুগলের এক গবেষণায় জানা যায়, একজন দক্ষ ব্যবস্থাপকের প্রধান গুণ হলো লক্ষ্য ও কৌশল সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা থাকা। শুধুমাত্র কাজের দিক নির্দেশনার জন্যই লক্ষ্য নির্ধারণ করা জরুরি নয়, সংশ্লিষ্ট কর্মীদের কাজের উদ্যম বৃদ্ধিতেও এর ভূমিকা অনেক। দলের প্রত্যেক সদস্যকে কাজ নির্দিষ্ট করে দেওয়ার সাথে সাথে একটি সময়সীমা নির্ধারণ করে দিতে হবে। এর ফলে কাজের অগ্রগতি দ্রুত হবে।

সময়ের সঠিক ব্যবহার

লক্ষ্য নির্ধারণের পরে আমাদেরকে সময়ের সঠিক ব্যবহারের দিকে লক্ষ রাখতে হবে। প্রতিষ্ঠানের উন্নতির কথা চিন্তা করে কোনো কাজ খুব দ্রুত বা খুব বেশি দেরি করে যেনো না হয়, সেজন্য সঠিক সময়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা থাকতে হবে। কারণ, সঠিক সিদ্ধান্ত দলকে সফলতার পথে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

সঠিক কর্মী নির্বাচন করা

নির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণের পর ব্যবস্থাপকের প্রধান কাজ হচ্ছে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা। আর ব্যবস্থাপনা বলতে মূলত বোঝায়, দলের সদস্যদের দিয়ে কাজ সম্পন্ন করিয়ে নেওয়া। এক্ষেত্রে ব্যবস্থাপক কাজ বন্টনের মাধ্যমে সম্পূর্ণ কাজের দায়-ভার যেনো একজনের উপর না পড়ে, সেদিকে খেয়াল রাখেন।

দলের একেক সদস্য একেক কাজে দক্ষ হয়। এক্ষেত্রে ব্যবস্থাপককে কর্মীর কর্মদক্ষতা, কাজের ধরণ, মানসিকতা সবকিছু বিবেচনা করে একটি কাজের জন্য নির্বাচন করতে হবে। কেননা সঠিক কর্মীর নিকট যেমন কাজটি সহজ হবে, তেমনি তার কাজের মানও ভালো হবে।

কাজের আপডেট সম্পর্কে জানা

একজন ব্যবস্থাপককে কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রতিদিন জানার অভ্যাস করতে হবে। এতে করে কাজ সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানানোর সাথে সাথে কর্মীদের অনুপ্রাণিত করার সুযোগ রয়েছে। প্রতিদিনের জানার অভ্যাস কাজকে নির্ভুল ও নিখুঁত হতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড