• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৭ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

এমন বিধ্বংসী ইনিংস খেলে তামিম নিজেই স্বপ্নের ঘোরে!

  অধিকার ডেস্ক    ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০৯:১৬

বিপিএল
সেঞ্চুরির পর উল্লাসে তামিম ইকবাল; (ছবি : সংগৃহীত)

গত আসরের কথা। ফাইনালে এই ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষেই কি বিধ্বংসী ইনিংসটা না খেলেছিলেন রংপুর রাইডার্সের ক্যারিবিয়ান ক্রিকেট দানব ক্রিস গেইল। মাত্র ৬৯ বলে ১৪৬ রানের ইনিংস। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ফাইনালের ইতিহাসে এটাই ছিল একমাত্র সেঞ্চুরি।

শুক্রবার (৮ ফেব্রুয়ারি) চলতি আসরের ফাইনালে সেই ঢাকার বিপক্ষে সেঞ্চুরি করলেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের ওপেনার তামিম ইকবাল। গেইলের সে সেঞ্চুরিকে অনেকেই ভেবে থাকেন সময়োপযোগী বিধ্বংসী ইনিংস। কিন্তু এদিন গেইলকেও ছাড়িয়ে গেছেন তামিম। গত আসরের ফাইনালে গেইল ১৪৬ রান করেছিলেন ২১১.৫৯ স্ট্রাইক রেটে। আর ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে এদিন তামিম তার ইনিংস খেললেন ২৩১.১৪ স্ট্রাইক রেটে! আর তাইতো এমন বিধ্বংসী ইনিংস খেলে তামিম নিজেই স্বপ্নের ঘোরে!

বিপিএলের ফাইনালে ১৪১ রানের ইনিংস খেলার পর তামিম উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেছিলেন, ‘সত্যি কথা বলতে আমি এখনও স্বপ্নের ঘোরে আছি যে আমি কিভাবে এমন ব্যাটিং করেছি। এখনো বিশ্বাস হচ্ছে না। রুমে যাবো এরপর হাইলাইটস দেখব এবং তখন হয়তো বিশ্বাস হবে।’

মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট মাঠে গতকাল তামিম মহাকাব্য রচনা করেছেন। ২২ গজে তার দোর্দণ্ড প্রতাপ দেখেছে পুরো ক্রিকেট বিশ্ব। ঢাকার বোলারদের কড়া শাসন করে তামিম নিজেকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়। তাইতো সেঞ্চুরির ইনিংসটিকে মনে হচ্ছে অবিশ্বাস্য।

সাকিবদের বিপক্ষে শুরু থেকেই ফুরফুরে মেজাজে খেলছিলেন তামিম। প্রথম ১০ বলে করেছিলেন মাত্র ৪ রান। ১১তম বলে সুনিল নারিনের বলে ছক্কা হাঁকিয়ে শুরু হয় তামিমের আসল ইনিংস। এরপর আর থামেননি। ৩১ বলে তুলে নিলেন নিজের ফিফটি। তবে তার ধ্বংসাত্মক রূপটা এরপরেই দেখল ঢাকা। পরের পঞ্চাশ করতে বল খেলেছেন মাত্র ১৯টি! ৫০ বলে আসে সেঞ্চুরি! আন্দ্রে রাসেলের বলে চার মেরেই তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছান এ ড্যাশিং ব্যাটসম্যান। দলের ইনিংসকে লম্বা করে শেষ পর্যন্ত ব্যাটিং করেছেন তামিম। খেলেছেন হার না মানা ১৪১ রানের অনবদ্য এক ইনিংস। মাত্র ৬১ বলের ইনিংসটি ১০টি চার ও ১১টি ছক্কায় সাজিয়েছেন তামিম।

এমন ইনিংস তামিম খেলবেন নিজেই ভাবেননি। গতকালের ইনিংস নিয়ে এই দেশ সেরার ভাষ্য,‘সত্যি কথা, আমি কোনো দিনও চিন্তা করিনি এরকম ইনিংস খেলব। খুব ভালো করে পরিকল্পনা সাজিয়ে এমন ইনিংস খেলেছি। বারবার আমি একটা জিনিস বলেছি, সাকিব আর নারিনকে যেন উইকেট না দেই। যদি দেখেন পুরো ইনিংসে নারিনকে একটা ছক্কা ছাড়া কোনো ঝুঁকি নিয়েনি। আমি পেসারদের জন্য অপেক্ষা করেছি।’

ঢাকার বোলারদের মধ্যে কম বেশি সবাই তামিমের হাতে ফাইনালে বেদম পিটুনি খেয়েছেন। ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেল থেকে শুরু করে দেশি পেসার রুবেল হোসেনও। এমনকি অধিনায়ক সাকিবও কম পিটুনি খাননি।

এএপি