অধিকার ডেস্ক ০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৫:৪৮
ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষে টস হেরে ব্যাট করতে নেমেছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস। শুরুটা দুর্দান্ত হলেও হঠাৎ ছন্দপতনে নির্ধারিত ২০ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১২৭ রান তোলে ইমরুল কায়েসরা। স্নায়ুচাপে থাকা সাকিব আল হাসানের ঢাকাকে করতে হবে ১২৮ রান।
আগেই সেরা চার নিশ্চিত করা কুমিল্লার সূচনাটা হয় দুরন্ত। উড়ন্ত সূচনা এনে দেন ওপেনার তামিম ইকবাল ও এভিন লুইস। দলীয় ৩৮ রানে লুইসকে সরাসরি বোল্ড করে ঢাকাকে প্রথম সাফল্য এনে দেন সুনিল নারাইন। এরপর থেকেই পথহারা কুমিল্লা। প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার আগেই ফেরেন আনামুল হক। রুবেল হোসেনের শিকার হওয়ার আগে রানের খাতায় খুলতে পারেননি তিনি।
খানিক পরই শুভাগত হোমের বলে রুবেল হোসেনের অসাধারণ ক্যাচে পরিণত হন দারুণ খেলতে থাকা তামিম ইকবাল। সাজঘরে ফেরার আগে ড্যাশিং ওপেনার খেলেন ২০ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৩৮ রানের নান্দনিক ইনিংস।
দলীয় ৫২ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে কুমিল্লা। এর মধ্যে আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি শামসুর রহমান। সাকিব আল হাসানের এলবিডব্লিউ হয়ে মাত্র ২ রানে ফেরেন তিনি। দলের হয়ে কুমিল্লার অধিনায়ক কায়েসও কিছু করে দেখাতে পারেননি। দুই অধিনায়কের লড়াইয়ে হার মানেন তিনি। ঢাকা অধিনায়কের বলে আন্দ্রে রাসেলকে লোপ্পা ক্যাচ দিয়ে ফেরেন কুমিল্লা অধিনায়ক।
দলের পক্ষে পাকিস্তানি অলরাউন্ডার আফ্রিদিও ছিলেন ব্যর্থ। ১৮ রানে ফিরেছে তিনি। শেষের দিকে থিসারা পেরেরা (৯), মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন (২), মেহেদি হাসান (২০) ও ওয়াহাব রিয়াজ করেন ১৬ রান।
বল হাতে ঢাকার হয়ে পেসার রুবেল হোসেন ৪ উইকেট এবং ২টি করে উইকেট পেয়েছেন সাকিব- সুনিল নারাইন। শুভাগত হোম পেয়েছেন ১টি।
এএপি