অধিকার ডেস্ক ৩০ জানুয়ারি ২০১৯, ২০:৪৯
ইনিংসের প্রথম ভাগে দলকে ভালো সংগ্রহের ভিত দেন আফিফ হোসেন ও সাব্বির রহমান। এর ওপর দাঁড়িয়ে পরের ভাগে তাণ্ডব চালান নিকোলাস পুরান। তার টর্নেডো ইনিংসের কল্যাণে রাজশাহী কিংসকে ১৯০ রানের বড় লক্ষ্য দিলো সিলেট সিক্সার্স।
বিপিএলে বুধবারের দ্বিতীয় ম্যাচে চট্টগ্রামে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নামে সিলেট। রাজশাহীর বোলারদের বেধড়ক পিটিয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৮৯ রান রান তুলল তারা। দলের পক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজ তারকা পুরান ৩১ বলে সর্বোচ্চ ৭৬ রান করেন। ১২তম ওভারে মাঠে নেমে অপরাজিত থাকা এই বাঁহাতি মারেন সমান ৬টি করে চার ও ছয়।
পুরানের মারকাটারি ব্যাটিংয়ের আগে আফিফ ও সাব্বির খেলেন দায়িত্বশীল ইনিংস। আফিফ ২৫ বলে ২৯ ও সাব্বির ৩৯ বলে ৪৫ রান করেন। সাব্বির অবশ্য ফিরতে পারতেন রানের খাতা খোলার আগেই। ষষ্ঠ ওভারে কামরুল ইসলাম রাব্বির বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু উইকেটরক্ষক জনসন চার্লস বা বোলার কেউই আবেদন করেননি! পরে আলট্রা এজ-এ দেখা যায়, ব্যাট ছুঁয়ে বল জমা পড়েছিল চার্লসের হাতে। পরে এই রাব্বিরই শিকার হন সাব্বির।
রাজশাহীর পক্ষে রাব্বি সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন ৩০ রানে। ১৬তম ওভারের শেষ দুই বলে যথাক্রমে সাব্বির ও মোহাম্মদ নওয়াজকে ফেরান তিনি। ইনিংসে রাজশাহীর সবচেয়ে কিপটে বোলারও এই ডানহাতি।
চলতি আসরে নিজের তৃতীয় ফিফটির স্বাদ নেওয়া পুরান মাঠে নামার পর থেকেই ছিলেন বিধ্বংসী মেজাজে। ১৩তম ওভারে সৌম্য সরকারকে ২টি চার মেরে শুরু। আরাফাত সানির করা পরের ওভারে ২টি চার ও ২টি ছক্কায় তুলে নেন ২২ রান। একই গতিতে ব্যাট চালিয়ে তিনি হাফসেঞ্চুরি পূরণ করেন মাত্র ২১ বলে। আর শেষ ৩ ওভারে সিলেটের দলীয় সংগ্রহে যোগ হওয়া ৪৪ রানের ৩৫-ই আসে তার ব্যাট থেকে।
পুরান যখন উইকেটে আসেন, তখন সিলেটের সংগ্রহ ছিল ৩ উইকেটে ৮৮ রান। তার কল্যাণে এরপর শেষ ৯ ওভারে ১০১ রান যোগ করে সিলেট।
সিলেট সিক্সার্স : ১৮৯/৫ (২০ ওভারে) (লিটন ১০, আফিফ ২৯, রয় ১৩, সাব্বির ৪৫, পুরান ৭৬*, নওয়াজ ০, কাপালি ১০*; সানি ১/৪৮, মিরাজ ১/৩২, রাব্বি ২/৩০, মুস্তাফিজ ১/৩১, সৌম্য ০/৪৭)।
এসএইচ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড