অধিকার ডেস্ক ১৮ জানুয়ারি ২০১৯, ২১:০৫
আগের পাঁচ ম্যাচে দুই অঙ্কে পৌঁছালেও ইনিংস লম্বা করতে পারছিলেন জুনায়েদ সিদ্দিক। সেই আক্ষেপ তিনি কাটালেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে। করলেন দুর্দান্ত হাফসেঞ্চুরি। তার ইনিংসে ভর করে এবারের আসরে নিজেদের দলীয় সর্বোচ্চ স্কোর পেল খুলনা টাইটান্স।
শুক্রবার বিপিএলের দ্বিতীয় ম্যাচে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৮১ রান তুলল মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের খুলনা। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে জুনায়েদ দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪০ বলে ৭১ রান করেন।
শেষ দিকের ব্যাটাররা ব্যর্থ না হলে দুইশ ছাড়াতে পারত খুলনার সংগ্রহ। বিপিএলের চলমান ষষ্ঠ আসরে তাদের আগের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ ছিল ৫ উইকেটে ১৬১ রান।
ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় খুলনা। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের বলে জিয়াউর রহমানকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন জহুরুল ইসলাম। দলীয় ২ রানে প্রথম উইকেট হারানোর এই ধাক্কা খুলনা কাটিয়ে ওঠে জুনায়েদ ও আল আমিনের ব্যাটে চড়ে।
দুজনেই শুরু থেকে চড়াও হন কুমিল্লার বোলারদের ওপর। পাওয়ার প্লের সুবিধা আদায় করে তারা ছোটান চার-ছক্কার ফুলঝুরি। চলতি বিপিএলে প্রথমবারের মতো খেলতে নেমে দারুণ ব্যাটিং করেন আল আমিন। খেলেন ১৯ বলে ৩২ রানের ইনিংস। মারেন ৪টি চার ও ১টি ছয়।
অষ্টম ওভারে আক্রমণে এসে প্রথম বলেই আল আমিনকে বোল্ড করে জুটি ভাঙেন শহিদ আফ্রিদি। তবে দ্বিতীয় উইকেটে ৩৯ বলে ৭১ রানের এই জুটিতে বড় সংগ্রহের ভিত পায় খুলনা।
অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ উইকেটে বেশিক্ষণ না টেকেননি। ৯ বলে ২ ছয়ে করেন ১৬ রান। তবে জুনায়েদ খেলতে থাকেন আপন ছন্দে। চতুর্থ উইকেটে ডেভিড মালানকে নিয়ে ৩৪ বলে ৫০ রানের আরেকটি ভালো জুটি গড়েন তিনি। এরই মাঝে এই বাঁহাতি তুলে নেন এবারের আসরে নিজের প্রথম হাফসেঞ্চুরি।
জুনায়েদের ফিফটি ছোঁয়ার মুহূর্তটা ছিল দর্শনীয়। ১২তম ওভারের তৃতীয় বলে ৬ মেরে মাইলফলক পূরণ করেন তিনি। মাত্র ৩০ বলে। এরপর হয়ে ওঠেন আরও বিধ্বংসী। ১৫তম ওভারে আফ্রিদির ২টি ডেলিভারিকে ছয় মেরে মাঠছাড়া করেন তিনি।
পরের ওভারের প্রথম বলে রানআউটে কাটা পড়েন জুনায়েদ। মালান তাকে ফেরত পাঠালেও সঠিক সময়ে ক্রিজে ব্যাট ছোঁয়াতে পারেননি তিনি। তার আগেই স্ট্যাম্প ভেঙে দেন সাইফউদ্দিন। ফলে দুর্ভাগ্যজনকভাবে শেষ হয় জুনায়েদের রানের অসাধারণ ইনিংস। সমান ৪টি করে ৪ ও ৬ মারেন তিনি।
পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ৬৫ রান তোলা খুলনার সংগ্রহ একশ পার হয় ১১তম ওভারে। আর জুনায়েদের বিদায়ের সময় তাদের স্কোর ছিল ৪ উইকেটে ১৪৫ রান। কিন্তু এরপর প্রত্যাশিত ঝড় তুলতে পারেননি মালান-কার্লোস ব্রাথওয়েট-আরিফুল হকরা। তাতে শেষ ২৯ বলে মোটে ৩৬ রান যোগ হয় খুলনার সংগ্রহে। এসময় তারা হারায় ৩ উইকেট।
২৫ বলে ২৯ রান করা মালান উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন এনামুল হক বিজয়ের হাতে। তিনি হন আফ্রিদির তৃতীয় শিকার। ৩৫ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচে কুমিল্লার পক্ষে সফল বোলার এই পাকিস্তানি লেগ স্পিনার।
ব্যক্তিগত শেষ ২ ওভারে (ইনিংসের ১৮ ও ২০তম) ব্র্যাথওয়েট ও আরিফুলকে ফেরান আরেক পাকিস্তানি ওয়াহাব রিয়াজ। ২ উইকেট নিতে এই বাঁহাতি পেসারের খরচা ৩৪ রান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
খুলনা টাইটান্স : ১৮১/৭ (২০ ওভারে) (জহুরুল ০, জুনায়েদ ৭০, আল আমিন ৩২, মাহমুদউল্লাহ ১৬, মালান ২৯, ব্র্যাথওয়েট ১২, আরিফুল ১৩, শান্ত ১*; সাইফউদ্দিন ১/২৯, মেহেদী ০/৩৭, থিসারা ০/২০, ওয়াহাব ২/৩৪, ডসন ০/৮, আফ্রিদি ৩/৩৫,শামসুর ০/১৪)।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড