• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৭ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

যে কারণে ফাইনালে হারল খুলনা?

  ক্রীড়া ডেস্ক

১৮ জানুয়ারি ২০২০, ১২:০০
বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ
ছবি : বিসিবি

বঙ্গবন্ধু বিপিএলের ফাইনালে রাজশাহী রয়্যালসের কাছে ২১ রানে হেরে শিরোপা খুইয়েছে খুলনা টাইগার্স। প্রথমবারের মতো বিপিএল ফাইনাল খেলেন মুশফিকুর রহীম। এর আগের ছয় আসরে তিনবার উঠেছিলেন সেরা চারে। একবারও যেতে পারেননি ফাইনালে। তিনবার বিদায় নিয়েছিলেন লিগ পর্বে। এবার ফাইনালে উঠলেও শিরোপা ভাগ্য খুলেনি তার।

শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) ফাইনালে পরাজয়ের কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে খুলনা টাইগার্সের অধিনায়ক মুশফিক বলেন, ‘ফাইনালে উঠলে সবাই তো আশা করে চ্যাম্পিয়ন হতে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু প্রত্যাশা অনুযায়ী সব সময় পারফর্ম করা যায় না। সত্যি কথা বলতে আমরা আসলে তিনটা বিভাগেই খুব একটা বেশি ভালো খেলিনি। কোনোবারই তো ফাইনাল খেলতে পারিনি। এবার পেরেছি। পরের আসরে চ্যাম্পিয়ন হব ইনশাআল্লাহ।’

হারের ব্যাখ্যা দিয়ে মুশি আরও বলেন, ‘বোলিংয়ের শুরুটা ভালো হয়েছে। ১৬ ওভার পর্যন্ত ভালোই বল করছিলাম। যতই ওরা বিধ্বংসী ব্যাটিং করুক আমরা চেষ্টা করছিলাম ওদের অল্পরানে আটকে রাখতে। একটা সময় মনে হচ্ছিল ১৫০ হলেও হতে পারে। রাসেলের ক্যাচটা হয়ে গেলে অন্য রকম পরিস্থিতি হতে পারত। ওদের তাহলে একজন বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যান থাকত। একজনের জন্য তখন কাজটা কঠিন হয়ে যেত। ফাইনালে ১৭০ রান, ১০-১৫ রান একটু বেশি ছিল। কারণ ফাইনালে একটা আলাদা চাপ থাকে। একটু হতাশার কারণ পুরো টুর্নামেন্টে আমাদের বোলাররা খুবই ভালো করেছে। ’

নিজেদের ব্যাটিং নিয়ে মুশফিকের ব্যাখ্যা, ‘ব্যাটিংয়ে শুরুটা ভালো হয়নি। তবে রাইলি ও শামসুর যেভাবে ব্যাট করছিল মনে হচ্ছিল হয়ে যাবে। রাইলি পুরো টুর্নামেন্টে আমাদের হয়ে অবদান রেখেছে। মনে হচ্ছিল এবারও পারবে। কিন্তু ওর আউটটা ভুল সময়ে হয়েছে। আবার রাব্বীর ওই ওভার আমাদের ছন্দ নষ্ট করেছে। শামসুর আউট হওয়ার পর নাজিবুল্লাহও শুরু করেছিল। কিন্তু সেও আউট হয়ে গিয়েছে। আমার মনে হয় সেট ব্যাটসম্যানের জন্য এখানে রান করা সহজ ছিল।’

উল্লেখ্য, গতকাল হতাশার দিনেও অনন্য একটা অর্জন হয়েছে মুশফিকের। দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবালকে পেছনে ফেলে এক আসরে সর্বোচ্চ রান করার রেকর্ড গড়েছেন মুশফিক। এর আগে, বিপিএলের এক আসরে সর্বোচ্চ রান করা বাংলাদেশি ছিলেন তামিম ইকবাল। ২০১৬ সালে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের জার্সিতে তামিম ইকবাল করেছিলেন ৪৭৬ রান। ফাইনালের আগে মুশফিকের রান ছিল ১৩ ম্যাচে ৪৭০। ফাইনালে ছক্কা মেরে রেকর্ড নিজের করে নেন মুশফিক। ৫ রানের পর ছক্কা হাঁকিয়ে এক বিপিএলে সর্বোচ্চ রানের মাইলফলক গড়েন তিনি।

ফাইনালের আগে এ আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন মুশফিক। তবে ফাইনালে ৩৭ রানের ইনিংস খেলে তাকে ছাড়িয়ে গেছেন রাইলি রুশো। রুশোর রান ৪৯৫। অন্যদিকে মুশফিক থেমেছেন ৪৯১ রানে।

ওডি/এএপি

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড