ইতিহাস গড়ে মাশরাফিদের হারাল মুশফিকরা

বঙ্গবন্ধু বিপিএলে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ঐতিহাসিক জয় পেয়েছে মুশফিকুর রহীমের খুলনা টাইগার্স। নাজমুল হোসেন শান্তর সেঞ্চুরিতে মাশরাফিদের দেওয়া ২০৬ রানের লক্ষ্য টপকে ৮ উইকেটের ঐতিহাসিক জয় তুলে নিয়েছে খুলনা। এ জয়ে টুর্নামেন্টের শীর্ষ দল হিসেবে কোয়ালিফায়ার নিশ্চিত করল তারা।

বিপিএলের ইতিহাসে এটিই সর্বোচ্চ রান তাড়ায় জয়। এর আগের বিপিএলে সর্বোচ্চ রান তাড়ায় জয়টি ছিল সিলেট রয়্যালসের দখলে। ২০১৩ সালে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় আসরে রংপুর রাইডার্সের দেওয়া ১৯৮ রানের লক্ষ্য ৬ উইকেট হাতে রেখে টপকে গিয়েছিল তারা।

মিরপুরে শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে ঢাকার দেওয়া ২০৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ঝড় তোলেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও নাজমুল হাসান শান্ত। ওপেনিং জুটিতে এ দুইজন ৪১ বলে ৭০ রান যোগ করেন। ২৫ বলে ৭ চার ও ১ ছয়ে ৪৫ রান করে আউট হন মেহেদী। এরপর রাইলি রুশোকে নিয়ে তাণ্ডব চালান শান্ত। এ জুটিতে আসে ৮১ রান। যেখানে রুশোর সংগ্রহ ১৭ বলে ২৩।

রুশো আউট হলেও মুশফিককে নিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন শান্ত। তিনি অপরাজিত থাকেন ১১৫ রানে, যা এ আসরের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস। ৫৭ বলের ইনিংসে তিনি হাঁকান ৮টি চার ও ৭টি ছয়। ১০ বলে ১৮ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন মুশফিক। ঢাকার বোলার মেহেদী ও সাদাব খান নেন ১টি করে উইকেট।

এর আগে, টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামে ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ২০৫ রান জমা করে ঢাকা প্লাটুন। ব্যাটিংয়ে নেমে ৩৫ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়ে দলটি। তামিম (১), এনামুল (১০), জাকের আলী (১৪) এ দিন ব্যাট হাতে জ্বলে উঠতে ব্যর্থ হন। তামিম ও এনামুলকে ফেরান রবি ফ্রাইলিঙ্ক। আর জাকের আলী পরিণত হন শফিউল ইসলামের শিকারে।

এরপরই দলের হাল ধরেন মুমিনুল হক ও মেহেদী হাসান। দুর্দান্ত জুটি গড়ে তোলেন তারা। তাদের জুটিতে মাত্র ৭২ বলে স্কোরবোর্ডে জমা হয় ১৫৩ রান। তবে বিধ্বংসী ব্যাটিং করা মুমিনুলের ইনিংস শেষ হয় আক্ষেপেই। সেঞ্চুরির আশা জাগিয়ে তিনি থামেন ৯১ রানে। ৫৯ বলের ইনিংসে মুমিনুল হাঁকান ৭টি চার ও ৪টি ছক্কা। মুমিনুল আউট হলেও অপরাজিত থেকেই ইনিংস শেষ করেন মেহেদী। তরুণ এ অলরাউন্ডার ৩৬ বলে করেন ৬৮ রান। তিনি হাঁকান ৩ চার ও ৫ ছক্কা।

খুলনার সফল বোলার রবি ফ্রাইলিঙ্ক। ৪ ওভার বোলিং করে ৩৫ রানের বিনিময়ে তার শিকার দুই উইকেট। এছাড়া মোহাম্মদ আমির ১টি ও শফিউল ইসলাম নেন ১টি উইকেট।

ওডি/এমএমএ