ক্রীড়া প্রতিবেদক
দুই দলের সমান পয়েন্ট, তবে রান রেটে এগিয়ে থাকায় পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে ছিল রাজশাহী রয়্যালস। কিন্তু রয়্যালসদের বেশি সময় অবস্থান করতে দেয়নি চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। দুই দলের প্রথম সাক্ষাতে রাসেলের দলটিকে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে মাহমুদউল্লাহ-গেইলের চট্টগ্রাম। ইমরুলের ব্যাটে চড়ে হেসে খেলেই হারায় রয়্যালসদের। অপরাজিত ৬৭ রানের ইনিংস খেলেছেন ইমরুল।
আগে ব্যাটিং করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৬৬ রান সংগ্রহ করে রাজশাহী। লক্ষ্য তাড়ায় ৯ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় চট্টগ্রাম। ১১ ম্যাচে ৮ জয়ে তাদের অর্জন ১৬ পয়েন্ট।
১৬৭ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ইনিংসের প্রথম বলে ডাউন দ্য উইকেটে এসে আন্দ্রে রাসেলকে চার মেরে আগ্রাসী মনোভাব দেখান লেন্ডল সিমন্স। প্রথম ওভারে আরেকটি ছক্কা মেরে ১০ রান নিয়ে শুরু করেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। পরের ওভার মাত্র এক রান দিয়ে শেষ করেন মোহাম্মদ ইরফান।
ইনিংসের তৃতীয় ওভারে বল করতে এসে তোপের মুখে পড়েন স্পিনার আফিফ হোসেন। বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান ক্রি গেইল তিন ছক্কা এবং ১ চারে সেই ওভার থেকে ২২ রান তুলে নেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। ঝড়ের আভাস দিয়ে টিকতে পারেননি গেইল। কামরুল ইসলাম রাব্বির করা ইনিংসের পঞ্চম ওভারের প্রথম বলেই ইরফান শুক্কুরের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন গেইল। ১০ বলে ২৩ রান করেন এই ক্যারিবিয়ান।
গেইল বিদায় নিলে দেখেশুনে খেলা শুরু করেন সিমন্স। ৪২ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেয়া এই ওপেনার নিজের উইকেট বিলিয়ে দিয়ে এসেছেন। উদাসীনতায় রান আউট হয়ে ৪৩ বলে ৫১ রান করে সাজঘরে ফিরেছেন তিনি। সিমন্সকে দারুণ সঙ্গ দিচ্ছিলেন ইমরুল কায়েস। দুইজনে গড়েছিলেন ৭৭ রানের জুটি। সিমন্সের বিদায়ের পর উইকেটে নেমে দ্রুত রান তোলায় মনোযোগ দেন দীর্ঘদিন পর খেলতে নামা অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। অপরপ্রান্ত দিয়ে রাজশাহীর বোলারদের শাসন করেন ইমরুলও। উইকেটে বেশি সময় থাকা হয়নি মাহমুদউল্লাহর। ৬ বলে ১০ রান করে ফরহাদ রেজার বলে বোল্ড হন তিনি।
অধিনায়ক আউট হলেও দুর্দান্ত এক হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন ইমরুল কায়েস। ৪১ বলে ৩ চার, ৫ ছক্কায় ৬৭ রানের ইনিংস খেলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। রাজশাহীর হয়ে একটি করে উইকেট নেন কামরুল ইসলাম রাব্বি এবং ফরহাদ রেজা।
এর আগে মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পায় রাজশাহী রয়্যালস। ইনিংসের শুরুটা আক্রমণাত্মক ভঙ্গিমায় করেছিলেন বাঁহাতি ওপেনার আফিফ হোসেন। কিন্তু বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি তিনি।
৫ বলে ২ চারে ৯ রান করে রুবেল হোসেনের বলে বোল্ড হন এই বাঁহাতি। বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ হন ইরফান শুক্কুরও। ১৭ বলে ১৮ করে রান আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। দুই উইকেট গেলেও এক প্রান্ত আগলে ধরে দুর্দান্ত ব্যাটিং করে এবারের আসরে নিজের দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন ওপেনার লিটন দাস। কিন্তু ইনিংস বড় আর বড় করা হয়নি তাঁর। জিয়াউর রহমানের বলে উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান সোহানের হাতে ক্যাচ দেন ৪৫ বলে ৫৬ রানের ইনিংস খেলা ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান।
এরপর দলকে বড় সংগ্রহের দিকে নিতে গিয়ে খুব একটা কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে পারেননি অধিনায়ক আন্দ্রে রাসেল এবং শোয়েব মালিক। উইকেটে নেমে চট্টগ্রামের বোলারদের ওপর তাণ্ডব চালালেও টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ।
১০ বলে ২ ছক্কা, ১ চারে ২০ রান করা এই ব্যাটসম্যানকে আউট করেন রুবেল। একই ওভারে অভিজ্ঞ রবি বোপারাকেও এলবিডাব্লিউ করে ফিরিয়েছেন চট্টগ্রামের অভিজ্ঞ এই পেসার। বল হাতে পরের ওভারে এসেই কাপালিকে কট অ্যান্ড বোল্ড করেন জিয়াউর রহমান। দেখেশুনে ব্যাটিং করা মালিকও শেষের দিকে এসে রান বাড়াতে পারেননি। দুই ওভার বাকি থাকতে ২৪ বলে ২৮ করে আউট হন তিনি।
শেষের দিকে ফরহাদ রেজার ৮ বলে ২১ রানের ছোট ক্যামিওতে ১৬৬ রানের পুঁজি দাঁড় করায় রাজশাহী। দুর্দান্ত বোলিং ক চট্টগ্রামের হয়ে তিনটি করে উইকেট নেন রুবেল এবং জিয়াউর।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
রাজশাহী রয়্যালস : ২০ ওভারে ১৬৬/৮ (লিটন ৫৬, মালিক ২৮; রুবেল ৩/২০, জিয়াউর ৩/১৮)।
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স : ১৮.৩ ওভারে ১৭০/৩ (ইমরুল ৬৭*, সিমন্স ৫১; রাব্বি ১/২০, ফরহাদ ১/১৭)।
ওডি/এসএম
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড