• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩০ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

শেষ বলে কুমিল্লার নাটকীয় জয়

  ক্রীড়া ডেস্ক

৩১ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৭:২২
কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স
কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স (ছবি: সংগৃহীত)

বঙ্গবন্ধু বিপিএলে দিনের প্রথম ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে নাটকীয় জয় পেয়েছে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স। চট্টগ্রামকে তারা হারিয়েছে ৩ উইকেটের ব্যবধানে। এ জয়ে প্লে অফের আশা বাঁচিয়ে রেখেছে দলটি।

চট্টগ্রামের দেওয়া ১৬০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৩০ রানে প্রথম উইকেট হারায় চট্টগ্রাম। ১২ বলে ২২ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে আউট হন স্টিয়ান ফন জিল। চট্টগ্রামকে প্রথম সাফল্য এনে দেন লিয়াম প্লাঙ্কেট। এরপর ৬১ রানে হারায় দ্বিতীয় উইকেট। আরেক ওপেনার রবিউল ফিরে যান ১৭ রান করে। রবিউলকে ফেরান মেহেদী হাসান রানা।

এ দিন ব্যর্থ হন সৌম্য সরকারও। দলীয় ৭০ রানে ৬ রান করে জিয়াউর রহমানের বলে আউট হন তিনি। চতুর্থ উইকেট জুটিতে সাব্বিরকে নিয়ে ৬৪ রান যোগ করেন ডেভিড মালান। এ জুটিই ম্যাচের ভিত গড়ে দেয়। ১৫ বলে ১৮ রান করে রায়ান বার্লের বলে আউট হন সাব্বির। এরপর মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ও ডেভিড উইজিও দ্রুত ফিরে গেলে জমে ওঠে ম্যাচ। শেষ ওভারে কুমিল্লার দরকার হয় ১৬ রান।

মালানের সঙ্গে ক্রিজে ছিলেন আবু হায়দার রনি। চট্টগ্রামের পক্ষে শেষ ওভার করতে আসেন প্লাঙ্কেট। প্রথম বলে সিঙ্গেল নেন মালান। ফলে স্ট্রাইক পান রনি। দুই বলে সমান এক ছয় ও চারে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন রনি। চতুর্থ বলে আসে এক রান। পঞ্চম বলে রান নিতে গিয়ে আউট হন মালান। ফলে কুমিল্লার সামনে সমীকরণ দাঁড়ায় ১ বলে ৩ রান। শেষ বলে চার মেরে দলের জয় নিশ্চিত করেন মুজিব উর রহমান। এটি টুর্নামেন্টে কুমিল্লার তৃতীয় জয়।

এর আগে, কুমিল্লা ওয়ারির্সের বিপক্ষে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে দারুণ সূচনা করেন চট্টগ্রামের দুই ওপেনার লেন্ডল সিমন্স এবং জুনায়েদ সিদ্দিকি। তবে তাদের ১০৩ রানের দুর্দান্ত জুটি ভাঙেন সৌম্য সরকার। ইনিংসের ১২তম ওভারে বোলিংয়ে এসে সিমন্সকে সানজামুল ইসলামের হাতে ক্যাচ বানিয়ে আউট করেন সৌম্য। ফেরার আগে অবশ্য হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন সিমন্স। ২ ছক্কা এবং ৫ চারের সাহায্যে মাত্র ৩৪ বলে ৫৪ রান করেন তিনি।

ইনিংসের ১৩তম ওভারের প্রথম বলে দুর্ভাগ্যবশত রান আউটের শিকার হওয়ায় হাফ সেঞ্চুরির দেখা পাননি জুনায়েদ সিদ্দিকী। মুজিব উর রহমানের দারুণ একটি থ্রোতে ৩৭ বলে ৪৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন এই ওপেনার। তার ব্যাট থেকে আসে ৬টি চার।

১৪তম ওভারে বোলিংয়ে এসে নিজের দ্বিতীয় উইকেট তুলে নেন সৌম্য সরকার। চট্টগ্রামের জিম্বাবুইয়ান ব্যাটসম্যান রায়ান বার্লকে সাব্বির রহমানের হাতে ক্যাচ বানিয়ে সাজঘরে ফেরান তিনি। ৭ বলে ২ রান করে আউট হন রায়ান।

এরপর দলীয় ১০৭ রানের মাথায় তিন উইকেট হারিয়ে ফেলার পর চট্টগ্রাম শিবিরে আঘাত হানেন কুমিল্লার স্পিনার সানজামুল ইসলাম। ক্যারিবিয়ান ব্যাটসম্যান চ্যাডউইক ওয়ালটনকে (৯) রবিউল ইসলাম রবির হাতে ক্যাচ বানিয়ে আউট করেন তিনি। ফলে ১১৬ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে চট্টগ্রাম।

পঞ্চম উইকেটে জিয়াউর রহমানকে সঙ্গে নিয়ে ২৩ রানের জুটি গড়েন অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। একই সঙ্গে দলকে কিছুটা বিপদমুক্ত করেন তারা। কিন্তু ১৯তম ওভারের দ্বিতীয় বলে সোহানকে (৪) বোল্ড করে জুটি ভাঙেন ডেভিড উইসে।

আল-আমিন হোসেনের করা শেষ ওভারের দ্বিতীয় বলে লিয়াম প্ল্যাঙ্কেট সৌম্যর হাতে ক্যাচ দিলে ষষ্ঠ উইকেটের পতন ঘটে চট্টগ্রামের। পরবর্তীতে আর বেশিদূর যেতে পারেনি তারা। ইনিংসের শেষ পর্যন্ত ২১ বলে চার ছক্কার সাহায্যে ৩৪ রানে অপরাজিত থাকেন ৩৩ বছর বয়সী ডানহাতি ব্যাটসম্যান জিয়াউর রহমান।

ওডি/এমএমএ

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড