ক্রীড়া ডেস্ক
মিরপুরে নিজেদের অষ্টম ম্যাচে রাজশাহী রয়্যালসকে ৭৪ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে ঢাকা প্লাটুন। তামিম-আসিফের দুর্দান্ত ব্যাটিং ও ওয়াহাব রিয়াজের অগ্নিঝরা বোলিংয়ে এ জয় পায় তারা।
১৭৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ঝড়ো সূচনাই করেন রাজশাহীর রয়্যালসের দুই ওপেনার লিটন দাস ও আফিফ। তাণ্ডব চালান আফিফ, লিটন দেন সঙ্গ। এ জুটিতে মাত্র ৩.১ বলে স্কোরবোর্ডে ওঠে ৩৯ রান। ১০ রান করে আউট হন লিটন। এরপর নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট হারাতে থাকে রাজশাহী। ১৬.৪ ওভারেই মাত্র ১০০ রানে অলআউট হয় তারা। সর্বোচ্চ ৩১ রান আসে আফিফের ব্যাট থেকে।
রাজশাহীর ব্যাটসম্যানদের ওপর তাণ্ডব চালান পাকিস্তানি বোলার ওয়াহাব রিয়াজ। তিনি মাত্র ৮ রানে তুলে নেন ৪ উইকেট। এটি এখন পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু বিপিএলের সেরা বোলিং। এছাড়া বদলি ফিল্ডার হিসেবে নেমে এ ম্যাচে উইকেটরক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন ঢাকার জাকের আলী। আর তিনি একাই তুলে নেন ৬টি ক্যাচ। এটি টুর্নামেন্টে তাদের পঞ্চম জয়। দশ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের তৃতীয় স্থানে উঠে এলো ঢাকা।
এর আগে, মিরপুরে টসে জিতে ঢাকাকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় রাজশাহী। ব্যাটিংয়ে নেমে ওপেনিং জুটিতে ২০ রান তোলেন তামিম ইকবাল ও এনামুল হক বিজয়। ৯ রান করে আন্দ্রে রাসেলের বলে আউট হন লিটন। এরপর ৩৫ রানে আউট হন লুইস রিচ। দুই উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে ঢাকা। তৃতীয় উইকেটে ক্রিজে আসেন মেহেদী হাসান। তামিমের সঙ্গে দ্রুত গতিতে রান তোলায় মনোযোগ দেন তিনি। তবে ১১ বলে ২১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে আউট হন তিনি। আরিফুল হক ও মাশরাফিও দ্রুত ফিরে গেলে ৮৪ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে ঢাকা।
দল বিপর্যয়ে পড়লেও বাকিদের আশা-যাওয়ার মিছিলে একপ্রান্তে দাঁড়িয়ে ছিলেন তামিম। ষষ্ঠ উইকেটে তামিমকে সঙ্গ দেন পাকিস্তানি ক্রিকেটার আসিফ আলী। এ দুইজন বিধ্বংসী ব্যাটিং শুরু করেন। প্রথমদিকে ধীরগতিতে ব্যাট করলেও আসিফের সঙ্গে ঝড় তোলেন তামিম। এ জুটিতে মাত্র ৪৬ বলেই স্কোরবোর্ডে জমা হয় ৯০ রান। ফলে ২০ ওভার শেষে ঢাকার সংগ্রহ দাঁড়ায় ৫ উইকেটে ১৭৪। তামিম ৬৮ ও আসিফ ৫৫ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন।
ওডি/এমএমএ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড