ক্রীড়া প্রতিবেদক
বাংলাদেশ ক্রিকেটের ‘হোম অব ক্রিকেট’ খ্যাত মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামকে ঘিরেই আয়োজন বা অনুষ্ঠিত হয় দেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় এবং বেশি ইভেন্টগুলো। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের ৭০ শতাংশ ম্যাচও অনুষ্ঠিত হয় এই মাঠে। বিপিএলে প্রতিবারই অভিযোগ ওঠে মিরপুরের উইকেট থাকে স্লো এবং লো যেখানে ব্যাটসম্যানরা তাদের সহজাত স্ট্রোক খেলতে পারেন না।
তবে বঙ্গবন্ধু বিপিএলের চিত্রটা ভিন্ন। টুর্নামেন্টের সপ্তম আসরে ঢাকার প্রথম পর্বের চার দিনে মাত্র আট ম্যাচে ৯৭ ছক্কা ও ১৮৫ টি চার হাঁকালেন ব্যাটসম্যানরা।
উদ্বোধনী ম্যাচে দুই দল (সিলেট থান্ডার ও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স) মিলে ১৬টি ছক্কা ও ২১টি বাউন্ডারি হয়েছে। এই ধারা বজায় ছিল অষ্টম ম্যাচেও। যেখানে ১১ ছক্কার সঙ্গে ৩৩টি চার মেরেছেন ঢাকা প্লাটুন ও সিলেট থান্ডারের ব্যাটসম্যানরা।
তবে সবচেয়ে বেশি ছক্কা হয়েছে খুলনা টাইগার্স ও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের মধ্যকার চতুর্থ ম্যাচে। এ ম্যাচে হয়েছে ১৭টি ছক্কার মার। ছিল ২২টি চারের মারও। সবমিলিয়ে এই চারদিনের ৮ ম্যাচে হয়েছে মোট ৯৭টি ছক্কা ও ১৮৫টি চার।
ব্যক্তিগতভাবে সর্বোচ্চ নয়টি ছক্কা হাঁকিয়েছে কুমিল্লার অধিনায়ক দাসুন শানাকা। এছাড়া ইমরুল কায়েসের ব্যাট থেকে এসেছে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আটটি ছক্কা। অন্যদিকে আভিস্কা ফার্নান্দো ও চ্যাডউইক ওয়ালটন মেরেছেন সমান ছয়টি ছক্কা।
সর্বোচ্চ চার মারার দিক থেকে সবার উপরে রয়েছেন ঢাকা প্লাটুনের ওপেনার তামিম ইকবাল ও সিলেট থান্ডারের ব্যাটসম্যান জনসন চার্লস। দুই জনেই সমানভাবে ১২টি করে চার মারেন। চার মারার তালিকায় তাদের পরেই রয়েছেন রাজশাহীর ওপেনার লিটন দাস। তার ব্যাট থেকে আসা চারের সংখ্যা ১১টি।
দুই দিন বিরতি দিয়ে আগামী ১৭ ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে বিপিএলের চট্টগ্রাম পর্ব। চট্টগ্রাম পর্বের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হবে খুলনা টাইগার্স ও রাজশাহী রয়্যালস।
ওডি/এসএম
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড