• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩১ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

গ্রন্থমেলায় রাশিদা বেগমের উপন্যাস ‘ইউটোপিয়া’

  বশেফমুবিপ্রবি

০২ মার্চ ২০১৯, ১১:৪১
প্রচ্ছদ
ছবি : রাশিদা বেগম (প্রচ্ছদ : উপন্যাস ‘ইউটোপিয়া’)

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৯৫ সালে বাংলায় স্নাতক ও ১৯৯৬ সালে বাংলায় স্নাতকোত্তর পাস করেন উপন্যাসিক রাশিদা বেগম। ২০০৪ সাল থেকে অদ্যাবধি নরসিংদীর পাঁচকান্দি ডিগ্রী কলেজে বাংলা বিভাগের প্রভাষক হিসেবে কর্মরত আছেন। ছোট বেলা থেকেই তিনি স্বল্পভাষী, চিন্তাশীল, জ্ঞাননিষ্ঠ, মেধা ও মননের অধিকারী। অন্যায়, অনিয়ম আর নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে তিনি সোচ্চার এবং নারীশিক্ষার পক্ষে দ্বিধাহীন সমর্থক।

কলেজ জীবন থেকেই লেখালেখি শুরু হলেও পারিবারিক নানা টানাপোড়নের জন্য লেখার অদম্য ইচ্ছা প্রস্ফুটিত হতে পারেনি। পত্রিকা ও বিভিন্ন ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হয় রাশিদা বেগমের লেখা জনপ্রিয় গল্প ‘ক্যাকটাস’, ‘আমার প্রতিদিনের শব্দ’, ‘সীমান্ত’, ‘ভাষার খোঁজে’, ‘বেলাশেষের গল্প’। প্রবন্ধ ‘বাংলাদেশে নারীর অবস্থান ও নারীশিক্ষার প্রয়োজনীয়তা’।

গতবার অমর একুশে গ্রন্থমেলায় প্রকাশিত হয় লেখকের ‘শেষদৃশ্য’ উপন্যাসটি । এর সাফল্যের ধারাবাহিকতায় এবার বের হয়েছে রাশিদা বেগমের বাস্তবধর্মী লেখা উপন্যাস ‘ইউটোপিয়া’। উপন্যাসটি প্রকাশ করছে অনিন্দ্য প্রকাশন।

উপন্যাসের মূল বিষয়বস্তু সমাজের সকল সুবিধাবঞ্চিত অথচ অস্তিত্বসন্ধানী মানুষদের নিয়ে শ্রেণি-বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা। যুগ যুগ ধরে সমাজের ধণিকশ্রেণির মানুষ কর্তৃক শোষিত বঞ্চিত হয়ে আসছে নিচুস্তরের মানুষ। উপেক্ষা, অবহেলা আর অমানবিক শোষণ বঞ্চনার শিকার হচ্ছে কলকারখানার শ্রমিক। শিশুশ্রম বন্ধের আইনও পুঁজিগঠনে ব্যস্ত মানুষগুলোকে দমাতে পারেনি। সমাজের পতিত, নিঃস্ব, অসহায় মানুষকে তারা দূরে ঠেলে রাখে। তাদের কাছে কেবল স্বীয় স্বার্থ বড় হয়ে উঠে।

ধনী গরিবের মধ্যে এই বিভাজন সমাজের ভিতকে দুর্বল করে দেয়। শোষণের এই চিত্র লেখক গভীর অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে উপলব্ধি করেছেন এবং অসাধারণ শব্দশৈলী, উপমা প্রয়োগে বিশেষ পারঙ্গমতায় উপন্যাসে তুলে ধরেছেন।

‘ইউটোপিয়া’ সম্পর্কে লেখক বলেন, ‘ইউটোপিয়া’ শব্দের অর্থ কল্পরাজ্য। আমি কার্ল মার্কসের সমাজতত্ত্ব দ্বারা কিছুটা প্রভাবিত হয়েছি। আমি এমন এক বৈষম্যহীন সমাজের স্বপ্ন দেখেছি যেখানে ধনী গরিবের মধ্যে অর্থে, খাদ্যে, বস্ত্রে, শিক্ষায়, চিকিৎসায়, বাসস্থানে কোনো বৈষম্য থাকবে না। সেই উদ্দেশে মূলত গড়ে উঠেছে ‘ইউটোপিয়া’।

উপন্যাসের পাত্রপাত্রী সম্পর্কে লেখক বলেন, ‘উপন্যাসজুড়ে বিচরণ করেছে বঞ্চিত শ্রমিক, উচ্চশিক্ষিত বেকার, বেদেবেদেনী, ডিভোর্সি, হিজড়া, ধর্ষিতা।'

‘তাদের প্রাত্যহিক জীবনের টানাপোড়েন, প্রেম-বিরহ, সন্দেহ, অবিশ্বাস, একাকীত্ব, সম্পর্কের নানামুখী জটিলতা আমার চিন্তায় সবসময়ই ক্রিয়াশীল ছিল। তাদের দুঃখকষ্ট, অভাব- অনটন, ক্ষুধা-দারিদ্র্য নিরসনই এ উপন্যাসের অন্বিষ্ট।’

তিনি আরো বলেন, ‘তবে নানামুখী জটিলতা, হতাশার মাঝে তাদের জীবনে আনন্দের ঢেউ জাগে। ধসে যাওয়া জীবনে ও আনন্দের সঞ্চার হয়। জীবনের বাকি দিনগুলো আশাতীত সুখে রাখতে গড়ে উঠে ‘ইউটোপিয়া’।

উপন্যাসটি গ্রন্থমেলায় অনিন্দ্য প্রকাশনীর স্টল পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়াও রকমারি ডটকমে পাওয়া যাচ্ছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড