বড় বোনের টাকা নিয়ে উত্তাল সোশ্যাল মিডিয়া!

অ্যান্ড্রু কিশোর বাংলাদেশের একজন বরেণ্য কণ্ঠশিল্পী। তিনি এখন সিঙ্গাপুরে আসেন। সেখানে একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। গুণী এ কণ্ঠশিল্পী হরমোনজনিত সমস্যায় ভুগছেন।

তিনি চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে যাওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে ১০ লাখ টাকার একটি চেক পান। এ বিষয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ পরিবেশন করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে অ্যান্ড্রু কিশোর চেক নিচ্ছেন এমন একটি ছবিও প্রকাশ পায়। এরপরই বিষয়টি ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে এবং তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়।

অনেকেই এই গুণী কণ্ঠশিল্পীকে নেতিবাচকভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় উপস্থাপন করেন। কেউ কেউ অ্যান্ড্রু কিশোরের পক্ষ নিয়ে সমালোচনার কড়া জবাবও দেন। এদের একজন কণ্ঠশিল্পী সামিনা চৌধুরী। তার সঙ্গে অ্যান্ড্রু কিশোরের বহু জনপ্রিয় গান রয়েছে। এ বিষয়ে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি।

কণ্ঠশিল্পী সামিনা চৌধুরী ফেসবুকে লেখেন, ‘বরেণ্য কণ্ঠশিল্পী অ্যান্ড্রু কিশোর দা-কে ডাকা হয়েছিল একটা প্রোগ্রামের ব্যাপারে আলাপ করার জন্য। অ্যান্ড্রু দা মাসখানেক ধরে হরমোনের সমস্যায় ভুগছেন এটি ওনার ছোটবেলা থেকেই সমস্যা। এ কারণে ওজন একটু কমে যায়, স্কিন কালার একটু চেঞ্জ হয়েছে। এটি জিজ্ঞেস করার পর এবং জানার পর প্রধানমন্ত্রী নিজে থেকে দাদাকে ১০ লাখ টাকা পরিমাণ অর্থের একটি চেক দিয়েছেন। অ্যান্ড্রু দা নিতে না চাইলে প্রধানমন্ত্রী তাকে বলেন যে, চেকটি তিনি বড় বোন হিসেবে দিতে চাইছেন। একটা রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রী যদি নিজে থেকে কাউকে কিছু দিতে চান, সেটি উপেক্ষা করা তাকে অসম্মান করা বৈকি! আমি যতটুকু জেনেছি, টাকার ব্যাপারটি এটুকুই।’

সামিনা চৌধুরী লেখেন, ‘মোমেন বিশ্বাসের কাছ থেকে আমি পুরো ঘটনা জানতে পারি। আমরা অনেক কষ্টে একজন করে ক্ষণজন্মা মৌলিক কণ্ঠশিল্পী পাই। তাকে ভালোবাসা দিয়ে মনে সাহস দিয়ে বাঁচতে ও গান গেয়ে যেতে সাহায্য করা যে আমাদের এবং আমাদেরই দায়িত্ব। ১০ লাখ টাকার জন্য যে অ্যান্ড্রু দার মতো শিল্পী কারও কাছেই টাকা চাবেন না, এ ব্যাপারে অন্তত আমি নিশ্চিত।’

তিনি আরও লেখেন, ‘আমি তার স্নেহধন্য ছোটবোন, সব সময় তাদের স্নেহের ছায়ায় আছি, থাকতে চাই আজীবন। আল্লাহর ইচ্ছায় আমরা সবাই এখন প্রিয় শিল্পী অ্যান্ড্রু কিশোরের জন্য প্রার্থনা করি, তিনি যেন সুস্থ হয়ে ফেরেন। যেন খুশি মনে গেয়ে ওঠেন ‘আমার সারা দেহ খেয়ো গো মাটি... এই চোখ দুটো মাটি খেয়ো না...।’

ওডি/এমআর