আলোকচিত্রে ‘জননী সাহসিকা’
শব্দনীল
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পরীক্ষণ থিয়েটারে গতকাল (১৭মে) বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যায় প্রদর্শিত হলো জার্মান নাট্যকার বের্টোল্ট ব্রেখটরের ‘জননী সাহসিকা’। নাটকটি রচিত হয়েছে ইউরোপের ত্রিশ বছরের ধর্ম যুদ্ধের পটভূমির উপর ভিত্তি করে। নাটকটির নির্দেশনায় ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নাট্যকলা বিভাগের প্রভাষক সঞ্জীব কুমার দে এবং অনুবাদ করেছেন কবীর চৌধুরী।
নাটকের কেন্দ্রীয় চরিত্র অ্যানা ফিয়ার্লিং একটি ভ্রাম্যমাণ ক্যানটিনের মালিক। যুদ্ধের ধ্বংসলীলার মধ্যে অসীম সাহসের সঙ্গে নিজের মালামাল সে যেভাবে বাঁচিয়েছে, তারই স্বীকৃতিস্বরূপ লোকজন তার উপাধি দেয় ‘জননী সাহসিকা’। তার দুই ছেলে ও এক মেয়ে। বড় ছেলে এলিফ। সে বেপরোয়া ও দুঃসাহসী। তবে ছোট ছেলে অত্যন্ত সৎ। তাকে ডাকা হয় সুইস পনির বলে। মেয়ে কাট্রিন অত্যন্ত সংবেদনশীল ও অনুভূতিপ্রবণ, কিন্তু বোবা। পরিবারের পঞ্চম সদস্য হলো জীবিকা নির্বাহের মূল অবলম্বন তার খাবার গাড়িটি। যুদ্ধের সর্বনাশা ছোবলে জননী সাহসিকা একে একে তার তিন সন্তানকেই হারায়। জীবিকার তাগিদে সে একাই টেনে বেড়ায় খাবারের গাড়িটি। অতঃপর যুদ্ধ আর সাহসিকার জীবন সমান্তরালে এগিয়ে চলা।
চলুন আলোকচিত্রে দেখেনি ‘জননী সাহসিকা’র কয়েকটি মুহূর্ত-
ছবি : ‘জননী সাহসিকা’ নাটকের কেন্দ্রীয় চরিত্র অ্যানা ফিয়ার্লিং এবং তার দুই ছেলে ও এক মেয়ে
ছবি : জননী অ্যানা ফিয়ার্লিং এবং সৈনিক
ছবি : সার্জেন্টর প্রলোভনে পা দিয়ে সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে যাচ্ছে এলিফ
ছবি : বড় ছেলে এলিফ সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ায় অসহায় অ্যানা ফিয়ার্লিং
ছবি : জননী অ্যানা ফিয়ার্লিংয়ের তরুণী মেয়ে কাট্রিন অত্যন্ত সংবেদনশীল ও অনুভূতিপ্রবণ, কিন্তু বোবা
ছবি : কর্নেল এবং এলিফ
ছবি : বহুদিন পরে জননী অ্যানা ফিয়ার্লিংয়ের সাথে বড় ছেলে এলিফের দেখা হওয়ার মুহূর্ত
ছবি : নাটকের বাবুর্চি চরিত্র
ছবি : সৈনিকদের সাথে লড়াই জননী অ্যানা ফিয়ার্লিংয়ের বাকযুদ্ধ
ছবি : কাট্রিন এবং সুইস পনির
ছবি : ভ্রাম্যমাণ ক্যান্টিনে আক্রমনে কাট্রিন সতর্ক করছে সকলকে
ছবি : কাট্রিন এবং নাটকের অন্য চরিত্র ইভেট পাটিয়ার
ছবি : ইভেট পাটিয়া এবং অ্যানা ফিয়ার্লিং
ছবি : কাট্রিনের মৃত্যুদেহ বহন করছে বাবুর্চি
ছবি : অ্যানা ফিয়ার্লিংয়ের কোলে মৃত্যু মেয়ে কাট্রিন
ছবি : নাটকের শেষ দৃশ্যে জীবিকার তাগিদে অ্যানা ফিয়ার্লিং একাই টানছে খাবারের গাড়িটি
