• বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৭ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

সেলুলয়েডের মহাকবি তিনি, তিনিই সত্যজিৎ

  নাবিলা বুশরা

২৩ এপ্রিল ২০১৯, ১৩:০৮
সত্যজিৎ রায়
সেলুলয়েডের মহাকবি সত্যজিৎ রায়

মৃত্যু খুব সহজাত একটি বিষয়। জন্ম নিলে মৃত্যু অনিবার্য। তবু কিছু মৃত্যু বেদনাদায়ক, মেনে নেওয়া কঠিন। কিংবদন্তীদের প্রয়াণে কাঁদে মানুষ। এমনই এক কিংবদন্তী সত্যজিৎ রায়। যার মহাপ্রয়াণে নির্বাক হয়ে গিয়েছিল গোটা শহর তথা গোটা দেশ। তাঁর শেষকৃত্যানুষ্ঠানে হাজার হাজার মানুষ সজল চোখে গেয়ে উঠেছে: ‘মহারাজা, তোমারে সেলাম!’

বাংলা ভাষায় সত্যজিৎ রায়ের মত গুণী নির্মাতা আগে কখনো আসেননি, ভবিষ্যতেও আসবেন কিনা সে বিষয়েও সন্দেহ রয়ে যায়। চলচ্চিত্রকে মনপ্রাণ দিয়ে ভালোবাসা আর অন্তরে লালন করা এমন মানুষের দেখা পাওয়া যায় কালেভেদ্রে।

তিনি শুধু একজন চলচ্চিত্র নির্মাতাই নন, একাধারে তাঁর পরিচিতি একজন চিত্রনাট্যকার, শিল্প নির্দেশক ও সঙ্গীত পরিচালক হিসেবেও। যে কয়জন ব্যক্তির হাত ধরে বাংলা চলচ্চিত্র বিশ্ব দরবারে পরিচিত লাভ করেছে, তিনি তাদের একজন।

সত্যজিৎ রায়

সত্যজিৎ রায় (ছবি: পিন্টারেস্ট)

১৯৯২ সালে প্রথম বাঙালি হিসেবে সম্মানসূচক অস্কার পুরস্কার পেয়েছিলেন সত্যজিৎ রায়। আর চার্লি চ্যাপলিনের পর তিনিই দ্বিতীয় চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব, যাকে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করে।

১৯২১ সালের ২ মে কলকাতা শহরে সাহিত্য ও শিল্পের জগতে খ্যাতনামা এক বাঙালি পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন সত্যজিৎ। সেলুলয়েডের এই মহাকবি পৃথিবী ছেড়ে যাওয়ার আগে রেখে গেছেন অসামান্য আর অসাধারণ অনেকগুলো সৃষ্টিকর্ম।

সত্যজিতের পূর্বপুরুষরা ছিলেন বর্তমান বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদি উপজেলার মসূয়া গ্রামের অধিবাসী। তার দাদা উপেন্দ্রকিশোর রায় ছিলেন উনিশ শতকের বাংলার একজন বিখ্যাত লেখক, চিত্রকর ও দার্শনিক। উপেন্দ্রকিশোরের ছেলে সুকুমার রায় ছিলেন সত্যজিতের বাবা, যিনি ছিলেন বাংলা শিশু সাহিত্যের এক কিংবদন্তী শিল্পী।

মাত্র তিন বছর বয়সেই বাবা সুকুমার মারা যান। মা সুপ্রভা দেবী বহু কষ্টে তাকে লালনপালন করেছেন। ৮ বছর বয়সে ১৯২৯ সাল থেকে তাঁর শিক্ষা জীবন শুরু হয়। তিনি প্রথমে ভর্তি হন বালিগঞ্জ গভর্মেন্ট হাইস্কুলে এবং তারপর স্কুলের পড়া শেষ করে পরে ভর্তি হন কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে। যেখানে তিনি অর্থনীতি নিয়ে পড়াশোনা করতে থাকেন।

১৯৪০ সালে সত্যজিতের মা তাঁকে শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতিষ্ঠিত বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবার জন্য পীড়াপীড়ি করতে থাকেন এবং অবশেষে মায়ের ইচ্ছার জন্যই তিনি সেখানে ভর্তি হন |

শোনা যায় বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ সম্বন্ধে খুব একটা উঁচু ধারণা পোষণ করতেন না সত্যজিৎ রায়। কিন্তু পরে, সেখানে পড়াশোনা করার পর তাঁর এই ধারণা পুরোপুরি ভুল বলে প্রামণিত হয়। কারণ পরে তিনি স্বীকার করেন যে, সেখানকার বিখ্যাত চিত্রশিল্পী নন্দলাল বসু এবং বিনোদ বিহারী মুখোপাধ্যায়ের কাছ থেকে তিনি অনেক কিছু শিখেছিলেন যার ফলে তাঁর মনে প্রাচ্যের শিল্পের প্রতি এক গভীর মর্যাদা জন্ম নেয়।

সত্যজিত রায় কিন্তু বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশিদিনের জন্য পড়াশোনা করেননি। ১৯৪৩ সালে তিনি শান্তিনিকেতন ছেড়ে আবার কলকাতায় চলে আসেন এবং সেখানে ব্রিটিশ বিজ্ঞাপন সংস্থা ডি জে কিমারে মাত্র ৮০ রুপি বেতনের বিনিময়ে “জুনিয়র ভিজুয়ালাইজার” হিসেবে কাজ করতে শুরু করেন।

১৯৪৭ সালে বিজ্ঞাপন জগতে বেশ পরিচিত একটি নাম হয়ে ওঠেন সত্যজিৎ রায়। সে বছরই তিনি প্রতিষ্ঠা করেন 'ক্যালকাটা ফিল্ম সোসাইটি'।

১৯৪৯ সালে ফরাসি চলচ্চিত্রকার জঁ রেনোর তাঁর “দ্য রিভার” ছবি নির্মাণের জন্য কলকাতায় এসে সত্যজিতকেই তিনি তাঁর সিনেমার উপযোগী স্থান খোঁজার জন্য সহকারী হিসাবে খুঁজে নিয়েছিলেন। অনেকে ভাবেন, বাস্তবধর্মী চলচ্চিত্র নির্মাণের ক্ষেত্রে সত্যজিতের জীবনে জঁ রেনোর ভূমিকা ছিলো অন্যতম। তাঁর কাছ থেকেই তিনি সিনেমা নির্মাণের সঠিক কৌশল সম্পর্কে শিখেছিলেন।

একই বছর ১৯৪৯ সালে সত্যজিৎ রায় তাঁর দূরসম্পর্কের বোন ও বহু দিনের বান্ধবী বিজয়া দাসের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বিজয়া দেবীই ছিলেন একমাত্র নারী যাঁকে সত্যজিৎ রায় নিজের প্রিয় বন্ধু ও তাঁর তৈরী সিনেমার সবচেয়ে বড় সমালোচক বলে মনে করতেন।

সত্যজিৎ রায়

অর্ধাঙ্গিনী বিজয়া দাশের সাথে সত্যজিৎ রায় (ছবি: পিন্টারেস্ট)

১৯৫০ সালে বিজ্ঞাপন সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ে কাজ করতে তাকে লন্ডনে পাঠানো হয়। লন্ডনে থাকাকালে প্রায় ৯৯টি চলচ্চিত্র দেখেন। এর মধ্যে অন্যতম একটি ছিল ইতালীয় নব্য বাস্তবতাবাদী চলচ্চিত্র ‘লাদ্রি দি বিচিক্লেত্তে’ (‘সাইকেল চোর)। এই চলচ্চিত্রটি সত্যজিতকে এতই প্রভাবিত করেছিল যে, হল থেকে বের হবার পর তিনি পাকা সিদ্ধান্ত নেন যে, তিনি একজন চলচ্চিত্রকার হবেন।

সেই থেকে তিনি ‘পথের পাঁচালী’ দিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণের কাজ শুরু করে দেন। কিন্তু প্রথম দিকে কেউ তার চলচ্চিত্রে অর্থায়ন করার সাহস পাচ্ছিল না। কারণ একে তো পরিচালক হিসেবে সত্যজিৎ একেবারে নতুন, অন্যদিকে চলচ্চিত্রের বিষয়বস্তু অনেক সনাতন ধারার। অবশেষে ১৯৫২ সালে তিনি এর নির্মাণ কাজ শুরু করেন এবং প্রায় আড়াই বছর পর ১৯৫৫ সালে তার প্রথম চলচ্চিত্র ‘পথের পাঁচালী’ মুক্তি পায়। এর সংগীত পরিচালনা করেছিলেন বিখ্যাত শিল্পী পণ্ডিত রবি শংকর।

পথের পাঁচালি

পথের পাঁচালি চলচ্চিত্রের একটি দৃশ্য (ছবি: পিন্টারেস্ট)

তার এই চলচ্চিত্রটি কেবল জনপ্রিয়ই হয়নি, সমালোচকদের কাছে এটি ব্যাপক প্রশংসিত হয়। এটি ১৯৫৬ সালের কান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে পুরস্কৃত হবার পাশাপাশি প্রায় ১১টি আন্তর্জাতিক পুরস্কার পায়। এরপর তিনি পথের পাঁচালির সিকোয়েন্স হিসেবে অপরাজিত (১৯৫৬) ও অপুর সংসার (১৯৫৯) চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। এ তিনটি তার ত্রয়ী চলচ্চিত্র হিসেবে বিখ্যাত হয়। অপরাজিত চলচ্চিত্রটি ভেনিসে গোল্ডেন লায়ন পুরস্কার জেতে। এভাবে ধীরে ধীরে আন্তর্জাতিক মহলে সত্যজিতের খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে।

চলচ্চিত্রের সকল স্ক্রিপ্ট একাই নিজ হাতে রচনা করতেন সত্যজিৎ। তাঁর অধিকাংশ সিনেমা সাহিত্যনির্ভর হওয়া সত্ত্বেও প্রতিটি চিত্রনাট্য একদম অরিজিনাল ছিল। কস্টিউম ডিজাইন থেকে সেট ডিজাইন, সবকিছুর সূক্ষাতিসূক্ষ ডিটেইলস নিজেই করতেন তিনি। প্রতিটি দৃশ্য শটের আগে কলাকুশলীদের সামনে নিজেই অভিনয় করে দেখাতেন। ক্যামেরা নিজেই চালাতেন। এমনকি ফ্রেম বাই ফ্রেম এডিটিংও করতেন নিজেই। সঙ্গীত পরিচালনা এবং আবহ সঙ্গীতও ছিল তাঁর নিজেরই।

শুধু ক্যামেরার পেছনেই নয়, সিনেমার গল্পেও তিনি বরাবর বজায় রেখেছেন বৈচিত্র্যতা। সীমাবদ্ধ গন্ডিতে বসে নিজের সৃজনশীলতাকে এক সারিতে তিনি বেঁধে রাখেননি কখনোই।

‘অপু ট্রিলজি’ (পথের পাঁচালী, অপরাজিত, অপুর সংসার) ছিল এপিক ট্র্যাজেডি, ‘গুপি গাইন বাঘা বাইন’ আর ‘হীরক রাজার দেশে’ ছিল রূপকথা, ‘মনিহারা’ ছিল ভৌতিক কাহিনী, আবার ‘শতরঞ্জ কি খিলাড়ি’ ছিল পিরিয়ড কমেডি। ‘চিড়িয়াখানা’, ‘সোনার কেল্লা’, ‘জয় বাবা ফেলুনাথ’ ছিল গোয়েন্দা কাহিনী; ‘অভিযান’, ‘অরণ্যের দিনরাত্রি’ ছিল সমসাময়িক যৌবনের কাহিনী। ‘অশনি সংকেত’ ঐতিহাসিক সাহিত্যের আবেগমথিত চলচ্চিত্রায়ণ। মানবচরিত্রের ব্যবচ্ছেদ করেছেন ‘শাখা প্রশাখা’, ‘গণশত্রু’ কিংবা ‘আগন্তুকে’র মত সিনেমায়।

অনেকে সিনেমাবীদরা মনে করেন, তাঁর তৈরী “অপরাজিত” সিনেমাটি ছিলো “পথের পাঁচালীর” থেকেও অনেক বেশি পরিমান ভালো। এই সিনেমাটি পরে ভেনিস শহরে আয়োজিত চলচ্চিত্র উৎসবে “গোল্ডেন লায়ন” পুরস্কারে সম্মানিত হয় যেটি ছিলো সেখানকার সিনেমা জগতের একটি সর্বোচ্চ পুরস্কার।

সমালোচকেরা বরাবরই সত্যজিতের চলচ্চিত্র নিয়ে একটি বড় অভিযোগ তুলেছেন, সেটি হলো তাঁর চলচ্চিত্রে সমসাময়িক রাজনীতি কখনোই সেভাবে উঠে আসেনি। এ কথা হয়ত আংশিক সত্য। ষাটের দশক পর্যন্ত সত্যজিতের চলচ্চিত্রে সচেতনভাবে রাজনীতিকে এড়ানোর চেষ্টা লক্ষ্য করা যায়। কিন্তু পরে যে অবস্থার পরিবর্তনও হয়, সেটা স্বীকার করতেই হবে।

সত্যজিতের রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি ধরা পড়ে তাঁর ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’, ‘সীমাবদ্ধ’ এবং ‘জন-অরণ্য’ চলচ্চিত্রে। এই তিনটি ‘কলকাতা ট্রিলজি’ হিসেবে পরিচিত। তিনটিই মুক্তি পায় সত্তরের দশকে, যখন নকশালবাড়ি আন্দোলন তুঙ্গে। চলচ্চিত্রের প্রসঙ্গও তাই। প্রথমটি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় এবং অন্যদুটি শংকরের উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত।

তবে ব্যক্তিজীবনে রাজনীতিকে বলতে গেলে কিছুটা অপছন্দই করতেন সত্যজিৎ। এমনকি ষাট দশকের শেষের দিকে নকশালবাড়ির আন্দোলনকে আরো বেশি অপছন্দ করতেন এই বলে যে এটা নাকি ছিল বামপন্থীদের ভেতরকার দ্বন্দ্ব। ১৯৭২-৭৩ সালের ‘সাইট অ্যান্ড সাউন্ডে’ প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে সত্যজিৎ বলেন, ‘দুঃখদায়ক ঘটনা এটাই যে বামপন্থী আন্দোলন বিভিন্ন দলে বিভক্ত, এবং তারা একে অপরের শত্রু। তারা উদারপন্থী বা সংরক্ষণপন্থীদের আক্রমণ করে না, তারা প্রকৃত শত্রুকে আক্রমণ করে না। পরিবর্তে তারা পরস্পর পরস্পকে আক্রমণ করে।’

সত্যজিৎ

সত্যজিৎ রায় (ছবি: পিন্টারেস্ট)

একই সাক্ষাৎকারে তিনি আরও বলেছিলেন, ‘আমার সবসময় মনে হয় ভারতে রাজনীতিটা একটা অস্থায়ী ব্যাপার, রাজনৈতিক দলগুলো খুব তাড়াতাড়ি ভেঙ্গে যায়। এবং আমি বিশ্বাস করি না যে বামপন্থী দল বলে তেমন কিছু আর আছে। ভারতে এখন তিনটে কম্যুনিস্ট পার্টি, আর আমি তার কোন মানে খুঁজে পাই না।’

সত্যজিৎ তাঁর জীবদ্দশায় ফিচার, ডকুমেন্টারী এবং শর্ট ফিল্ম মিলিয়ে মোট ৩৬টি চলচ্চিত্র পরিচালনা করেন। ১৯৫৫ সালে তাঁর পরিচালিত প্রথম সিনেমা ‘পথের পাঁচালী’ মুক্তি পায়, যা ১৯৫৬ সালের কান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে “বেস্ট হিউম্যান ডকুমেন্ট এ্যাওয়ার্ড”- সহ মোট ১১ টি আন্তর্জাতিক পুরষ্কার লাভ করে। ১৯৬৫ সালে তাঁকে ভূষিত করা হয় ‘পদ্মভূষণ’ উপাধিতে। জীবদ্দশায় তিনি ৩২টি “ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ফিল্ম এ্যাওয়ার্ড” সহ বিভিন্ন অসংখ্য পুরষ্কারে ভূষিত হন। ১৯৯২ সালে তিনি “এ্যাকাডেমি অনরারি এ্যাওয়ার্ড” এবং ভারত সরকার কর্তৃক “ভারতরত্ন” উপাধিতে ভূষিত হন। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় তাঁর কৃতিত্বের সম্মানস্বরূপ তাঁকে সম্মানসূচক ডিগ্রীতে ভূষিত করে। ২০০৪ সালে বিবিসির শ্রোতাজরিপে নির্বাচিত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালির তালিকায় তাঁর স্থান ছিল ১৩ তম।

১৯৯২ সালের ২৩ এপ্রিল না ফেরার দেশে চলে যান কিংবদন্তী চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায়। তাঁর মৃত্যুর মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্র আর সাহিত্য দুই অঙ্গনেই সৃষ্টি হয়েছে এক অসীম শূণ্যতা। আজ এত বছর পরেও সেই শূণ্যতা পুরোপুরি পূরণ হয়নি।

তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট

ওডি/এএন

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড