নাবিলা বুশরা
বব মার্লে ছিলেন তৃতীয় বিশ্বের প্রথম আন্তর্জাতিক রকস্টার, যিনি জ্যামাইকার রেগে, স্পার মতো লোক গানগুলোকে বিশ্ব দরবারে পরিচিত ও জনপ্রিয় করেছেন। জ্যামাইকা নামক এই দ্বীপ রাষ্ট্রটিকে আজ যে পুরো পৃথিবী চেনে, তার মূলে ছিলেন রাসতাফারিয়ান মতাদর্শের এই শিল্পী।
আজ প্রখ্যাত এই সংগীত শিল্পীর জন্মদিন। ছবিতে রইলো বব মার্লের জীবনের কিছু বিশেষ মুহূর্ত:
আমান্ডলা ফেস্টিভ্যালের আগে কমেডিয়ান ডিক গ্রেগরীর সাথে একটি প্রেস কনফারেন্সে বব মার্লে-২১ জুলাই, ১৯৭৯ (ছবি: বব মার্লে অফিসিয়াল সাইট)
ফিলাডেলফিয়ার পেন হলে ব্ল্যাক মিউজিক এসসিয়েশনের জন্য স্টিভ ওয়ান্ডারের সাথে একটি ইভেন্টে বব মার্লে - ৭ নভেম্বর, ১৯৭৯ (বব মার্লে অফিসিয়াল সাইট)
ক্যালিফোর্নিয়ার ওয়েস্ট হলিউডের রক্সির ব্যাকস্টেজে জর্জ হ্যারিসনের সাথে বব মার্লে-১৯৭৫ (ছবি: বব মার্লে অফিসিয়াল সাইট)
তিনি বিশ্বাস করতেন, মানুষের মনে ভালোবাসা ও গান প্রবেশ করাতে পারলেই ঘৃণা থেকে মুক্তি মিলবে। এই বিশ্বাসের কারণেই নিজের পুরো ক্যারিয়ারেই যুক্ত ছিলেন ‘রাসতাফারি’ আন্দোলনের সঙ্গে। রাসতাফারি, আফ্রিকা ও ক্যারিবীয় ভূখণ্ডে প্রচলিত এক সহজিয়া মতাদর্শ। রাসতাফারিরা বিশ্বাস করে কালো মানুষরাই ঈশ্বরের পছন্দের। পাশাপাশি ইথিওপিয়ার তৎকালীন সম্রাট হেইলে সেলাসিকেও যীশুর পুনরুজ্জীবিত অবতার হিসেবে বিশ্বাস করতেন রাসতাফারিয়ানরা। অনেকেই রাখেন জটাচুল, পবিত্র বলে গণ্য করেন গাঁজাকে।
জ্যাকব মিলার (মাঝে), আইল্যান্ড রেকর্ডার্স এর প্রতিষ্ঠাতা ক্রিস ব্ল্যাকওয়েলের (ডানে) সাথে বব মার্লে (ছবি: বব মার্লে অফিসিয়াল সাইট)
মার্লের সাবেক ব্যবসা পরিচালক কলিন লেস বলেন, ‘প্রায় চার হাজারেরও বেশি মানুষকে মার্লে দেখাশোনা করতেন। তাদের অভুক্ত না থাকা, প্রতিপালন করার ব্যবস্থা করেছিলেন তিনি।’
কিংসটনের ন্যাশনাল হিরো'স স্টেডিয়ামে জ্যাকসন ফাইভের সাথে তাদের একত্রিত কনসার্টের আগে-৮ মার্চ, ১৯৭৫ (ছবি: বব মার্লে অফিসিয়াল সাইট)
জ্যামাইকান গীতিকার ভিনসেন্ট ফোর্ডের সাথে বব মার্লে (ছবি: বব মার্লে অফিসিয়াল সাইট)
সসার খেলতে ভালোবাসা বব মার্লের সাথে এক সাংবাদিক দেখা করতে চাইলে তিনি তাকে বলেছিলেন, 'আমার সাথে দেখা করতে চাইলে আগে তোমাকে আমার সাথে এবং ওয়েলার্সের সাথে খেলতে হবে।'
বন্ধুদের সাথে বব মার্লে (ছবি: পিনটারেস্ট)
বব মার্লের উক্তি (ছবি: পিন্টারেস্ট)
আরও পড়ুন: স্ট্যান্ড আপ ফর ইওর রাইটস! : বব মার্লে
ক্ষুদে ফুটবল খেলোয়ারদের সাথে বব মার্লে (ছবি: পিন্টারেস্ট)
রোলিং স্টোনস ব্যান্ডের মিক জ্যাগার এবং পিটার টশের সাথে বব মার্লে (ছবি: বব মার্লে অফিসিয়াল সাইট)
১৯৪৫ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি জন্ম নেয়া বব মার্লে পৃথিবীর বুকে খুব বেশি দিন মানবতার জয়গান গাইতে পারেননি। ফুসফুস ও মস্তিষ্কের ক্যানসারের কারণে মাত্র ছত্রিশ বছর বয়সে ১৯৮১ সালের ১১ মে তিনি পৃথিবী ছেড়ে, কোটি কোটি ভক্তকে কাঁদিয়ে চলে যান।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড