• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৯ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

শৈশবকে রাঙানো মিকি পা দিল ৯০-এ

  অধিকার ডেস্ক

১৭ নভেম্বর ২০১৮, ১২:৪৭
মিকি মাউস
নব্বইয়ের দোর গোড়ায় মিকি মাউস (ছবি: ইন্টারনেট)

বাধর্ক্যকে কখনো বেধেঁ রাখা যায়না। সময়ের তালে তালে বয়সও বাড়ে নিজ গতিতে। শৈশব, কৈশোর, যৌবন পেরিয়ে মানুষ এক সময় প্রবীণে পরিণত হয় আর এটাই মূলত প্রকৃতির নিয়ম। এই প্রাকৃতিক নিয়ম লঙ্ঘন করার ক্ষমতা কারো নেই। কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে এর ব্যাতিক্রমও ঘটে। এমন কিছু চরিত্রের অস্তিত্ব আছে যার বাধর্ক্যেও ভাটা পরে না। যা শত বছরে পদার্পণ করলেও রয়ে যায় ’এভার গ্রিন’। কি ভাবছেন কোনো জাদুকর বা তান্ত্রিক এর কথা বলছি? না, সেটা নয়। কথা বলছি ১৯২৮ সালে প্রকাশিত প্রথম শব্দযুক্ত কার্টুন মিকি মাউসের কথা। শুনলে অবাক হবেন এই বিখ্যাত ব্যাক্তিটি নব্বই বছরে পা দিয়েছে।

১২ বছর আগে ৭৫তম জন্মদিনটি ঘটা করে পালন করেছিল ডিজনি।

মিকি মাউসের গোড়ার গল্প

কার্টুন চরিত্র ‘ওসওয়াল্ড, দা লাকি ব়্যাবিট’-এর স্বত্ব ডিজনি সংস্থা হারিয়ে ফেললে বিকল্প হিসেবে জন্ম নেয় ‘মিকি মাউস’৷ এই চরিত্রটি কার্টুনিস্ট অব আইওয়ার্কস-এর সঙ্গে মিলে প্রখ্যাত কার্টুনিস্ট ওয়াল্ট ডিজনি সৃষ্টি করেন। ‘মিকি’নামটি প্রস্তাব করেন ওয়াল্ট ডিজনি’র স্ত্রী লিলিয়ান। ‘স্টিমবোট উইলি’ প্রকাশের ছয় মাস আগেই প্রস্তুত হয়ে গিয়েছিল নির্বাক চলচ্চিত্র ‘প্লেন ক্রেজি’৷ কিন্তু প্রযোজকের পছন্দ না হওয়ায় পিছিয়ে পড়ে তার কাজ। পরে ১৯২৯ সালে শব্দযুক্ত কার্টুন হিসেবেই প্রকাশ পায় ছবিটি। আমেরিকা থেকে ইউরোপে একটানা উড়ে যাওয়া কিংবদন্তি পাইলট চার্লস লিন্ডবার্গের চরিত্রে অভিনয় করেও মিকি দর্শক টানতে বিফল হয়। ১৯৩৫ সাল পর্যন্ত মিকি মাউসকে সাদা-কালোদেখা যেতো পরবর্তিতে ‘দ্য ব্যান্ড কনসার্ট’ ছবি দিয়েই মিকি’র রঙিন ছবির জগতে পদার্পণ।

চরিত্র

আট মিনিট দৈর্ঘ্যের সাদা-কালো ছবি ‘স্টিমবোট উইলি’-তে বড় পর্দায় আত্মপ্রকাশ করে মিকি মাউস, মিনি মাউস ও মিকির শত্রু-চরিত্র ‘পিট’। মিকি তার প্রেমিকা মিনি ও প্রতিদ্বন্দ্বী পিটের সঙ্গে ১৯৩০ সালে নতুন চরিত্র হিসেবে যোগ দেয় রোভার নামের একটি কুকুর। পরে সেই চরিত্রের নাম বদলে হয় ‘প্লুটো। সবার আগে স্রেফ গন্ধ শুঁকে বিপদ আঁচ করতে পারা প্লুটো সহজেই হয়ে ওঠে মিকির সবচেয়ে কাছের বন্ধু। কিন্তু মজার বিষয়, ডিজনি’র অন্যান্য চরিত্রের মতো প্লুটো কথা বলতে পারে না।

খুঁটিনাটি

১৯২৮ থেকে ১৯৪৬ সাল অবধি ওয়াল্ট ডিজনি নিজেই মিকি’র জন্য কন্ঠদান করতেন। ১৯৩৯ সালে ‘ডোনাল্ড ডাক’ নামে আরেকটি কার্টুনিস্ট চরিত্র সৃষ্টি করেন। এর ফলে এর খ্যাতি ছাপিয়ে যায় মিকি মাউসকে। পরে মিকিকে নিয়ে একদম ভিন্নধর্মী ফিচার ছবি ‘ফ্যান্টাসিয়া’ তৈরি করেন ওয়াল্ট ডিজনি। পল ডুকাসের সুরে পশ্চিমা ক্লাসিক্যাল সংগীতে সাজানো ছবিটি ১৯৪২ সালে ওয়াল্ট ডিজনিকে এনে দেয় অস্কার পুরস্কার। শুধু তাই নয়, দর্শকদেরও প্রশংসা কুড়োয় এই অ্যানিমেশন ছবিটি।

যদিও ১৯৯৪ সালে কার্টুন চরিত্র হিসেবে মিকি’র জীবন শেষ হয়ে যায়। তবুও বর্তমানে তার জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েনি। আজও সবার পছন্দের তালিকায় এই চরিত্রটি।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড