অধিকার ডেস্ক ২২ অক্টোবর ২০১৮, ১২:২৪
২০০৮ সালের ১৪ অক্টোবর চট্টগ্রামে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে দিয়ে আন্তর্জাতিক অভিষেক হয় ইমরুলের। চলতি মাসে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১০ বছর পূর্ণ হল তার। দেশের হয়ে এই সংস্করণেই সবচেয়ে বেশি ম্যাচ ৭৪ ম্যাচ খেলা শেষ। অথচ এত দিনেও জাতীয় দলে নিজের জায়গাটা নড়েবড়ে অবস্থা। বলা যায় এখনও লড়াই করে যাচ্ছে টিকে থাকার। লাল সুবুজের জার্সি গায়ে খারাপ করলে প্রায়ই তাকে যেতে হয় সাইডবেঞ্চে। জায়গা এখনও স্থির নয় তার!
এশিয়া কাপে আকস্মিকভাবে দলে জায়গা পান ইমরুল। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হাতে তামিমের চোটে মাঝপথে ফিরেন স্কোয়াডে এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। ৭২ রানের নজরকাড়া ইনিংস খেলে আবার জায়গা করে নেন। সেই ধারাবাহিকতা এখনও ধরে রেখেছেন বাঁহাতি ওপেনার। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দারুণ সেঞ্চুরিতে ওয়ানডে দলে থাকার তার দাবি আরেকটু জোরালো হল।
রবিবার মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খেলেন ১৪৪ রানের ইনিংস। টাইগারদের জয়ের পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করেছেন ওপেনার ইমরুল। তাইতো বুক উচুঁ করে বলতে পারছেন, তিনি এখনও ফুরিয়ে যাননি। দলকে দেওয়ার মতো অনেক কিছুই এখন বাকি।
ম্যাচ শেষে ম্যাচ সেরার পুরস্কার গ্রহণের সময় জানিয়েছেন, ‘আমার সঙ্গে অনেক ক্রিকেটারের অভিষেক হয়েছে। তারা এখনও খেলেছে। আবার এমন ক্রিকেটারেরও অভিষেক হয়েছে তারা এখন দৃশ্যপটেও নেই। আমার কাছে মনে হয় যে দৃঢ়প্রতিজ্ঞা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমি বিশ্বাস করি যে আমার ক্যারিয়ারে এত দ্রুত শেষ হতে পারে না। আমি সবসময় নিজেকে প্রস্তুত রাখি। যতদিন খেলব, জাতীয় দলে খেলার জন্য নিজেকে প্রস্তুত রাখি। যেদিন জাতীয় দলে খেলার সুযোগ থাকবে না, নিজেই বলব থ্যাংক ইউ।’
জাতীয় দলের জার্সি গায়ে খেলতে পারাটা অনেক সম্মানের মনে করেন ইমরুল। সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবালের না থাকাটা বুঝতেই দেননি এই ওপেনার। 'আমি যখন জাতীয় দলে খেলার সুযোগ পাই তখনই নিজেকে ভাগ্যবান মনে করি। দেশের হয়ে খেলা অনেক সম্মানের। যখনই সুযোগ পাই তখনই শতভাগ দেওয়ার চেষ্টা করি। কখনও সফল হই কখনও হই না। কিন্তু আমি আমার পরিশ্রম চালিয়ে যাই এবং সবকিছুতে শতভাগ দেওয়ার চেষ্টা করি।'
মানসিক দৃঢ়তার সঠিক বাস্তবায়নে ক্যারিয়ারের তৃতীয় শতক পূর্ণের পাশাপাশি ব্যক্তিগত ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসে সবারই মনে দাগ কেটেছেন ইমরুল। মনোবল ধরা রাখার দিন নাম লিখিয়েছেন বাংলাদেশের ওয়ানডে ইতিহাসে মুশফিকের সাথে যৌথভাবে ব্যক্তিগত দ্বিতীয় সেরা ১৪৪ রানের ইনিংস খেলারও।
'ক্রিকেটারদের ক্যারিয়ারে উত্থান-পতন থাকবেই। কেউ ভালো খেলবে, আবার ভালো খেলতে খেলতে খারাপ খেলবে। কেউ কখনও একই ধারাবাহিকতায় টানা খেলতে পারে না। বাদ পড়াটা খেলাটারই অংশ। তবে ফিরে আসতে আপনাকে মানসিকভাবে দৃঢ় হতে হবে- যোগ করেন ইমরুল।'
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস পাওয়ার দিন বেশ কিছু অর্জনে ভাগ বসিয়েছেন ইমরুল। একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এটি ১৪৪ রান ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস তার। এর আগে নিউজিল্যান্ড এবং ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আগের সেঞ্চুরি দুটি করেছিলেন ইমরুল।
দু'বছর পর মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে নিজের তৃতীয় সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন ৩১ বছর বয়সী এই বাঁ হাতি ব্যাটসম্যান। সবশেষ সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে ইংলিশদের বিপক্ষে এই মাঠেই।
১৪৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলার পথে সপ্তম বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে গতকাল সব ফরম্যাট মিলিয়ে ৪ হাজার রান করার গৌরব অর্জন করেন ইমরুল।
আরও পড়ুন : দেখে নিন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ইমরুলের বিধ্বংসী ইনিংসটি (ভিডিও)
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড