• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৬ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

'দলীয় প্রচেষ্টায় এই জয়'

  অধিকার ডেস্ক    ২৩ জুলাই ২০১৮, ১২:৪৮

তামিম ইকবাল

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে গায়ানায় তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে উইন্ডিজকে ৪৮ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। রবিবার গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে টাইগাররা টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে অপরাজিত তামিম ইকবালের ১৩০, সাকিব আল হাসানের ৯৭ রানে ভর করে বিশাল জুটি গড়েন। তামিমের সেঞ্চুরিতে ক্যারিবিয়দের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডে জয়ের স্বাদ পায় টাইগাররা। দলের জয়ে তার সেঞ্চুরির অবদান থাকলেও দলগত সাফল্যকে এসেছে বলে মনে করেন দেশসেরা এই ওপেনার।

ম্যাচ শেষে তামিম বলেছেন,‘আমাদের একটা পরিকল্পনা ছিল, যতক্ষণ খেলতে পারি, যত লম্বা নিয়ে যেতে পারি, স্কোরবোর্ড কিংবা অন্য কিছু নিয়ে চিন্তা করার দরকার নেই। আমাদের একটা টার্গেট ছিল এবং আমরা সেটা অর্জন করেছি। আমরা যে টার্গেটটা করেছিলাম, মুশফিকের ক্যামিওতে সেটা পার হয়ে যায়। আমরা ২০ রান বেশি পেয়েছি। আমার কাছে মনে হয়, এটা পুরোপুরি দলীয় প্রচেষ্টা ছিল। মুশফিকের ইনিংস স্পেশাল ছিল, সাকিব অবিশ্বাস্য খেলেছে। আমি আমারটা চেষ্টা করেছি।’

আরও পড়ুন
'স্রেফ বলেছি, হৃদয় উজাড় করে খেলতে, দেশের জন্য খেলতে'

শুরুতেই ওপেনার এনামুল হক বিজয়কে হারিয়ে ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। রানের খাতা খোলার আগেই ফিরে যান বিজয়। ফলে গায়ানার উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য মোটেই সহজ ছিল না। উইকেট ছিল মন্থর, বল ব্যাটে আসছিল দেরিতে।

বিজয়ের বিদায়ের পর বাংলাদেশ যখন বিপদে তখন দলের হাল ধরেন তামিম ও সাকিব। সেঞ্চুরির খুব কাছ থেকে ৯৭ রানে আউট হয়ে ফিরে যান সাকিব। দলের রান তখন ২০৭।

তামিম-সাকিব এর আগে এত বড় জুটি করতে পারেননি কখনই। শেষ ১৪৪ রানের সর্বোচ্চ ইনিংস করেছে তারা। সেখানে রবিবার ডাবল সেঞ্চুরির স্বাদ পেল তাদের জুটির রান।

এছাড়াও দলও দ্বিতীয়বারের মত ডাবল সেঞ্চুরির জুটির স্বাদ পায়। ২০১৭ সালে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ২২৪ রানের জুটি গড়েছিলেন। নিউজিল্যান্ডকে ওই ম্যাচে হারিয়ে বাংলাদেশ খেলেছিল চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনাল।

পাশাপাশি এ নিয়ে দ্বিতীয় উইকেটে এটি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের জুটি। এর আগে ২০১০ সালে শ্রীলঙ্কার ডাম্বুলায় পাকিস্তানের বিপক্ষে ইমরুল কায়েস ও জুনায়েদ সিদ্দীকি ১৬০ রান করেছিলেন

সাকিব আউট হয়েছেন সেঞ্চুরি থেকে তিন রান দূরে থেকে। আর মুশফিকের ১১ বলে ৩০ রানের ক্যামিতে শেষ দুই ওভারে বাংলাদেশ তোলে ৪৩ রান।

২৮০ রানের জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ক্যারিবিয়রা প্রত্যেক ব্যাটসম্যানই মোটামুটি রান পায়। কিন্তু ২৮০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে প্রয়োজনীয় যে রান রেট দরকার ছিল সেই ট্রাকে তারা রান তুলতে পারেনি। ফলে ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৩১ রানের বেশি করতে পারেনি। ক্যারিবিয়দের হয়ে ব্যাট হাতে ক্রিস গেইল ৪০, এভিন লুইস ১৭, শিমরন হেটমেয়ার ৫০, আলজারি জোসেফ করেন অপরাজিত ৩০ রান।

তবে ম্যাচে জয়ের অন্যতম অবদান রেখেছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। মাশরাফিকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন তামিম। তিনি বলেন, ‘বোলিংয়ে মাশরাফি অসাধারণ ছিলেন। উনি অভিজ্ঞ, এই উইকেটে যেটাই দরকার ছিল, উনি ওটাই করেছেন। সঠিক সময়ে বোলিং পরিবর্তন, যখন যা দরকার ছিল, সম্ভাব্য সেটাই করেছেন। এটা পুরোপুরি দলীয় প্রচেষ্টা ছিল।’