• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৮ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

মঙ্গল যখন পৃথিবীর মতোই!

  সাদিয়া ইসলাম বৃষ্টি

০৪ অক্টোবর ২০১৮, ১৪:৩৮
ছবি : সম্পাদিত

পৃথিবী ছেড়ে মঙ্গলে চলে যাওয়ার ইচ্ছে পোষন করেন অনেকেই। মঙ্গলে পানি পাওয়া গেছে কিনা, সেখানকার আবহাওয়া মানুষের বসবাস উপযোগী কিনা- এ নিয়ে বিজ্ঞানীরা কাজ করে আসছে অনেক আগে থেকেই। যদিও মঙ্গল আর পৃথিবী এক নয়, তবু এই দুই গ্রহের মধ্যে আছে বেশ কিছু মিল। পৃথিবীর এমন কিছু বৈশিষ্ট্য যেগুলো কিনা মঙ্গলেও রয়েছে, চলুন জেনে নেওয়া যাক সেগুলো সম্পর্কে-

১। চারটি মৌসুম-

পৃথিবীর মতো মঙ্গলের আছে মোট চারটি মৌসুম। পৃথিবীর প্রতিটি মৌসুম তিনমাসে শেষ হয়ে গেলেও, মঙ্গলের ক্ষেত্রে এটি নির্ভর করে আরো বেশ কিছু বিষয়ের উপরে। গ্রীষ্ম, শীত, হেমন্ত ও শরৎ- সবটাই আছে মঙ্গলে। শুধু তাই নয়, মাঝেমধ্যে বেশ ঝড়ো একটা আবহাওয়া দেখতে পাওয়া যায় মঙ্গলে। যদিও মঙ্গলে বৃষ্টি সেভাবে লক্ষ্য করা যায়নি। তবে গ্রহটিতে যে খাদ বা স্থানগুলো রয়েছে সেগুলোর জন্ম হয়েছে বৃষ্টিপাতের মাধ্যমে। তাই পৃথিবীর সাথে আবহাওয়ার অনেক মিল থাকায় এখানে বৃষ্টিপাতও হয় বলে মনে করা হয়।

২। দিনের মাপ এক-

গ্রহের অক্ষের উপরে নির্ভর করে প্রত্যেকটি গ্রহের একদিনের সময় বিবেচনা করা হয়। এই যেমন, পৃথিবীতে এক দিনে হয় ২৪ ঘন্টা, জুপিটারে ৯ ঘন্টা ৫০ মিনিট। মজার ব্যাপার হল, মঙ্গলের একদিনের মাপ অনেকটা পৃথিবীর সমান। এর একদিনে থাকে মোট ২৪ ঘন্টা ৪০ মিনিট। ব্যাপারটি অদ্ভুত হলেও সত্যি!

৩। মঙ্গলে পানি আছে-

২০০৮ সালের কথা। নাসা মঙ্গলগ্রহে পানির ধারা খুঁজে পায়। মঙ্গলের এই পানি কেবল গ্রীষ্মকালেই প্রবাহিত হয়। ধারণা করা হয় যে, শীতে এই পানি জমাট বেঁধে থাকে। এমনিতে পৃথিবীর গ্রীষ্মকালের চাইতে অনেক বেশি ঠান্ডা থাকে মঙ্গলের গ্রীষ্মকালে। খুব বড়জোর -২৩ ডিগ্রী সেলসিয়াসেই পানি খুঁজে পাওয়া যায় এখানে। তাই অন্যান্য সময় এখানে পানি খুঁজে পাওয়াটা একেবারেই সম্ভব নয়। প্রশ্ন হল, গ্রীষ্মকালেই বা এতো ঠান্ডায় মঙ্গলের পানি কীভাবে বয়? বিজ্ঞানীদের মতে, মঙ্গলের এই পানিতে প্রচুর লবন রয়েছে। যেহেতু লবণাক্ত পানি সাধারন পানির চাইতে দ্রুত গলে যায়, তাই এমনটা দেখা যায় গ্রহটিতে।

৪। বরফে আচ্ছাদিত মেরু-

ঠিক পৃথিবীর মতোই, মঙ্গল গ্রহের উত্তর ও দক্ষিণ মেরুতে বরফ আচ্ছাদিত থাকে। শুধু তাই নয়, মঙ্গলে হিমবাহ রয়েছে। যেগুলো কিনা এর মধ্যভাগ পর্যন্ত চলে গেছে। এর আগে ধুলোর আবরণের কারণে এই হিমবাহ লক্ষ্য করতে পারেনি বিজ্ঞানীরা।

৫। মঙ্গলেও জলপ্রপাত আছে-

নাসা সবসময় নিজেদের উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে মঙ্গলের দিকে নজর রেখে চলেছে। আর এই সময়েই বিজ্ঞানীরা লক্ষ্য করেন যে, ঠিক পৃথিবীর মতোই মঙ্গলেও আছে জলপ্রপাত। তবে এই জলপ্রপাত পৃথিবীর মতো পানির নয়। এতে থাকে গলিত পাথর। এই লাভা অনেকটা পানির মতো কাজ করে এবং একটু ধীর গতিতে চলাচল করে।

৬। মঙ্গলের গড়ে ওঠা-

আমাদের জন্য পৃথিবীতে পানির গভীর থেকে হুট করে কোন দ্বীপের জন্ম নেওয়া অবাক করা কিছু নয়। আবার একটা সময় এই দ্বীপ ডুবেও যেতে পারে। পৃথিবীতে সর্বশেষ জন্ম নেওয়া দ্বীপ হুঙ্গা তোঙ্গা-হুঙ্গা হা’পাইয়ের ক্ষেত্রেও এমনটাই ঘটেছে। মজার ব্যাপার হল, এই দ্বীপটিকে দেখেই মঙ্গলের বিভিন্ন স্থান কীভাবে জন্ম নিয়েছে সেটার ধারণা পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। প্রথমে অনেকটা নড়বড়ে অবস্থায় থাকলেও পরবর্তীতে লবণাক্ত পানি আর ধুলোর সংস্পর্শ দ্বীপটিকে ঠিকঠাকভাবে গড়ে উঠতে সাহায্য করেছে। মঙ্গলের বিভিন্ন স্থানও এভাবেই গড়ে উঠেছে বলে মনে করেন সবাই।

তো? কী মনে হচ্ছে আপনার? মঙ্গলে কি আর কিছুদিন পর মানুষ বসবাস করতে পারবে?

সূত্র : লিস্টভার্স

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড