অধিকার ডেস্ক ১৫ অক্টোবর ২০১৮, ১৪:৩৭
মহান আল্লাহ তাআলা এই পৃথিবীতে মানুষ ও জিন জাতিকে পাঠিয়েছেন তার ইবাদতের জন্য। আল্লাহ্র আদেশ মেনে চলা, তার পছন্দনীয় কাজ করাই ইবাদত। একজন মুসলিম ব্যক্তির ইবাদত সংক্রান্ত পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থার নির্দেশনা রয়েছে সর্বশ্রেষ্ঠ কিতাব ‘আল কুরআনে’। এর পাশাপাশি রয়েছে হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর বাণী ও জীবনাচরণ অর্থাৎ হাদিস।
কুরআন ও হাদিসের আলোকে জীবনের প্রত্যেকটি বিষয় নিয়ে সঠিক ব্যাখ্যা জানার অধিকার রয়েছে সকল মুসলিমের। আপনার সেই অধিকার পূরণের লক্ষ্যেই 'দৈনিক অধিকার'- এর ইসলামিক প্রশ্ন-উত্তর বিষয়ক আয়োজন- ‘কুরআনের আলো এবং আপনার জিজ্ঞাসা’।
আপনি জানতে চাইতে পারেন নামাজ, রোজা, হজ বা জাকাত সংক্রান্ত যে কোনো বিষয়ে। দৈনন্দিন জীবনের যে কোনো বিষয় সম্পর্কে ইসলামের বিধান কী তাও জিজ্ঞাসা করতে পারেন। আপনার করা প্রশ্নের জবাব দেবেন বাংলাদেশের স্বনামধন্য ইসলামিক স্কলার ও আলেমগণ।
কীভাবে প্রশ্ন পাঠাবেন :
আপনার প্রশ্ন আমাদের কাছে পাঠাতে পারেন যে মাধ্যমগুলোতে-
- দৈনিক অধিকারের ফেসবুক পেজের পিনপোস্টের কমেন্ট বক্সে - দৈনিক অধিকারের ফেসবুক পেজের ইনবক্সে - ([email protected]) ইমেইল এড্রেসে
বি.দ্র- প্রশ্নের সঙ্গে অবশ্যই যুক্ত করুন আপনার নাম, বয়স এবং জেলা।
আজকের প্রশ্ন : সকল ফরজ নামাজের পর সম্মিলিত মোনাজাত করা কি সঠিক?
উত্তর : অধিকাংশ মসজিদে ফরজ নামাজের পর সালাম ফিরানোর পর পরই দুহাত তুলে যে মোনাজাত করা হয় তার শারয়ী ভিত্তি নেই। মোনাজাত আরবী শব্দ, এর অর্থ পরস্পর চুপি চুপি কথা বলা। (আল মুনজিদ ফিল লুগাহ ওয়াল আ’লাম- ৬৯৩ পৃষ্ঠা)
শরীয়তের পরিভাষায় মোনাজাত হল নামাজের মধ্যে আল্লাহর সাথে নামাজির (মুসল্লির) চুপি চুপি কথা বলা। হাদীস গ্রন্থে উক্ত অর্থেই মোনাজাত শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে। যেমন- রাসূল (সা.) বলেছেন নিশ্চয়ই তোমাদের কেউ যখন নামাজে দাঁড়ায়, তখন সে তার প্রভুর সাথে মোনাজাত করে (চুপি চুপি কথা বলে) । সহীহ বুখারী হাঃ-৩৯৬,৪১৭,৫৩১-৩২,১২১৪)
রাসূল (সা.) বলেন, নামাজি যখন নামাজ পড়ে তখন সে আল্লাহর নিকট মোনাজাত করে। আল্লাহার সাথে নিরালায় কানে কানে কথা বলে। (মুসনাদে আহামদ- ৪/৩৪৪)
অতএব, সেই নৈকট্যের ধ্যান ভগ্ন করে এবং মহানাবী (সা.) এর নির্দেশিত মোনাজাত থেকে বেরিয়ে এসে পৃথক মোনাজাত করা যুক্তিযুক্ত নয়। কেননা- রাসূল (সা.) বলেন, নামাজের মাঝেই বান্দা তার প্রভুর ধ্যানে ধ্যানমগ্ন থাকে। যতক্ষণ সে নামারা থাকে ততক্ষণ সে আল্লাহর সাথে কথা বলে। তিনি বান্দার প্রতি মুখ ফেরান, বান্দা সালাম না ফেরানো পর্যন্ত আল্লাহ মুখ ফিরিয়ে নেন না। (সহীহুল জা’মে, হা- ১৬১৪)
নামাজের পরে কাল্পনিক মোনাজাত সম্পর্কে যে সকল হাদীস বর্ণনা করা হয়েছে সে সকল হাদীস জঈফ ও জাল বা বানোয়াট।
প্রশ্নকারি : নজরুল ইসলাম, রাজশাহী
উত্তর দিয়েছেন : মাওলানা আখতারুজ্জামান খালেদ, সাবেক ইমাম ও খতিব।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড