• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৮ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

মুসলমানের পাপের চাইতে নেকি বেশি হলে সাজা ভোগ করতে হবে কি?

  অধিকার ডেস্ক    ১৩ অক্টোবর ২০১৮, ০৮:৫৭

মহান আল্লাহ তাআলা এই পৃথিবীতে মানুষ ও জিন জাতিকে পাঠিয়েছেন তার ইবাদতের জন্য। আল্লাহ্‌র আদেশ মেনে চলা, তার পছন্দনীয় কাজ করাই ইবাদত। একজন মুসলিম ব্যক্তির ইবাদত সংক্রান্ত পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থার নির্দেশনা রয়েছে সর্বশ্রেষ্ঠ কিতাব ‘আল কুরআনে’। এর পাশাপাশি রয়েছে হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর বাণী ও জীবনাচরণ অর্থাৎ হাদিস।

কুরআন ও হাদিসের আলোকে জীবনের প্রত্যেকটি বিষয় নিয়ে সঠিক ব্যাখ্যা জানার অধিকার রয়েছে সকল মুসলিমের। আপনার সেই অধিকার পূরণের লক্ষ্যেই 'দৈনিক অধিকার'- এর ইসলামিক প্রশ্ন-উত্তর বিষয়ক আয়োজন- ‘কুরআনের আলো এবং আপনার জিজ্ঞাসা’।

আপনি জানতে চাইতে পারেন নামাজ, রোজা, হজ বা জাকাত সংক্রান্ত যে কোনো বিষয়ে। দৈনন্দিন জীবনের যে কোনো বিষয় সম্পর্কে ইসলামের বিধান কী তাও জিজ্ঞাসা করতে পারেন। আপনার করা প্রশ্নের জবাব দেবেন বাংলাদেশের স্বনামধন্য ইসলামিক স্কলার ও আলেমগণ।

কীভাবে প্রশ্ন পাঠাবেন :

আপনার প্রশ্ন আমাদের কাছে পাঠাতে পারেন যে মাধ্যমগুলোতে-

- দৈনিক অধিকারের ফেসবুক পেজের পিনপোস্টের কমেন্ট বক্সে - দৈনিক অধিকারের ফেসবুক পেজের ইনবক্সে - ([email protected]) ইমেইল এড্রেসে

বি.দ্র- প্রশ্নের সঙ্গে অবশ্যই যুক্ত করুন আপনার নাম, বয়স এবং জেলা।

আজকের প্রশ্ন : মুসলমান পাপ করে নেকও করে, নেকি বেশি হলে পাপের সাজা ভোগ করতে হবে কি?

উত্তর : আল্লাহ তাআলা বলেন, হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহ তাআলার কাছে তওবা কর- আন্তরিক তওবা। আশা করা যায় তোমাদের পাপসমূহ পালনকর্তা মাফ করে দেবেন এবং তোমাদেরকে প্রবেশ করাবেন জান্নাতে। যার তলদেশে ঝর্ণা প্রবাহিত হয়। (সূরা আত তাহারীম- ৮)

আল্লাহ তাআলা বলেন, যারা তওবা করে বিশ্বাস জ্ঞাপন করে এবং সৎ কর্ম করে, আল্লাহ তাদের নামসমূহকে পুণ্য দ্বারা পরিবর্তিত করে দেবেন। আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। (সূরা ফোরকান- ৭০)

আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. বলেন, এক ব্যক্তি বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমরা অজ্ঞতার যুগে যে সামান্য পাপ কাজ করেছি সে জন্য কি সাজা ভোগ করতে হবে? রাসূল (সা.) বললেন, যারা ইসলাম গ্রহণের পর সৎ কাজ করবে তারা অজ্ঞতার যুগে যে পাপ কাজ করেছে সে জন্য শাস্তি পাবে না। কিন্তু ইসলাম গ্রহণের পরেও অসৎ কাজে লিপ্ত হলে তারা তাদের অজ্ঞতার যুগেরা অপকর্মের এবং পরবর্তী অন্যায় কাজের শাস্তি পাবে। (সহীহ বুখারী, হা- ৬৪৪১)

রাসূল (সা.) বলেন, কিয়ামতের দিন মানুষকে সর্বপ্রথম নামাজ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে, যদি তার নামাজের হিসাব গ্রহণযোগ্য হয় তাহলে তার সমগ্র আমল গ্রহণীয় হবে। আর যদি নামাজের হিসাব গ্রহণীয় না হয় তা হলে তার সমগ্র আমলই বাতিল হবে। (সিলসিলায়ে সহীহাহ, হা- ৫৯৮)

আল্লাহ তাআলা বলেন,যার নেকির পাল্লা ভারী হবে সে পাবে সন্তোষজনক জীবন। (সূরা ক্বরিআহ্- ৭-৮)

উল্লেখ্য যে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ, জুমআর নামাজ এবং রামজানের রোজা পালন করলে গুনাহ মাফ হয়ে যায়, আর কবীরা গুনাহর জন্য তওবা করা শর্ত। আর কোনো দিন এমন গুনাহ করবো না এই দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করে মনে অনুশোচনা নিয়ে বিনয়ের সাথে আল্লাহর কাছে তওবা করলে কবীরা গুনাহ সমূহ মাফ হয়ে যাবে।

আর যাদের নেকির পাল্লা ভারী বা নেকি অধিক হবে তাদের শাস্তি ভোগ করতে হবে না। যাদের নেকি ও পাপ সমান হবে বা পাপ বেশী হবে তাদেরকেই শাস্তি ভোগ করতে হবে। আল্লাহই ভাল জানেন।

প্রশ্নকারি : জয়নাল আবেদীন ভূইয়া

উত্তর দিয়েছেন : মাওলানা আখতারুজ্জামান খালেদ, সাবেক ইমাম ও খতিব।

প্রচলিত কুসংস্কারের বিরুদ্ধে ধর্মীয় ব্যখ্যা, সমাজের কোন অমীমাংসিত বিষয়ে ধর্মতত্ত্ব, হাদিস, কোরআনের আয়াতের তাৎপর্য কিংবা অন্য যেকোন ধর্মের কোন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, সর্বপরি মানব জীবনের সকল দিকে ধর্মের গুরুত্ব নিয়ে লিখুন আপনিও- [email protected]
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড