• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৭ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

আলোচনা-সমালোচনায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট   

এই ঐক্য ব্যক্তি স্বার্থে নয়, জনগণের স্বার্থে : ড. কামাল

জনমত গঠনে আন্দোলন   

  অধিকার ডেস্ক    ১৫ অক্টোবর ২০১৮, ০৯:২৮

ছবি : ড. কামাল হোসেন

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নিরপেক্ষ নির্বাচনসহ সাত দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আত্মপ্রকাশ ঘটেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের। দেশে জনগণের ভোটাধিকার আদায়সহ সাত দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আন্দোলনের পরিকল্পনাও করছে এই জোট। শারদীয় দুর্গাপূজার পরই আন্দোলনে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা। পাশাপাশি জনমত গঠনে জনগণের কাছে পৌঁছানোর পরিকল্পনাও নিয়েছেন তারা। একই সাথে বিদেশী কূটনীতিকদের সাথে বৈঠক করাসহ সরকারের জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট সম্পর্কে অবস্থান কি এই বিষয়ে পর্যালোচনার মাধ্যমে আগামী দিনের কর্মসূচির লক্ষ্য নির্ধারণ করছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।

জোট গঠনের পর সরকারের অবস্থান কি হয় সে বিষয়টি গভীরভাবে পর্যালোচনা করছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন।

তিনি গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, জোটের আত্মপ্রকাশের দিন আমরা আমাদের দাবি-দাওয়া উত্থাপন করেছি। এখন দেখি সরকার কি করে।

তবে তিনি মনে করেন, সরকার এত সহজে তাদের দাবি-দাওয়া মেনে নেবে না। এজন্য জনমত গড়ে তুলতে হবে।

জনগণের মধ্যে ঐক্য গড়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, মানুষের মধ্যে ঐক্য তৈরি করতে হবে। আমার বিশ্বাস মানুষের ঐক্যের কাছে সরকার আমাদের দাবি-দাওয়া মেনে নিতে বাধ্য হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ঘরে বসে থাকব না। কর্মসূচি দেব। মানুষকে জাগ্রত করতে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে যাব। মানুষকে বোঝাব, এই ঐক্য কোনো ব্যক্তি বা দলের স্বার্থে নয়। এই ঐক্য জনগণের স্বার্থে।’

উল্লেখ্য, দীর্ঘ আলাপ-আলোচনা এবং দফায় দফায় বৈঠক শেষে শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে দেশের রাজনীতিতে নতুন জোট হিসেবে যাত্রা শুরু করে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া এবং গণফোরামসহ এই জোটে আরও আছে মাঠের বিরোধী দল বিএনপি, আ স ম আবদুর রবের নেতৃত্বাধীন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি, মাহমুদুর রহমান মান্নার নেতৃত্বাধীন নাগরিক ঐক্য।

জোট হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেই তারা ৭ দফা দাবি ও ১১ দফা লক্ষ্য দেশবাসীর সামনে উপস্থাপন করে। মতের অমিল থাকায় সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন বিকল্পধারা বাংলাদেশকে বাইরে রেখেই গঠিত হয় এই জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।

সূত্র জানায়, আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশের পর এখন দাবি আদায়ে আন্দোলনে নামার পরিকল্পনা করছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতারা। রবিবার তারা একাধিক অনানুষ্ঠানিক বৈঠকও করেন। সকালে ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে তার মতিঝিলের চেম্বারে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া এবং গণফোরামের নেতারা বৈঠক করেন।

দুপুরে গুলশানে মাহমুদুর রহমানের বাসায় বৈঠক করেন নাগরিক ঐক্যের নেতারা। বিকালে জেএসডি কার্যালয়ে বৈঠক করেন দলটির শীর্ষ নেতারা। এছাড়া জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতারা নিজেদের মধ্যেও আলাপ-আলোচনা করেন।

সোমবার রাতে ড. কামাল হোসেনের মতিঝিলের চেম্বারে সবাই মিলে বৈঠকে বসার কথা রয়েছে। এই বৈঠকে আন্দোলনের কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা করবেন তারা।

জনমত গঠনে আন্দোলনে নামবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট

দেশে গণতন্ত্র পুনপ্রতিষ্ঠা ও জনগণের ভোটাধিকার আদায়সহ ৭ দফা দাবিতে আন্দোলনের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জোটের প্রধান শরিক বিএনপিকে নিয়ে একজোট হয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার প্রস্তুতিও নিচ্ছে ঐক্যফ্রন্ট। নির্বাচনের লক্ষ্যে জোটের আসন ভাগাভাগির কাজ চূড়ান্ত ও দেশব্যাপী জনমত গড়ে তুলতে শারদীয় দুর্গাপূজার পর ধারাবাহিক কর্মসূচি দেওয়ার পরিকল্পনাও করেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতারা। এই লক্ষ্যে দফায় দফায় বৈঠক করছেন তারা।

এদিকে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি তুলে ধরতে এবং জোটের ৭ দফা দাবি ও ১১ দফা লক্ষ্য’র প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরতে বিদেশী কূটনীতিক ও বিভিন্ন দাতা সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের পরিকল্পনাও করেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।

এ প্রসঙ্গে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম শীর্ষ নেতা ও নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না জানিয়েছেন, ‘পূজার পর আমরা আন্দোলনের কর্মসূচি দেব। আমরা আমাদের দাবি-দাওয়ার পক্ষে জনমত গড়ে তুলতে গণসংযোগে বের হব।’

তিনি বলেন, ‘অতীতে দেখেছি সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে সভা-সমাবেশের অনুমতি দেয় না। আমাদেরও দেয়নি। আগামীতেও হয়তো দেবে না। তবুও আমরা চেষ্টা করব শান্তিপূর্ণ উপায়ে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছাতে। সভা-সমাবেশ-গণসংযোগের মাধ্যমে মানুষের সামনে আমরা আমাদের কথাগুলো তুলে ধরব। দেশের মানুষ একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে আজ ঐক্যবদ্ধ। আমরা এই ঐক্যকে সুসংহত করতে উদ্যোগ নেব।’

আলোচনা-সমালোচনায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতারা নবগঠিত এই জোটের আত্মপ্রকাশের পর সরকারের ভূমিকা কী হয়- তা দেখার জন্য কিছুটা সময় নেয়ার কথা ভাবছেন। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সরকারের প্রভাবশালী মন্ত্রী ও নেতারা এই জোটের সমালোচনা শুরু করেছেন। শেষ মুহূর্তে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকে সরে দাঁড়ান বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী। তিনিও ড. কামাল হোসেনের তীব্র সমালোচনা করেন।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা এম. হাফিজউদ্দিন আমাদের সময়ের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, জোট হওয়ায় ভালোই হয়েছে। আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর মতো কোনো শক্তি ছিল না। বিএনপি এখন দুর্বল। জোট হওয়ায় তারা সবল হবে। একদলীয় শাসনব্যবস্থা আমরা চাই না। আমরা চাই, শক্তিশালী বিরোধী দল হোক। জোটের ফলে একটা সুবিধা হলো, বিরোধী দল হিসেবে একটা জোট থাকবে। সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য তাদের দাবির সঙ্গে আমি একমত। জোটে বি. চৌধুরী যাননি, কেন বুঝলাম না। ২০০১ সালে নির্বাচন হলো তখন তো বিএনপির সঙ্গে জামায়াত ছিল, তখন তো উনি আপত্তি করেননি। এখন হঠাৎ করে এন্টি-জামায়াত হয়ে গেলেন! এটা নিয়ে একটা খটকা আছে আমার।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, এ জোট রাজনীতিতে তেমন প্রভাব বিস্তার করতে পারবে না। স্বাধীনতা বিরোধী, মুুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী সবাই একসঙ্গে হয়ে মূলত তারা আওয়ামী লীগ বিরোধী।

সংবিধান বিশেষজ্ঞ আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক বলেন, এ মুহূর্তে তাদের প্রধান দাবি হিসেবে যেটা উঠে এসেছে তা হলো সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন। নির্বাচনের জন্য তারা কিছু শর্ত দিয়েছে। নির্বাচন-পরবর্তী সরকার হলে কী হবে, সে সম্পর্কে বড় দাগে কিছু বলা আছে। আমার মনে হয়, সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের জন্য যেটা বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো বলে আসছিল, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কারণে নির্বাচনসংক্রান্ত দাবিগুলো আরও জোরালো হবে। অবশ্য সরকারও কখনো বলছে না অসুষ্ঠু নির্বাচন করবে। কী পদক্ষেপ নিলে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে, তা নিয়ে মতপার্থক্য আছে। সার্বিকভাবে আমার এখন ধারণা, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কারণে সুষ্ঠু, অবাধ ও অংশীদারত্বমূলক নির্বাচনের সম্ভাবনাটা জোরালো হয়েছে।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম উদ্যোক্তা গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আমাদের মূল লক্ষ্য আইনের শাসন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এবং মানুষের ভোটাধিকার প্রয়োগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা। এখানে সবাই বলছে, জামায়াতকে এ জোটে রাখা হবে না। আমাদেরও একই সিদ্ধান্ত। সেই সিদ্ধান্তে এ জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠিত হয়েছে। এখানে তো জামায়াত থাকছে না, আর জামায়াতের নিবন্ধনও নেই। ফলে এ নিয়ে বিতর্ক করে সময়ক্ষেপণ করার কোনো যৌক্তিকতা আছে বলে আমরা মনে করি না। এ জোট অবশ্যই সফল হবে।

গণফোরামের কার্যনির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন, নতুন এ জোট অবশ্যই সফল হবে। কারণ এ জোটে যারা আছেন তারা সবাই প্রগতিশীল চিন্তা-চেতনার। এখানে বারবার জামায়াতকে টেনে এনে কিছু লোক বিতর্ক সৃষ্টি করছে। আমরা বলছি, এ জোটে জামায়াত থাকবে না। এটি একটি মীমাংসিত বিষয়।

আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪-দলীয় জোটের অন্যতম শরিক জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের একাংশের সভাপতি ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এ বিষয়ে বলেন, ড. কামালের ঐক্যফ্রন্টের সাত দফার কোনো ভিত্তি নেই। সাত দফা প্রস্তাবের মাধ্যমে ভূতের সরকার নাজিল করতে চায় তারা। এর মাধ্যমে তারা অস্বাভাবিক সরকার আনতে চায়। এটি কোনো নির্বাচনী জোট নয়, নির্বাচনী ঘোঁট। সাত দফা হচ্ছে দুর্নীতিবাজ, খুনি ও জঙ্গিদের রক্ষাকবচ।

জোটের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ গতকাল নিজ কার্যালয়ে আলাপকালে বলেন, বিএনপি ইতোমধ্যে সন্ত্রাসী দল হিসেবে চিহ্নিত হয়ে গেছে। জনবিচ্ছিন্ন এ দলের সঙ্গে ঐক্য নিয়ে দেশবাসীর কোনো চিন্তা নেই। আওয়ামী লীগ এটা নিয়ে ভাবছে না। নৈতিকতাহীন এ জোট জনগণের কাছে প্রত্যাখ্যাত হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এ বিষয়ে বলেন, জঙ্গি, সন্ত্রাস ও সাম্প্রদায়িকতার দোসর বিএনপির সঙ্গে হাত মেলানোর মধ্য দিয়ে ড. কামাল হোসেনের বর্ণচোরা রূপ বেরিয়ে এসেছে। ড. কামাল হোসেন আইনের লোক হয়ে, দেশের সংবিধান ও আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছেন। আদালতের রায়ে কারান্তরীণ খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করে তিনি দেশের বিচারব্যবস্থার প্রতি অসম্মান দেখিয়েছেন। সংবিধানসম্মত নির্বাচন ব্যবস্থাকে পাশ কাটিয়ে তিনি সংসদ ভেঙে দেওয়ার দাবি করেছেন। এর মধ্য দিয়ে ড. কামাল হোসেনের আসল চেহারা বেরিয়ে এসেছে। দেশের জনগণ এসব বর্ণচোরার কথায় সায় দেবে না।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ভাঙনের পথে বিকল্পধারা

জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠনের ঘোষণার দিন সংবাদ সম্মেলন করে বিকল্পধারা। সংবাদ সম্মেলনে বি চৌধুরী জাতীয় ঐক্যজোটে থাকতে দুই শর্ত দেন। এরমধ্যে স্বাধীনতা বিরোধী কোনো দলের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ঐক্য গড়বে না বিকল্পধারা। এছাড়া ১৫০ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ দিতে হবে এমন প্রস্তাব দেয় দলটি।

এসব প্রসঙ্গে রবিবার ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া এবং গণফোরামের নেতাদের বৈঠকে আলোচনা হয়।

সূত্র জানায়, ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে বৈঠকে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া এবং গণফোরাম নেতারা বলেন, প্রথম থেকেই নয়া জোট গঠনে বি. চৌধুরীর ভূমিকা নিয়ে সন্দেহ ছিল। শনিবার হঠাৎ ড. কামাল হোসেনের বেইলি রোডের বাসায় যাওয়া, তখন ড. কামাল হোসেনের তার বাসায় না থাকা এবং এর জের ধরে সন্ধ্যায় বি. চৌধুরীর অনেকটা তড়িঘড়ি করে সংবাদ সম্মেলন করাটা পূর্বপরিকল্পনারই অংশ।

গণফোরামের এক শীর্ষ নেতা বৈঠকে বলেন, ‘বি. চৌধুরীর এ ধরনের ভূমিকা নতুন নয়। ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে মহাজোট গঠনের সময়ও তিনি দফায় দফায় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করেন। পরে আবার অজ্ঞাত কারণে পিছুটান দেন। এবারও তিন একই কাজ করেছেন।

জানা গেছে, বৈঠকে উপস্থিত জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া এবং গণফোরামের বেশির ভাগ নেতা ভবিষ্যতে বি. চৌধুরীকে ছাড়াই জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে পথ চলার প্রস্তাব দেন। এ সময় একজন নেতা জানান, বিকল্পধারা ভেঙে যাচ্ছে। দলটির একটি অংশ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে যোগ দিতে আগ্রহ প্রকাশ করছে।

এ অবস্থায় পরে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানানো হয়। বৈঠকে আন্দোলনের পাশাপাশি আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি গ্রহণ এবং এর আগে আসন ভাগাভাগির বিষয়টি ফয়সালা করা নিয়েও আলোচনা হয়। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতাদের বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনারও সিদ্ধান্ত হয়। এ সময় আন্দোলন ও নির্বাচনের একটি রোড ম্যাপ তৈরির ওপর গুরুত্ব দেন জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া ও গণফোরামের নেতারা।

বিকল্পধারা না থাকার কারণ জানান মির্জা ফখরুল

বিবিসি বাংলায় দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জোট গড়ার বৈঠকগুলোতে প্রথম থেকেই ‘কিছু বিষয়ে চাপ সৃষ্টি করে সমস্যা তৈরি করছিল’ বিকল্পধারা। তবে এখানে কোনো ষড়যন্ত্র নেই, নিজেদের সিদ্ধান্তেই তারা জোটে আসেনি।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড