• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৩ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

‘বিএনপির রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে’

  অধিকার ডেস্ক    ১১ অক্টোবর ২০১৮, ১৭:১৩

আওয়ামী লীগ
ছবি : প্রতীকী

জন্মের শুরু থেকেই বিএনপি বাংলাদেশকে আবারও পাকিস্তান বানানোর ষড়যন্ত্র করে আসছে। এছাড়াও বিএনপি যে একটা সন্ত্রাসী সংগঠন এটা দিবালোকের মত স্পষ্ট। ফলে এদেশে বিএনপির রাজনীতি করার আর কোনো সুযোগ নেই। তাই তাদের এখনি রাজনৈতিক ভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে।

বৃহস্পতিবার (১১ অক্টোবর) রাজধানীর গুলশানের লেক শো হোটেলে গোলটেবিল বৈঠকে আলোচনায় আওয়ামী লীগের নেতারা এই দাবি করেন। ‘২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার রায়ে ‘বিএনপির বৈধতা সংকট’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকটির আয়োজন করে সিটিজেন ফর রেসপনসিবল ডেমোক্রেসি।

তারা আরও বলেন, ‘বিএনপি বাংলাদেশের স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধুকে বিশ্বাস করে না বরং উল্টো বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির নেতৃত্বদানকারী দল আওয়ামী লীগকে বার বার সমূলে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা করেছে। গ্রেনেড হামলায় বিএনপির শীর্ষ নেতাদের দণ্ড হওয়ার মধ্যদিয়ে তাদের রাজনৈতিক ও দলীয় সংশ্লিষ্টতা আবারও প্রমাণ হয়েছে। এরপর বাংলাদেশে বিএনপির রাজনীতি করার নৈতিক অধিকার ও আইনগত বৈধতা থাকতে পারে না।’

এ সময় বৈঠকে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল হানিফ। তিনি বলেন, ‘বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের চর হিসেবে অংশ নিয়েছিলেন। বিভিন্নভাবে সেটার প্রমাণ পাওয়া যায়। ৭৫ এ বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্যদিয়ে জিয়া পাকিস্তানের এজেন্ডা বাস্তবায়নে সমর্থ হন। মুক্তিযোদ্ধারা ছিল তার চোখের বিষ। জিয়াউর রহমান ধরে ধরে মুক্তিযোদ্ধা অফিসারদের ফাঁসি দিয়েছিলেন।’

হানিফ বলেন, ‘২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার রায় প্রত্যাখ্যান করে মির্জা ফখরুল আমাদের হতাশ করেছে। জাতির প্রত্যাশা ছিল বিএনপি ক্ষমা প্রার্থনা করে সুষ্ঠুধারার রাজনীতিতে ফিরে আসবে। তবে সেটা না করে তারা ওই মিথ্যাচারের রাজনীতিতে থেকে গেলেন।’

যুগ্ম সম্পাদক আরও বলেন, ‘২১ আগস্টের হামলা ছিল কালেকটিভ প্রচেষ্টা। এটার দায় বিএনপি এড়াতে পারে না।’

সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোহাম্মদ আরাফাত বলেন, ‘গ্রেনেড হামালার দিকে তাকালে দেখা যায় এটা কোনো রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড নয় বরং দার্শনিক হত্যাকাণ্ড। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ যেমন একটা লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি। আর অন্য শক্তিটা হলো বিএনপি, জামায়াত, বঙ্গবন্ধুর খুনি, জঙ্গি এই চারটা মিলে তৈরি নেক্সাস। এই নেক্সাস বাংলাদেশের রাজনীতিতে ক্যান্সারের মতো ছড়িয়ে পড়েছে। যতদিন ক্যান্সার না সারানো যাবে ততদিন বাংলাদেশের রাজনীতিতে এ সমস্যা থেকে যাবে।’

ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ বলেন, ‘২১ আগস্টের হামলা ছিল রাষ্ট্রযন্ত্রের সন্ত্রাস। ওই সময় ছিল বিএনপি-জামায়াত সরকার। এই মামলার রায় রাজনৈতিক জবাবদিহিতার সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছে। বিএনপিকেও তাই জবাবদিহিতার মধ্যে আনতে হবে। কেননা যারা এমন নির্মম হত্যাকাণ্ডে যুক্ত থাকে তাদের রাজনৈতিক লেজিটেমেসি থাকতে পারে না।’

সভার সঞ্চালনা করেন ড. আশিকুর রহমান। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, অধ্যাপক মেসবাহ কামাল, সাংবাদিক শ্যামল দত্ত, মোজাম্মেল বাবু, মঞ্জুরুল ইসলাম, ব্যারিস্টার তৌকির আহমেদ, অ্যাডভোকেট নূরজাহান বেগম, নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) অালী শিকদার, অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচী, আওয়ামী লীগ নেতা রাশেক রহমান প্রমুখ।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড